দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসা আপনার ক্ষয়ে যাওয়া বা আক্রান্ত দাঁতকে সুরক্ষা দিবে।
দাত হচ্ছে যে কোন মানুষের খুবই প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ যেটি মানব দেহের অন্যতম কঠিনতম অঙ্গের মধ্যে একটি। যার দাত নাই সেই বুজে দাতের মর্ম । দাতেরও রয়েছে নানান ধরনের রোগ দাতের হালকা সমস্যাতেই প্রচুর ব্যাথা ও যন্ত্রনা দেখা দিতে পারে। যেহুতু দাতের রক্ত ও নার্ভ উপস্থিত তাই দাতের যে কোন ধরনের সমস্যা মানুষ খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। দাতের অন্যতম একটি কমন রোগ হলো দাতের ক্ষয় হওয়া। দাত মূলত মাড়ির সাথে লেগে থাকে। দাতের মাড়ির ভিতরে যে দন্তমজ্জা রয়েছে সেটা অযত্নের কারণে অনেক সময়ই সমক্রমিত হতে পারে। দাতের এই অংশটা সংক্রমিত হলে প্রচুর ব্যাথা ও যন্ত্রণা হয়। দাতের এই মাড়ির ভিতরের পাল্প টিস্যু বা দন্তমজ্জা কোন কারণে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হলে সেটার আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই মূলত রুট ক্যানেল বলে।
এই পদ্ধতিতে প্রথমে সংক্রমিত দাত থেকে মাড়ির ভিতরে যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত পাল্প টিস্যু রয়েছে সেগুলো বের করে আনা হয় তারপর সেখানে সাবসটেনাল ঢুকিয়ে সিল করে দিয়ে শূণ্য স্থান পূরণ করা হয় তারপর দাতে ক্রাউন বা দাতের কেপ পরতে হয়। এখানে দাতের ভিতরটা এমনভাবে সিল করা হয় যাতে কোন ভাবেই কোন ব্যাকটেরিয়া সেখানে গিয়ে সংক্রমিত না করতে পারে। এটি করার পর দাতের যত্ন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে হয় আর সেই দাত দিয়ে খুব বেশি শক্ত জিনিস না চিবানোই উচিত।
সাধারণত এই পুরো প্রসেসটি শেষ করতে একজন রোগীকে ৩ – ৪ বার ডাক্তারের কাছে যেতে হয় তবে কারো যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয় বা ক্ষেত্রবিশেষে একদিনেও এটা করা সম্ভব।
একবার রুট ক্যানেল করার পর সেটা কতদিন স্থায়ীত্ব হবে সেটা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। যেমন যার মাড়ির ভিতরের পাল্প টিস্যু সংক্রমিত হয়ে ক্ষতি হওয়ার পরিমাণ যত বেশি তার রুট ক্যানেল স্থায়ীত্ব হওয়ার সম্ভাবনা তত কম। এছাড়াও সঠিক যত্ন , অন্যান্য দাতের অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে এটার স্থায়ীত্বের হার কম বেশি হতে পারে।