আইটেম | বাইক |
---|---|
মডেল | ✅ 2019 |
ব্রান্ড | বাজাজ |
2019 | |
DTs-ick | |
149.5 cc | |
Air Cooled | |
45 Kmp | |
Yes | |
Yes | |
15 Liters | |
3.2 L | |
5 Gears | |
Double Cradle | |
Front: Hydraulically Operated Disc Type / Rear: Mechanically Expanding Shoe and Drum | |
Alloy / Tubeless | |
2055 x 790 x 1100 mm / 143 Kg |
বিগত ১৫-১৬বছর ধরে ১৫০সিসি সেগমেন্টে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করে রেখেছে ১৫০ সিসি বাজাজ পালসার এসডির এ বাইকটি। বর্তমান বাজারে বাজাজ পালসার ১৫০সিসির (UG5) টুইনডিস্ক নতুন ভার্সন । নতুন ভার্শনের সাথে যে পরিবর্তনগুলো থাকছে- ডিজাইনের দিক দিয়ে বাজাজ পালসার এসডি ১৫০ টুইন ডিস্ক পূর্বের মডেলের তুলনায় কিছুটা ব্যাতিক্রম লক্ষ করা যায়। এর গ্রাফিক্স এর দিকে লক্ষ করলে কিছুটা পরিবর্তন পরিবর্তন বুঝা যায়, দেখতে বাজাজ ১৮০ সিসি পালসারের মতই স্প্লিট সিটিং পজিশন, স্টাইলিশ গ্রাফিক্স, ফ্রন্ট গিয়ার লিভার, স্প্লিট গ্র্যাব রেইল, ডাবল ডিস্ক, পেছনে ১২০মিলিমিটারের মোটা চাকা, হাফ চেইন কভার, চকচকে ক্রোম এক্সাটের উপরে এবং সিলভার কালারের কাভার সবকিছু মিলিয়ে বাজাজ পালসার ১৫০ নতুন ভার্সনটি নতুন অনেক কিছুর বৈশিষ্টগত পরিবর্তন এসেছে। বাজাজ পালসারের আগের সিরিজের তুলনায় পালসার ১৫০ টুইন ডিস্কে রাইডারগণ স্পোর্টস বাইকের অনুভুতি পাওয়া যাবে। বাজাজ পালসারের বডি ডাইমেনশন পূর্বের পালসারের চেয়ে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন, পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক বাইকটি লম্বায় ২০৩৫মিলিমিটার, চওড়ায় ৭৬৫মিলিমিটার এবং উচ্চতায় ১১১৬ মিলিমিটার একই সাথে বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স হচ্ছে ১৬৫মিলিমিটার, হুইলবেজ ১৩৪৫মিলিমিটার কিন্তু আগের বাইকটির ওজন পূর্বের পালসার ১৪৪ কেজির মতই আছে। পূর্বের পালসার রাইডারগণ যদি এই বাইকটা চালান তবে এর ভিন্নতা অনুভব করতে পারেন। পূর্বের সিরিজগুলোর থেকে এই টুইনডিস্ক ভার্সনে ডাইমেনশনগত কিইছুটা পরিবর্তন হয়েছে। বাজাজ পালসার ১৫০ টুইনডিস্কে বিএস৪ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটা পূর্বের মডেলের মতই ১৪ পিএস @ ৮০০০ আরপিএস ম্যাক্স পাওয়ার এবং ১৩.৪ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ৫ স্পীড ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স রয়েছে ইঞ্জিনের সাথে। সেলফ স্টার্ট দিয়ে ইঞ্জিন চালু করার সুবিধা রয়েছে। সেলফ স্টার্ট ছাড়াও কিক স্টার্টের ব্যবস্থাও রয়েছে এ বাইকটিতে। অন্যান্য পালসারের থেকে বাজাজের মোটরসাইকেলটির মাইলেজটাও তুলনামূলক বেশি। স্বাভাবিক রাস্তায় বা সিটির মধ্যে এর মাইলেজ প্রায় প্রতি লিটারে ৪৫ কিমি এবং হাইওয়ে তে ৫০ কিমি যায়। স্পোর্টি স্প্লিট সিটিং পজিশন দেয়া হয়েছে নতুন ভার্সনে তবে সিটিং পজিশনটা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত করা হয়েছে। রাইডার এবং তার সহযাত্রী দুজনই আরামে বসতে এই ধরণের সিটের সুবিধা পাবেন।বাংলাদেশে বাজাজ পালসার তার লম্বা সীট এর কারনে ফ্যামিলি কমিউটার বাইক হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পূর্বের ১৫০ সিসি পালসারগুলোতে পেছনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক না থাকায় নতুন ভার্শন পালসার ১৫০ সিসি বাইককে প্রথম রেয়ার ডিস্ক ব্যবহার করেছে। সামনের ডিস্ক হচ্ছে ২৬০মিমি এবং পেছনের ডিস্ক ব্রেক ২৩০ মিমি ব্রেকের সাইজ যা রাস্তায় রাইডারদের ভাল ব্রেকিং নিশ্চিত করতে খুব ভালো ভাবে সহায়তা করবে। প্রত্ত্যেকটি ডিভাইসের মতোও সাসপেনশন ও টায়ারের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এ বাইকটিতে যেমন সামনের দিকে রয়েছে টেলিস্কোপিক যা বাজাজ পালসার ১৮০ সিসির বাইক থেকে নেয়া এবং পেছনের দিকে টুইনশক সাসপেনশন রয়েছে। টায়ারের দিক দিয়ে বাজাজ পেছনের চাকা পুর্বের চেয়ে বেশ মোটা করেছে। বর্তমানের বাজাজের বাইকটিতে ব্যবহার করেছে ১২০/৮০-১৭ সাইজের মোটা টায়ার যা আগের মডেলগুলোতে ব্যবহৃত হতো ১০০ সাইজের টায়ার যা বাইকটিতে ভালো গ্রিপিং সরবরাহ করে।সামনের দিকের টায়ার সাইজ ৯০/৯০-১৭ ব্যবহার করা হয়েছে। মিটার কন্সলে তেমন পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না তবে ডিজাইনের সামান্য পরিবর্তন রয়েছে যা খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন না করলে বোঝার কোন উপায় নেই। বর্তমান মডেলের ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ সাদা কিন্তু পূর্বের মডেলে মিটারে ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো ধুসর রংয়ের। এছাড়াও মিটার কনসোলের ফিচার্সে রয়েছে স্পিডোমিটার, ফুয়েল ইনডিকেটর এবং ইলেকট্রিক্যাল দিকের মধ্যে বাজাজ পালসারের আইকনিক ফিচারস সুইচলাইটসহ অন্যান্য সকল ফিচারস রয়েছে।