Pesta Badam 1Kg
এটি এর স্বাদ এবং আলংকারিক ব্যবহারের জন্য বাদামের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও এটিতে খুব ভাল পুষ্টি রয়েছে তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা যেতে পারে। লালচে এবং সবুজ রঙ এটিকে পার্টির জন্য একটি সুন্দর আলংকারিক আইটেম তৈরি করে।
পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকে পেস্তা বাদামের গুনাগুণ অনেক। বাদামটি দেখতে উজ্জ্বল সবুজ রঙের খেতেও দারুণ সুস্বাদু। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে কিছু খেতে চাইলে প্রায় সকল ধরনের বাদামই আপনার খাদ্যতালিকায় থাকার যোগ্যতা রাখে। সকল প্রকারের বাদামে ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমান বেশি থাকে। এ ধরনের বাদাম বিশেষ করে বিশেষ উৎসবের পায়েস, সেমাই , পোলাওতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পেস্তা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে আপনার খাদ্যতালিকায় এ বাদাম অন্তর্ভুক্ত করার উৎসাহ পেতে এটির পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
পেস্তা বাদামের পুষ্টির উপাদান
পেস্তা বাদাম হচ্ছে ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ভিটামিন ই, ফোলেট ও প্লান্ট স্টেরলসের প্রাচুর্যপূর্ণ উৎস। আমেরিকান এক সংস্থা (ইউএসডিএ নিউট্রিশন) তথ্য অনুসারে খোসাবিহীন ১০০ গ্রাম পেস্তা বাদামে পূষ্টি উপাদান থাকেঃ ক্যালরি ৫২৮.৯৫, ফ্যাট ১২.৮ গ্রাম, প্রোটিন ২০.২৭ গ্রাম, স্নেহজাত পদার্থ ৪৪.৯গ্রাম, কার্বোহাইড্রাইড ২৬.১৮ গ্রাম, ফাইবার ১০.৩ গ্রাম ও সুগার ৭.৬৬ গ্রাম। অন্যদিকে খোসাসহ ১০০ গ্রাম পেস্তা বাদামে ক্যালরি ২৫৫, ফ্যাট ২৩.০৩ গ্রাম, প্রোটিন ১০.৩ গ্রাম, স্নেহজাত পদার্থ ৪৫.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৩.৬ গ্রাম, ফাইবার ৫.১ গ্রাম ও সুগার ৩ গ্রাম থাকে।
ক্যালরি
পেস্তা বাদামে ক্যালরির পরিমান অন্যান্য বাদামের তুলনায় কম। ১০০ গ্রাম খোসা বিহীন পেস্তা বাদামে ৫২৮.৯৫ কিলোজুল ক্যালরি থাকে। অতিরিক্ত পরিমান ক্যালরি না থাকার কারণে এটি ওজন বৃদ্ধি, কার্ডিওভাসকুলার, হার্ট, রক্তনালির রোগ, ডায়াবেটিস সহ আরো অনেক রোগের ঝুকি কমায়।
ফাইবারঃ
ফাইবার শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা পরিমাণে ঘাটতি দেখা দিলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, পরিপাকতন্ত্রের কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যান্টিওক্সিডেন্ট
পেস্তা বাদামে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা উনেক বেশি অন্যান্য বাদামের তুলনায়। তাই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পেস্তা বাদামের বিকল্প নেই।
প্রোটিনঃ
শরীরের টিস্যু , এনজাইম, হরমোন, হাড়, মাংশপেশি, ত্বক, রক্ত কণিকা ও শরীরের রাসায়নিক পদার্থ তৈরিতে প্রোটিন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই প্রোটিনের অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম। শাররিক পরিবর্তন করতে পেস্তা বাদামের ভুমিকা অপরিসীম।
ভিটামিন
প্রায় সকল প্রকার ভিটামিনের উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম। এ বাদামে ভিটামিন-এ থেকে ভিটামিন-ই পর্যন্ত সকল উপাদান আছে। শরীরের ভিটামিন ঘাটতি পূরন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
ফ্যাট
সকল প্রকার ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতি নয়। পেস্তা বাদামের মধ্যে যে ফ্যাট থাকে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনসাচুরেটেডের মতো স্বাস্থ্যকর যা শরীরের খারাপ কলেস্টেরল , হার্ট আট্যাক ও স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে ধরনের ফ্যাটি এসিড থাকে তা মস্তিষ্ক সুস্থ কার্যক্রম পরিচালয় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া যায়।
রক্ত চাপ
প্রতিদিন ডায়েটে পেস্তা রাখার চেস্টা করুন তাহলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। পেস্তা রক্তে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ঘুম
হরমোন ঘুম ও জাগরণ চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটেনিন। অন্যান্য বাদামের চেয়ে পেস্তা বাদামে মেলাটেনিনের পরিমান বেশি থাকে যা ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এক মুঠো পেস্তা বাদাম সাপ্লিমেন্টের একটি বড়ির চেয়ে বেশি কাজ করে। এছাড়াও শাররিক ক্লান্তি দূর করতে পারে ে বাদাম।
পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম
বাদাম আগের দিন রাতে দুধে অথবা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেতে হয়। বাদাম খালি পেটে খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হবে। প্রতিদিন ৬/৭ টা বাদাম খেলেই যথেষ্ট। বাদামের ওপরের পাতলা খোসাটা ছাড়িয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারলেই সবচাইতে ভালো। নাহলে দুধ বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে লবণ দিয়ে ভাজা বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত করা বাদাম কখনোই খাওয়া উচিৎ না।