হাত ঘড়ি কেনাকাটা
হাত ঘড়ি আবিষ্কারের পর থেকে তা মানুষের নিত্য জীবনের সঙ্গী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। কখনো প্রয়োজনে আবার কখনো সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য হাত ঘড়ি ব্যবহার করা হয়। মানুষের চাহিদার ও জীবন দ্বারার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে হাত ঘড়ির ডিজাইন ও টেকনোলজী যা হাত ঘড়িকে করে তুলেছে আরো আকর্ষণীয়। বর্তমানে বাংলাদেশে নেভিফর্স, রাডো, এসকেএমইআই, অলিভস, ক্যাসিও, এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও বিভিন্ন ডিজাইনের হাত ঘড়ি বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
হাত ঘড়ি কেনার আগে কি দেখতে হবে?
হাত ঘড়ি বিভিন্ন টেকনোলজির সাথে তৈরি করা হয়। তাই, প্রয়োজন অনুসারে পছন্দনীয় প্রযুক্তি নির্বাচন করে হাত ঘড়ি কেনা উচিত। হাত ঘড়ির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
ডিজাইনঃ বর্তমানে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইন ও কালারে হাত ঘড়ি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। বিশেষ করে হাত ঘড়ির স্ট্র্যাপ অধিক আকর্ষণীয় ডিজাইনের হয়ে থাকে। কিছু কিছু হাত ঘড়ির স্ট্র্যাপ চামড়ার দিয়ে তৈরি করা হয় যা অধিক দিন আকর্ষণীয় অবস্থায় থাকে এবং ফরমাল পোশাকের সাথে মানানসই। এছাড়াও, স্টেইনলেস স্টিল দ্বারা তৈরি স্ট্র্যাপের হাত ঘড়ি পাওয়া যায় যা খুবি দেখতে সুন্দর ও যেকোন পরিবেশ ও পোশাকের সাথে মানানসই। তাই, পছন্দ অনুসারে হাত ঘড়ির ডিজাইন নির্বাচন করুন।
মুভমেন্টঃ মুভমেন্ট হল হাত ঘড়ির প্রধান ইঞ্জিনের ধরণ বা অপারেট সিস্টেমের ধরণ যা অনুসরণ করে হাত ঘড়ি সময় প্রদর্শন করে। হাত ঘড়ির মুভমেন্ট সাধারণত ক্যালিবার হিসেবেও পরিচিত। বিভিন্ন ধরণে মুভমেন্ট বা ক্যালিবার সম্পন্ন ঘড়ি বর্তমানে বাংলাদেশে পাওয়া যায়। অন্যতম মুভমেন্ট হলোঃ মেকানিকাল, অটোমেটিক, কোয়ার্টজ, কিনেটিক, এবং ইকো-ড্রাইভ। প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন ধরণের মুভমেন্ট সম্পন্ন হাত ঘড়ি ব্যবহার করতে পারেন। তবে, বর্তমানে তুলনামূলক শতভাগ ও নির্ভুল সময় প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে কোয়ার্টজ মুভমেন্ট হাত ঘড়ির খ্যাতি রয়েছে।
ডিসপ্লেঃ হাত ঘড়ী ডিসপ্লের সাহায্যে সময় প্রদর্শন করে থাকে। বর্তমানে দুই ধরণের ডিসপ্লে সম্পন্ন হাত ঘড়ি পাওয়া যায় তা হলোঃ অ্যানালগ ডিসপ্লে এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে। আবার, কিছু কিছু হাত ঘড়ি পাওয়া যায় যেখানে অ্যানালগ ও ডিজিটাল উভয় ধরণের ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত থাকে। দুই ডিসপ্লে সম্পন্ন হাত ঘড়ীকে ডুয়াল ডিসপ্লে হাত ঘড়ি বলা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন ডিজাইনের ডিসপ্লে সম্পন্ন হাত ঘড়ি বিডিতে পাওয়া যায়।
ওয়াটারপ্রুফঃ বর্তমানে ব্যবহারকারীদের ব্যবহার বিধির ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি হাত ঘড়িতে সংযুক্ত করা হয়। তন্মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি হলো ওয়াটারপ্রুফ প্রযুক্ত যা হাত ঘড়িকে পানির নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত ঘড়ির ভিতরে পানি প্রবেশ থেকে বিরত রাখে। তবে, কিছু কিছু ঘড়ি শুধুমাত্র পানি ছিটা রোধ করতে পারে। তাই, হাত ঘড়ি কেনার পূর্বে ঘড়িটি কতটুকু গভীর পর্যন্ত পানি রোধ করতে পারবে তা জানতে হবে।
অ্যালার্ম সিস্টেমঃ সাধারণত কিছু কিছু হাত ঘড়িতে অ্যালার্ম সিস্টেম থাকে যা নির্দিষ্ট সময় হলে বেজে ওঠে। তাই, প্রয়োজন হলে অ্যালার্ম সিস্টেম সংযুক্ত আছে এমন হাত ঘড়ি নির্বাচন করুন।
বাংলাদেশে হাত ঘড়ির দাম কত?
বর্তমানে বাংলাদেশে হাত ঘড়ির দাম ঘড়ীর ব্র্যান্ড, ডিজাইন, মেটারিয়াল, প্রযুক্তি, এবং কোয়ালিটির ভিত্তিতে ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্য থেকে শুরু হয়। তবে, তুলনামূলক ভালো মানের হাত ঘড়িগুলো ২,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, বিশেষ গুন সম্পন্ন অনেক ঘড়ী পাওয়া যায় যেগুলোর দাম তুলনামূলক অনেক বেশি।