ওয়াইফাই প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য রাউটার বিশেষ করে হোম রাউটার বেশি জনপ্রিয়। আপনি সহজেই একটি রাউটার সেটআপ করতে পারেন এবং বাংলাদেশে রাউটারের দাম ১,০০০ টাকার নিচে।
গেমিং রাউটার আগের থেকে আরও সস্তা এবং গেমিং রাউটার পাওয়া যাচ্ছে ৩,৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে। বিডি স্টলে রয়েছে সমস্ত রাউটারের মূল্য তালিকা এবং এখান থেকে কিনুন বাংলাদেশের সেরা সস্তা রাউটার।
Read more
রাউটার কেনাকাটা
অনেকে একত্রে একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ভাগ করে ব্যবহার করার জন্য রাউটার একটি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। তবে প্রযুক্তির কারনে রাউটারের দাম হ্রাস পেয়েছে তাই এখন একটি রাউটার কেনা খুব সহজ। দেশে রাউটার কেনার কিছু টিপস নীচে দেওয়া হলঃ
১। রাউটারের ধরনঃ তারযুক্ত রাউটারগুলি সরাসরি তারের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলিতে সংযোগ দেয়। এটি স্থিতিশীল সংযোগ সরবরাহ করে। ওয়্যারলেস রাউটার ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ দেয় তাই ক্যাবল সংযোগের প্রয়োজন হয় না। এটি সেটআপ করা খুব সহজ এবং ক্যাবল ছাড়া কনফিগার করা যায়। সাধারণত ওয়্যারলেস রাউটার ২.৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে তবে কিছু আধুনিক রাউটার ডুয়াল ব্যান্ড সমর্থন করে যার অর্থ একই সাথে ২.৪ গিগাহার্টজ এবং ৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিচালনা করতে পারে। কিছু ওয়াই-ফাই রাউটার আকারে ছোট, ব্যাটারি চালিত এবং ৩জি / ৪জি সিম স্লট রয়েছে।
২। রাউটারের রেঞ্জঃ তারযুক্ত রাউটারের রেঞ্জ ৩০০ মিটার। ওয়াইফাই রাউটারের সিগনাল উন্মুক্ত স্থানে ৩০০ ফুট এবং ইনডোরে ১৫০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
৩। রাউটারের গতিঃ হোম রাউটারের গতি ১৫০ এমবিপিএস থেকে ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। আরও উচ্চ গতির রাউটার বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় যেমন গিগাবিট রাউটার প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবিট পর্যন্ত গতি সরবরাহ করতে পারে।
৪। গেমিংঃ গেমিং রাউটার হইয়া উচিৎ দ্রুত গতির, কম লেটেন্সির যা কিছু অনলাইন গেমের জন্য আবশ্যক। এক্ষেত্রে তারযুক্ত রাউটার ভাল কাজ করবে।
৫। অ্যান্টেনাঃ আজকাল, বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া রাউটারগুলির একাধিক অ্যান্টেনা রয়েছে এবং খুব কম দামে পাওয়া যায়। যত বেশি অ্যান্টেনা থাকবে রাউটার তত বেশি কানেকশান একযোগে নিখুঁতভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে। বর্তমানে ১টি অ্যান্টেনা থেকে শুরু করে ৮টি পর্যন্ত অ্যান্টেনার রাউটার পাওয়া যায়।
৬। কানেকশানঃ তারযুক্ত রাউটার সাধারণত যতগুলো পোর্ট থাকে ততগুলো কানেকশান একত্রে সমর্থন করে। তাই তারযুক্ত রাউটার কিনলে যতগুলো কানেকশান লাগবে তত পোর্টের রাউটার কিনবেন। একটিতে কাভার না হলে একাধিক কিনতে হবে। আর ওয়াইফাই রাউটার সাধারণত প্রতিটি ব্যান্ডের জন্য ৩২টি ডিভাইস সমর্থন করে তাই ডুয়াল ব্যান্ডের জন্য এটি ৬৪টি ডিভাইস সমর্থন করবে।
৭। স্ট্যান্ডার্ডঃ এটা কি ধরনের স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে ভালভাবে চেক করুন। কারন বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করলে একাধিক রাউটার একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাল কাজ করবে।
৮। ব্যান্ডউইডথ শেয়ারিংঃ একটি ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইডথ সমান ভাবে ভাগ করা যায় কিনা দেখে নিন তাহলে সবাই সুন্দরভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। কিছু রাউটারে ব্যান্ডউইডথ প্রতিটি কানেকশনের জন্য আলাদাভাবে কাস্টমাইজ করে নেয়া যায়।
৯। পেরেন্টাল কন্ট্রোলঃ বাসায় ছোট বচ্চা থাকলে ছোটরা নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। এটি দিয়ে অনাকাঙ্খিত ওয়েবপেজ বন্ধ করে রাখা যায়।
বিডিতে রাউটারের দাম কত?
বাংলাদেশে রাউটারের দাম সাধারণত এর ব্র্যান্ড, মডেল, সুবিধা এবং অ্যান্টেনা সংখ্যার উপর নির্ভর করে কমবেশি হয়ে থাকে। বিডিতে রাউটারের দাম ১,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যাতে এক বা দুটি অ্যান্টেনা রয়েছে এবং শুধুমাত্র ইন্টারনেট শেয়ার করার জন্য ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে তিন থেকে চারটি অ্যান্টিনা সম্পন্ন রাউটার বাংলাদেশে পাওয়া যায় যার দাম শুরু হয় ১,৫০০ টাকা থেকে যা হাই-স্পিড নেট কানেকশন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, গেমিং রাউটারে সাধারণত উচ্চ গতি থাকে তাই এটির দাম কিছুটা বেশি। আর কিছু তারযুক্ত রাউটার আছে যেগুলো বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত সেগুলোর দাম ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু।
বিডিতে ১,০০০ টাকার নিচে রাউটার
১,০০০ টাকার নিচে সাধারণত সিঙ্গেল বা ডবল অ্যান্টেনা যুক্ত রাউটার বিডিতে পাওয়া যায়। এই বাজেটের রাউটার মূলত ইথারনেট পোর্ট এবং ওয়াই-ফাই এর মতো মৌলিক সংযোগ সুবিধা প্রদান করে। তবে রাউটারের কভারেজ রেঞ্জ এবং ব্যান্ডউইথ সীমিত পরিসর হয়ে থাকে। তাছাড়া, ১,০০০ টাকার নিচে রাউটার এক বা দুই রুমের ছোট বাসায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
বিডিতে ২,০০০ টাকার নিচে রাউটার
দুই থেকে চারটি অ্যান্টেনা যুক্ত মিড-রেঞ্জ রাউটার সাধারণত ২,০০০ টাকার মধ্যে বিডিতে পাওয়া যায়। এই বাজেটের রাউটার ভাল কভারেজ এবং উচ্চ ডেটা ট্রান্সফার স্পীড প্রদান করে। এছাড়াও, গেস্ট নেটওয়ার্ক এবং প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মতো অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। ২,০০০ টাকা বাজেটের রাউটার ছোট থেকে মাঝারি আকারের বাড়ি এবং ছোট আকারের অফিসে ব্যবহারের জন্য আদর্শ রাউটার।
বিডিতে ৩,০০০ টাকার নিচে রাউটার
দুই থেকে চার এর অধিক অ্যান্টেনা, উন্নত ফিচার এবং কর্মক্ষমতা সম্পন্ন রাউটার বিডিতে ৩,০০০ টাকায় পাওয়া যায়। এই বাজেটের রাউটার সাধারণত দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার স্পিড, উন্নত কভারেজ এবং ভিপিএন এবং ফায়ারওয়াল সহ উন্নত সুরক্ষা ফিচার যুক্ত রয়েছে। ৩,০০০ টাকা বাজেটের রাউটার দিয়ে মাঝারি আকারের বাড়ি বা কর্পোরেট অফিসে উচ্চ ইন্টারনেট চাহিদা পূরণের সহ উপযুক্ত।
বিডিতে ৪,০০০ টাকার নিচে রাউটার
বিডিতে ৪,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে উন্নত কর্মক্ষমতা এবং ফিচারের সমন্বয়ে শক্তিশালী রাউটার পাওয়া যায়। এই বাজেটের রাউটার সাধারণত উন্নত কভারেজের জন্য বিমফর্মিং, ভাল সিগন্যাল শক্তির জন্য একাধিক অ্যান্টেনা এবং নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিককে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য উন্নত কিউওএস সেটিংস সহ মত উন্নত টেকনোলোজি সরবারহ করে। তাছাড়া, ৪,০০০ টাকা বাজেটের রাউটার বড় পরিসরে বাসা বাড়ি, অফিস এবং ছোট ব্যবসার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ভালো ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা প্রদান করে।
বিডিতে ৫,০০০ টাকার নিচে রাউটার
বিডিতে ৫,০০০ টাকার নিচে রাউটার সাধারণত উন্নত ওয়্যারলেস স্ট্যান্ডার্ড যেমন- ওয়াইফাই ৬, অপ্টিমাইজড সংযোগের জন্য একাধিক ব্যান্ড এবং এডভান্স ম্যানেজম্যান্ট অপশন সহ উন্নত ফিচার সুবিধা প্রদান করে। এই বাজেটের রাউটার দিয়ে বড় পরিসরে অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ, গেমিং এবং স্ট্রিমিং করা যায়।
ডুয়েল ব্যান্ড রাউটার কি?
ডুয়াল-ব্যান্ড রাউটার হচ্ছে এমন এক ধরনের রাউটার যা একই সাথে ২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ এর মত দুটি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করে থাকে। বড় এরিয়ার ক্ষেত্রে রাউটার থেকে দূরে থাকা ডিভাইসগুলোকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য ২.৪ গিগাহার্জ ব্যান্ড আদর্শ। অন্যদিকে, ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ড ছোট পরিসরের এরিয়াতে দ্রুত গতি প্রদান করে। এছাড়া, ডুয়াল-ব্যান্ড রাউটার মূলত ব্যবহৃত ডিভাইস সমূহের প্রয়োজন এবং ক্ষমতার উপর নির্ভর করে যেকোনও ব্যান্ডের সাথে সংযোগ করার সুবিধা প্রদান করে থাকে। পাশাপাশি গেমারদের জন্য ডুয়েল ব্যান্ড রাউটার তুলনামূলক ভাবে ভালো।
৫জি রাউটারের সুবিধা কি?
৫ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি সম্পন্ন রাউটারকে ৫জি রাউটার বলা হয়। ৫জি রাউটার মূলত ২.৪ গিগাহার্জের তুলনায় দ্রুত এবং উচ্চ গতির সংযোগ প্রদান করে। পাশাপাশি, ছোট পরিসরের জায়গার জন্য ৫জি রাউটার আদর্শ রাউটার। বিডিতে ৫জি রাউটার ১,৮০০ টাকা থেকে ৪,৫০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।
১। ৫জি রাউটার উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে, যা দিয়ে প্রায় ১৩০০এমবিপিএস পর্যন্ত স্পীড পাওয়া যায়।
২। ৫জি রাউটার ব্যবহারে নেটওয়ার্ক কনজেনশনের হার অনেক কম, ফলে মসৃণভাবে ব্রাউজিং, গেমিং করা যায়।
৩। ৫জি রাউটারের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এতে ডুয়েল ব্যান্ড রয়েছে। ফলে, ২.৪ গিগাহার্জ ব্যান্ড সাপোর্টেড পুরাতন ডিভাইস সমূহ সহজেই ব্যবহার করা যায়।
৪। ৫জি রাউটারে খুবই কম ল্যাটেন্সি হয়ে থাকে। ফলে, এই রাউটার ব্যবহারে ডিভাইস ও নেটওয়ার্কের মধ্যে ডাটা আদান প্রদানে খুব কম সময় লাগে।
৫। তাছাড়া, নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে ৫জি রাউটার দিয়ে অনেক ডিভাইস একসাথে ব্যবহার করা যায়। এবং প্রত্যেকটি ডিভাইসে স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রদান করে।
৬। ৫জি রাউটারে বিমফর্মিং এবং মাল্টিপল ইনপুট মাল্টিপল আউটপুট (MIMO) এর মত উন্নত টেকনোলোজি যুক্ত রয়েছে। যা নেটওয়ার্কের সিগন্যাল শক্তিশালী করে এবং স্থিতিশীল সংযোগ বজায় রাখতে সহায়তা করে।
গেমারদের জন্য কোন ধরণের রাউটার ভালো?
গেমারদের গেমিং করার জন্য ওয়্যারড রাউটার হচ্ছে আদর্শ কারণ ওয়্যারড রাউটারের মাধ্যমে গেমার তার গেমিং ডিভাইসে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কানেকশন পেয়ে থাকে। এবং, নেটওয়ার্ক ল্যাটেন্সি অনেকটাই কম থাকে বিধায় স্মুথলি গেমিং করা যায়। পাশাপাশি অনলাইন গেমিংয়ের জন্য সামগ্রিক নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স উন্নত করতে সহায়তা করে। বর্তমানে, বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে গেমিং রাউটার পাওয়া যায়, যা একই রকম পারফরম্যান্স প্রদান করে। বিডিতে যে কেউ একটি গেমিং রাউটার কিনতে পারেন।
হোম ইউজারদের জন্য ভালো রাউটার কোনটি?
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে দুই অ্যান্টেনা থেকে শুরু করে আট অ্যান্টেনা বিশিষ্ট রাউটার পাওয়া যায়। তবে, ২-অ্যান্টেনা রাউটার হোম ব্যবহারকারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় রাউটার কারণ এটি দামে সস্তা এবং ১০ জন ব্যবহারকারী সহজেই ব্যবহার করতে পারে। এই ধরণের রাউটার বাসা-বাড়িতে, ছোট অফিসে এবং দোকানে ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়। হোম ইউজারদের মধ্যে যদি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী অধিক অ্যান্টেনা সম্পন্ন ওয়্যারলেস রাউটার নির্বাচন করা উচিত। হোম রাউটার সাধারণত অনেক সস্তা দামে পাওয়া যায়। বিডিতে হোম রাউটারের দাম ১,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় এবং অ্যান্টেনার সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।
লোড ব্যালেন্সিং রাউটার এর সুবিধা কি?
লোড ব্যালেন্সিং রাউটার মূলত কর্পোরেট অফিস এবং ডাটা সেন্টারগুলোতে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়। কারণ লোড-ব্যালেন্সিং রাউটার ব্যবহারকারীকে একটি বিরামবিহীন সংযোগ প্রদানের জন্য একটি রাউটারের সাথে একাধিক ইন্টারনেট লাইন সংযুক্ত করে। ফলে, নেটওয়ার্কে ট্রাফিক ওভারলোড কমে যায় এবং একটি ইন্টারনেট লাইনের সমস্যা হলে, অন্য ইন্টারনেট লাইন স্বয়ংক্রিয় ব্যাকআপ প্রদান করে। ফলে কাজ করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট জনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০,০০০ টাকার কমে লোড ব্যালেন্সিং রাউটার পাওয়া যায়, যা নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট কানেকশনে যথেষ্ট কার্যকর।
বিডিতে ২০০০টাকার মধ্যে কি কি রাউটার পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে ২০০০ টাকা দামের মধ্যে বেশ কিছু রাউটার রয়েছে। তবে এই বাজেটের মধ্যে বিডিতে উল্লেখযোগ্য রাউটার হচ্ছে টিপি-লিংক টিএল-ডব্লিউআর ৮৪০ এন, শাওমি এমআই ৪সি, ডি-লিঙ্ক ডিআইআর-৬১৫, মারকিউসিস এমডব্লিউ৩২৫আর ইত্যাদি মডেলের রাউটার রয়েছে। এই রাউটার গুলো সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস ডাটা ট্রান্সফার স্পীড, দুই থেকে চার অ্যান্টেনার হয়ে থাকে পাশাপাশি ছোট থেকে মাঝারি আকারে বাসা কিংবা অফিসে কভারেজ দিয়ে থাকে।
৭ টি বিশেষ টিপস যা রাউটারের কর্মক্ষমতা উন্নত করবে
রাউটারের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য টিপস সমূহ হচ্ছেঃ
- প্রথমত রাউটারের বাগ ঠিক করতে, কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করতে ফার্মওয়্যার আপডেট করতে হবে। এক্ষেত্রে রাউটারের সাথে থাকা ম্যানুয়াল গাইড থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বশেষ সংস্করণে রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করতে হবে।
- রাউটারটি বাসা, বাড়ি কিংবা অফিসের কেন্দ্রীয় অবস্থানে সেট করতে হবে যেখান থেকে সমস্ত এরিয়াতে সর্বোত্তম কভারেজ পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সিগন্যাল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে যেন কোনো ধরণের বাধার সম্মুখীন না হয় সেজন্য ধাতব বস্তু বা বড় যন্ত্রপাতির কাছে স্থাপন করা যাবে না।
- অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস যেন রাউটারের সিগন্যালে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য রাউটারের চ্যানেল পরিবর্তন করতে হবে। ফলে রাউটার ব্যবহারে উন্নত কর্ম ক্ষমতা পাওয়া যাবে।
- বহিরাগত অ্যাক্সেস রোধ করতে এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করতে ডব্লিউপিএ-২ এনক্রিপশন ব্যবহার করতে হবে। তাহলে রাউটার ব্যবহারে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত থাকবে।
- ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যত বেশি ডিভাইস সংযুক্ত থাকবে, ব্যান্ডউইথ তত বেশি শেয়ার হয়ে যাবে এবং নেটওয়ার্ক ধীর গতি হয়ে যাবে। তাই বেশি ব্যান্ডউইথ পাওয়ার জন্য নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
- ইথারনেট সংযোগ সাধারণত ওয়্যারলেস সংযোগের চেয়ে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য গতি প্রদান করে৷ তাই গেমিং কনসোল বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে উচ্চ ব্যান্ডউইথের প্রয়োজনে ওয়্যার্ড রাউটারের ব্যবহার করা উত্তম৷
- এছাড়া রাউটার যদি পুরানো হয়ে থাকে, তাহলে আরও ভাল পারফরম্যান্স এবং উন্নত বৈশিষ্ট্য যুক্ত নতুন মডেলের রাউটার সংগ্রহ করতে হবে।
সামগ্রিকভাবে, উপরোক্ত টিপস সমূহ অনুসরণ করলে রাউটারের কর্মক্ষমতা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ থেকে সর্বোত্তম গতি এবং কভারেজ পাওয়া যাবে।
একাধিক অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটারের সুবিধা
১। একাধিক অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটার শক্তিশালী সিগন্যাল এবং ভালো কভারেজ প্রদান করে। যা বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসে স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিয়তা প্রদান করে।
২। একাধিকা অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটার বিস্তৃত পরিসরে সিগন্যাল আদান প্রদান করতে পারে। ফলে, রাউটারের কভারেজ এরিয়ার মধ্যে বেশি দূরত্ব থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে।
৩। একাধিক অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটার উচ্চগতিতে ডেটা ট্রান্সফারের সুবিধা প্রদান করে, ফলে স্ট্রিমিং, গেমিং এবং ফাইল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়।
৪। অতিরিক্ত অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটার দেয়াল বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বাধা থেকে ব্যবহৃত ডিভাইসে সিগন্যাল এবং ডাটা লস এর হার কমায়।
৫। একাধিক অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটারে এক সাথে মাল্টিপল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ পাওয়া যায়। ফলে, বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসে অনেক ব্যবহারকারী স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।