পানির পাম্প কেনাকাটা
বাংলাদেশে বর্তমানে দৈনন্দিন কাজে ওয়াটার পাম্প একটি প্রয়োজনীয় মেশিন। ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন জায়গায় ওয়াটার পাম্পের ব্যবহার লক্ষণীয়।
বাংলাদেশে কোন ধরনের ওয়াটার পাম্প পাওয়া যায়?
প্রয়োজনীয়তার অনুসারে ছোট বড় সব ধরনের ওয়াটার পাম্পের ব্যবহার দেখা যায়। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহারকৃত ওয়াটার পাম্প নিয়ে আলোচনা করা হলঃ
মিনি ওয়াটার পাম্পঃ মিনি ওয়াটার পাম্পগুলো সাইজে ছোট হয়ে থাকে। এই পাম্পগুলো পাইপের সাথে সংযুক্ত করে বিভিন্ন গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। আবার, মিনি ওয়াটার পাম্প এর মাধ্যমে পানি ধীর গতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া যায়। তবে, এই পাম্পগুলো দ্বারা বেশি পরিমাণ পানি স্থানান্তরের কাজ করা যায় না।
স্ট্যান্ডার্ড ওয়াটার পাম্পঃ বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ওয়াটার পাম্পগুলো সকল বাসা-বাড়িতে মাটির নিচ থেকে পানি তোলার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার, এই ওয়াটার পাম্পগুলো গ্রামাঞ্চলে ফসলি ক্ষেতে জল-সরবরাহ করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ওয়াটার পাম্পগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এই পাম্পগুলো সাধারণত মাটির উপরে স্থাপন করা হয়।
মাইক্রো ওয়াটার পাম্পঃ মাইক্রো ওয়াটার পাম্পগুলো সাইজে খুব ছোট হয়ে থাকে। এই ওয়াটার পাম্পগুলো শুধুমাত্র ছোট সাইজের অ্যাকুরিয়ামের সাথে ব্যবহার করা হয়।
সাবমারসিবল ওয়াটার পাম্পঃ সাবমারসিবল ওয়াটার পাম্পগুলো একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, সাবমারসিবল ওয়াটার পাম্প ড্রেনের পাইপলাইনে স্থাপন করে ময়লা নিঃসরণ করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
গভীর নলকূপঃ পানির স্তর বেশ নিচ হলে গভীর নলকূপের প্রয়োজন হয় এবং এই নলকূপের মাধ্যমে মাটির অনেক নিচ থেকে পানি উত্তলন করা যায়। তবে এটি করা একটু ব্যয়বহুল কারন শক্তিশালী মোটরের প্রয়োজন হয়। আর কৃষিকাজে সেচ দেয়ার জন্য বাংলাদেশের গ্রামে এটি বহুল ব্যবহৃত।
ওয়াটার পাম্প কিনার আগে কি কি দেখতে হবে?
ওয়াটার পাম্প কিনার পূর্বে অবশ্যই কিছু বিষয় বিবেচনা করে কিনতে হবে। যেসকল বিষয় অবশ্যই মাথায় রেখে ওয়াটার পাম্প কিনা উচিৎঃ
মোটরের হর্সপাওয়ারঃ একটি ওয়াটার পাম্প প্রতি সেকেন্ডে কতটুকু গভীরতা থেকে কতটুকু পানি তুলতে পারে সেটাই তার হর্সপাওয়ার। মাটির কতটুকু গভীরতা থেকে পানি তুলতে হবে সেটা নির্ণয় করে মোটরের হর্সপাওয়ারের সাথে মিলিয়ে মোটর কিনা উচিত। যত বেশি হর্সপাওয়ার হবে ততই কম সময়ে অধিক পরিমাণ পানি উত্তোলন সম্ভব।
মোটরের ভোল্টেজঃ সকল ওয়াটার পাম্পের মোটর নির্দিষ্ট ভোল্টেজের সাথে চলতে পারে। নির্দিষ্ট ভোল্টেজের বাহিরে মোটর চালানোহলে মোটরের কয়েল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, অবশ্যই নিজ এলাকার স্বাভাবিক ভোল্টেজের উপর ভিত্তি করে মোটর কেনা উচিত।
বাংলাদেশের ওয়াটার পাম্পের দাম কত?
বাংলাদেশে ব্যবহারকৃত ওয়াটার পাম্পগুলোর মধ্যে সাইজ ও প্রতি ঘণ্টা পানি ট্রান্সফার ক্ষমতার উপর দামের পরিবর্তন হয়ে থাকে। মিনি ওয়াটার পাম্প গুলো ৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, ছোট সাইজের অ্যাকুরিয়ামের সাথে ব্যবহারযোগ্য মাইক্রো ওয়াটার পাম্প গুলো ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আর, স্ট্যান্ডার্ড ওয়াটার পাম্প গুলো ৪,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। অন্যদিকে সাবমারসিবল ওয়াটার পাম্পগুলোর দাম অন্যন্য ওয়াটার পাম্পের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। এই ওয়াটার পাম্প গুলো ১০,০০০ টাকে থেকে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।