পুরাতন ল্যাপটপ কেনাকাটা
পুরাতন ল্যাপটপ কেন কিনবেন ?
আপনার বাজেটের ৭০% অবধি সাশ্রয় করুন বাংলাদেশে একটি ভাল মানের ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনে, তবে আপনাকে এটি ভাল করে পরীক্ষা করে কিনতে হবে। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত।
ল্যাপটপের বডিঃ
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ক্ষত্রে ল্যাপটপের বডি ভালো ভাবে দেখে কিনতে হবে যেন বডিতে কোন প্রকারের ফাটা বা স্ক্র্যাচ আছে কিনা। ল্যাপটপের বডি দেখলেই মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায় যে এটি কত দিন ব্যবহৃত হয়েছে।
স্ক্রীন কন্ডিশনঃ
ল্যাপটপের অন্যতম প্রধান একটি অংশ হচ্ছে এর স্ক্রীন। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের স্ক্রীনে অবশ্যই ভালো ভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। ল্যাপটপের স্ক্রীনে সাধারণত যে সকল সমস্যা গুলো হয়ে থাকে তা হলো ফ্লিকারিং, ডিস কালারিং, ডট পিক্সেল, স্যাকিং।
ফ্লিকারিং ও স্যাকিংঃ যদি ল্যাপটপ চালু করার পরে স্ক্রীনের মধ্যে ছোট ছোট কাটা দাগ বা রেখার কম্পন দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে এর স্ক্রীনের মধ্যে ফ্লিকারিং ও স্যাকিং এর সমস্যা আছে। সাধারণত এই সমস্যা গুলো বুঝা যায় না এর জন্য নোট প্যাড অথবা মাইক্রোসফ্যটের সাদা পেজ ওপেন করে চেক করে নেওয়া যায়।
ডিস-কালারিং ও ডেড পিক্সেলঃ ল্যাপটপের স্ক্রীনের মধ্যে ছোট বা বড় বিন্দু থাকতে পারে যেগুলকে বলে ডেড পিক্সেল। এই দাগগুলি এক পর্যায়ে বড় হতে থাকে এবং ডিসপ্লের স্ক্রীনকে নষ্ট করে ফেলে। এই সমস্যা গুলো ঠিক আগের মতোই নোট প্যাড ওপেন করে চেক করে নেওয়া যায়।
কীবোর্ডঃ
পুরানো ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কীবোর্ড। যা সাধারণ উপায়ে বোঝা যায় না তবে এটি কাজ করতে গেলে বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের প্রত্যেকটি বোতাম চেক করা উচিৎ।
ল্যাপটপের পোর্টঃ
ল্যাপটপের পোর্ট এর সমস্যা থাকলে তা খালি চোখে দেখা বা বোঝা যায় না। তাই পুরাতন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ল্যাপটপের সকল ধরণের পোর্ট কাজ করছে কিনা তা চেক করে নেওয়া ভালো। যা পরবর্তি সময়ে কাজ করার জন্য সুবিধা হবে।
ডিভিডি ড্রাইভঃ
ডিভিডি ড্রাইভ ল্যাপটপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যার সাহায্যে ল্যাপটপের উইন্ডোস, গেম সহ গুরুত্ব পূর্ণ ডাটা ইনপুট করা হয় । ব্যবহৃত ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এটিও চেক করে নেওয়া উচিৎ।
ওয়াই-ফাই চেকিংঃ
বর্তমান সময়ে ওয়াই-ফাই হচ্ছে একটি ল্যাপটপের প্রাণ বলা যায় কারণ ল্যাপটপে ইন্টারনেট চালানোর মূল চাবিকাঠি হচ্ছে ওয়াই-ফাই। ল্যাপটপ কেনার আগে ওয়াই-ফাই কানেকশনটি চালু করে দেখুন সংযোগ পাচ্ছে কি না? যদি সেখানে ওয়াইফাই না থাকে তাহলে মোবাইলের হটস্পট চালু করে ওয়াইফাই এর সংযোগ দিয়ে চেক করে নিন।
ওয়েবক্যাম এবং স্পিকারঃ
বর্তমানে শিক্ষা এবং মীটিং এর কাজে ওয়েবক্যাম ব্যাপক ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই দেখে নিন এটা কাজ করছে কিনা। সাথে ল্যাপটপের স্পীকার ভালো না হলে এর সাঊন্ড কোয়ালিটি ভালো আসবে না। ব্যবহৃত ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অডিও বাজিয়ে চেক করে নেওয়া ভালো। তাহলে স্পিকারের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ব্যাটারীর অবস্থাঃ
যেহেতু ল্যাপটপ তুলানা মূলক হালকা তাই ল্যাপটপ সব জায়গায় বহন করা যায় এর জন্য ব্যাটারি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ল্যাপটপের ব্যাটারির অবস্থা ভালো হলে ব্যবহার করেও সুবিধা পাবেন। এজন্য ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে জেনে নিন এবং ব্যাটারি চার্জ হতে কত সময় লাগে।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত ল্যাপটপের দাম কত?
বাংলাদেশে ব্যবহৃত ল্যাপটপের দাম ৭,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যেটি দিয়ে বেসিক ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং টেক্সট এডিটিং করতে পারবেন। যদি একটি মাঝারি পারফরম্যান্সের ল্যাপটপ চান যেখানে গেমিং বা এডিটিং কোন চিন্তার বিষয় নয়, তবে ১৫,০০০ টাকায় আপনি বিডিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। পেশাদারদের কাজের জন্য ২০,০০০ বা তার বেশি বাজেট রাখুন তা দিয়ে একটি উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন ল্যাপটপ পেতে পারেন যা আধুনিক অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে সহজে চালাতে সক্ষম।