গেম কনসোল কেনাকাটা
পৃথিবী জুড়ে অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে গেম খেলার প্রতি স্পৃহা। বাংলাদেশেও রয়েছে অনেক গেম খেলোয়াড়। মানুষ অবসর সময়কে উপভোগ করতে খেলে বিভিন্ন গেমস। বর্তমানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ রিকশা, বাস, গাড়ি, ট্রেন সহ বিভিন্ন যানবাহনে উঠে যাতায়াতের সময় কাটাতে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পছন্দ করে নিয়েছে গেমস খেলাকে। আর এই গেমসকে আরও সহজ ভাবে খেলতে এবং অধিক উপভোগের জন্য বাংলাদেশে অনেক রকমের গেম কনসোল পাওয়া যায়। এই গেম কনসোল গুলো গেমস খেলাকে আরও সহজ করে তুলে। তাছাড়া বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন প্রফেশনাল গেমার তৈরী হয়েছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে প্রতিজগিতা করে আর ছাইড়া বৃদ্বির ফলে বিভিন্ন দামের ভিডিও গেম কনসোলের এখন বিডি স্টলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ভিডিও গেম কনসোলের দাম কত?
বাংলাদেশে ভিডিও গেম কনসোলের দাম মাত্র ১,০৯৯ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার বেশিও হিউ থাকে। সর্বনিম্ন কম দামের এই ভিডিও গেম কনসোলেগুলোতে সাধারণত ৩.০ ইঞ্চি টিএফটি কালার স্ক্রীন, ৬০০ মিলিএম্পিয়ারের ব্যাটারি, ৪ ঘন্টার মতো গেম খেলার সুবিধা আছে। আর ভাল মানের কিছু গেম কনসোলগুলোতে স্ক্রিন না থাকলেও এগুলো টিভিতে কানেক্ট করা যায় ফলে বড় স্ক্রিনে গেম খেলার মজা উপভোগ করা যায় খুব সহজেই। এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের ভিডিও গেম কনসোল পাওয়া যায় বিভিন্ন দামের। মূলত ভিডিও গেম কনসোলের দাম নির্ধারণ করা হয় গেম কনসোলের ব্র্যান্ড, গ্রাফিক্স ইউনিট মানে কত ভাল গ্রাফিক্স প্রদান করে, মেমোরি, স্টোরেজ এবং বিভিন্ন কানেকশন এবং গেম মড এর উপর ভিত্তি করে।
গেমিং কনসোলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
গেমিং কনসোলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানের গেমিং কনসোল গুলোতে যুক্ত হচ্ছে অনেক রকমের বিশেষত্ব যা নিম্ন লিখিত সুবিধা গুলো প্রদান করে থাকেঃ
১। হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোলে সরাসরি গেম খেলা যায় অন্যান্য ডিভাইসের দরকার হয় না।
২। গেম কনসোলকে অন্যান্য মনিটরের সাথে সংযোগ করা যায় ফলে বড় স্ক্রীনে গেম খেলার সুবিধা পাওয়া যায়।
৩। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন আকৃতির গেম কনসোল পাওয়া যায় তাই ছোট থেকে বড় সকলেই গেম খেলার সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৪। পোর্টেবল গেমিং কনসোলে বিভিন্ন রকমের রেজুলেশনের ডিসপ্লে থাকে। উচ্চমানের ডিসপ্লে দিয়ে পরিষ্কার ভিউ পাওয়া যায়।
৫। হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোলে অনেকগুলো গেম ইন্সটল করা থাকে তাই আলাদা ভাবে ইন্সটল করার ঝামেলা নেই।
৬। স্টোরেজ সুবিধাও আছে গেমিং কনসোল গুলোতে ফলে ইচ্ছা মতো গেম ডাউনলোড করে খেলা যাবে খুব সহজেই।
গেম কনসোলে কি আলাদা ভাবে কোনো মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায়?
বর্তমানের উচ্চ মানের গেম কনসোলগুলোতে ইন্টার্নাল মেমোরির সুবিধার পাশাপাশি এক্সটার্নাল ভাবে আরও স্টোরেজ পেতে মেমোরি কার্ড যুক্ত করা যায়। ফলে আরও বেশি গেম ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যায়। ১৬ জিবি থেকে শুরু করে ৩২ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করে এমন গেমিং কনসোল খুব সস্তা দামে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়।
গেম কনসোলে কি ক্যামেরা থাকে?
বর্তমানের অনেক গেম কনসোলে ডুয়াল ক্যামেরার সুবিধাও পাওয়া যায়। সামনের ক্যামেরা দিয়ে সেলফি এবং পিছনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা যায় খুব চমৎকার ভাবে। গেম কনসোলের ক্যামেরা গুলো খুব উন্নত মানের ছবি এবং ভিডিও করতে পারে। বাংলাদেশে ক্যামেরা যুক্ত গেম কনসোলের দাম প্রায় একই।
প্লে স্টেশন গেম কনসোল গুলো কি অন্যান্য গেমিং কনসোল থেকে আলাদা?
এটি সনি কম্পানির তৈরী তাই এটিএক সনি প্লে স্টেশন বলে। প্লে স্টেশন গেম কনসোলগুলো অন্যান্য গেমিং কনসোল থেকে আলাদা কেননা অন্যান্য গেমিং কনসোল থেকে প্লে স্টেশনে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। প্লে স্টেশনে ক্যামেরা, স্পীকার, ডেডিকেটেড স্টোরেজ সিস্টেম মেমোরি, ওয়াইয়াই কানেকশন, বড় টাচস্ক্রীন ডিসপ্লে, প্রাণবন্ত টেক্সচার এবং বুস্ট মোড সহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়।
গেম কনসোল কেনার আগে যা যা জানা দরকার?
গেম কনসোল কেনার আগে কয়েকটি জিনিস ভালো ভাবে জানা উচিৎ। নিম্ন লিখিত গেমিং কনসোলের এই সকল জানা থাকলে একটি ভালো মানের গেমিং কনসোল কেনা যাবেঃ
গেম কনসোলের সাইজঃ
গেম কনসোল কেনার অবশ্যই এটির সাইজ জেনে নিতে হবে কেননা সাইজের উপর দাম এবং কোন করবে। বাংলাদেশে দুই ধরনের গেম কনসোল পাওয়া যায়
- হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোল
- হোম গেম কনসোলে
হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোলঃ এগুলোতে সাধারণত ডিসপ্লে থাকে, গেম খেলার জন্য বিভিন্ন বাটন থাকে। আকারে ছোট এমন গেম কনসোল গুলো বাচ্চাদের জন্য ভাল এবং বিভিন্ন সময় ভ্রমনের জন্য ব্যবহার করাযায় আর দামে অনেক সস্তা।
হোম গেম কনসোলঃ এগুলোতে ডিসপ্লে থাকে না তবে টিভিতে কানেক্ট দিয়ে উন্নতমানের গ্রাফিক্স উপভোগ করা যায়।
ডিসপ্লে রেজুলেশনঃ
ডিসপ্লে রেজুলেশন কেমন এটা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। পূর্বের ভিডিও গেম কনসোল গুলোর চাইতে বর্তমানের গেমকনসোলগুলো অনেক ভাল মানের রেজুলেশনের স্ক্রীন যুক্ত করছে বা সাপোর্ট করে। বর্তমানে ৪কে রেজুলেশনের গেম কনসোল পাওয়া যায় বাংলাদেশে। তাই বর্তমানের ভিডিও গেম কনসোল গুলো কেনা বেশি ভাল।
ওয়াইফাই প্রযুক্তিঃ
বর্তমানের গেমিং কনসোলে ওয়াইফাই প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে ফলে বিভিন্ন অনলাইন গেমস গুলো খেলা যায়। তাই একটু দাম হলেও ওয়াইফাই প্রযুক্তির ভিডিও গেম কনসোল কেনা ভাল।
স্টোরেজঃ
স্টোরেজ কেমন সেটি জেনে নিতে হবে কেননা স্টোরেজ যত বেশি থাকবে তত বেশি গেম ডাউনলোড করা যাবে ভিডিও গেম কনসোলে। ডেডিকেটেড স্টোরেজের পাশাপাশি এক্সটার্নাল স্টোরেজে কত জিবির মেমোরি কার্ড এছাড়াও বর্তমানে ক্যামেরা যুক্ত গেমিং কনসোল পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের বাজারে ফলে ছবি এবং ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রেও স্টোরেজ সুবিধা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
ব্যাটারিঃ
হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোল কিনলে ব্যাটারি যত বেশি শক্তিশালী হবে তত বেশি গেম খেলা যাবে। তাই হ্যান্ডহেল্ড ভিডিও গেমিং কনসোল কেনার আগে ব্যাটারি কত মিলিএম্পিয়ারের সেটি জেনে নিতে হবে। তবে চেষ্টা করতে হবে ৮৫০ মিলিএম্পিয়ার ব্যাটারি থেকে শুরু করে আরও অধিক ব্যাটারি মিলিএম্পিয়ারের হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোল কেনার জন্য কেননা এগুলো অধিক উত্তম।
মড সাপোর্টঃ গেমিং অভিজ্ঞতা লাভের জন্য কিছু গেম কনসোল গেম মড সমর্থন কিন্তু এগুলো খুব বেশি পাওয়া যায় না।