স্যামসাং টিভি কেনাকাটা
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সকল টিভি ব্র্যান্ডের মধ্যে স্যামসাং টিভি অনেক জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও রয়েছে স্যামসাং টিভির বড় গ্রাহক। স্যামসাং কম দামে ভালো টিভি, আধুনিক সকল বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন রেজুলেশনের বিভিন্ন মানের টিভি দিয়ে কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশের লাখো মানুষের হৃদয়। তবে স্যামসাং টিভি নিয়ে উৎসুক জনতার মাঝে আছে কিছু প্রশ্ন। আসুন জেনে নেয়া যাক স্যামসাং টিভিকে কেন্দ্র করে সকল প্রশ্নের উত্তর।
বাংলাদেশে স্যামসাং টিভির দাম কত?
বাংলাদেশে স্যামসাং টিভির দাম মাত্র ১৫,৪৮০ টাকা থেকে শুরু যেটাতে এইচডি রেসল্যূশন আছে এবং পরিষ্কার ছবি প্রদান করে সাথে উন্নমানের সাউন্ড সিস্টেম সংযুক্ত আছে। তবে স্যামসাং টিভির দাম নির্ভর করে এর ডিসপ্লে প্রযুক্তি, স্ক্রিন সাইজ এবং আধুনিক সুবিধার উপর। তবে স্যামসাং টিভি কেনার সময় এর বিক্রয়ত্তর সেবা এবং পার্টসের ওয়ারেন্টি কত দিন দেখে নেয়া ভাল কারন এর উপর ভিত্তি করে দাম কম বেশি হয়।
কম দামের ভিতর স্যামসাং স্মার্ট টিভিগুলো কেমন সুবিধা দেয়?
বাংলাদেশে স্যামসাং স্মার্ট টিভি ২৫,৫০০ টাকার ভিতর পাওয়া যায় যেটাতে ওয়াইফাই সুবিধাসহ ওয়েবব্রাওজিং, গেম খেলা এবং অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। সাধারণত স্যামসাং স্মার্ট টিভিতে টাইজেন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয় যেটি স্যামসাং কোম্পানির নিজস্ব তৈরি। এই স্যামসাং স্মার্ট টিভিতে আরও আছে উন্নতমানের প্রসেসর, ইকো সেন্সর, ভয়েস কন্ট্রোল সুবিধা।
স্যামসাং এন্ড্রোইড টিভি কত দামে বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
স্যামসাং এন্ড্রোইড টিভিগুলোর স্ক্রিন একটু বড় হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশে এর দাম ৪০,০০০ টাকার ভিতর। এই স্যামসাং এন্ড্রোইড টিভিগুলো খুব উন্নতমানের এবং এইচডিআর ১০+ থেকে শুরু করে শক্তিশালী স্পিকার, বিভিন্ন এপস ডাউনলোড সুবিধা আছে।
স্যামসাং ৪০ ইঞ্চি, ৪২ ইঞ্চি এবং ৪৩ ইঞ্চি টিভির ভিতর কোনটি সাশ্রয়ী?
বাংলাদেশের বাজারে ৪০, ৪২ এবং ৪৩ ইঞ্চির টিভি সবচেয়ে জনপ্রিয় তবে স্যামসাং ৪৩ ইঞ্চির টিভি বেশি তৈরী করে কারন বাংলাদেশে এই দামের ভিতর স্যামসাং ৪৩ ইঞ্চি স্ক্রিনের টিভি মাত্র ৩৭,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এটিতে উন্নত প্ৰযুক্তিসহ সব ধরনের সুবিধা আছে।
স্যামসাং এর ৪কে টিভিগুলো কি ভাল?
বাংলাদেশের বাজারে যত ব্রান্ডের টিভি আছে তার ভিতর স্যামসাং ৪কে টিভিগুলো সেরা কারন এর সাশ্রয়ী দাম মাত্র ৪২,০০০ টাকা থেকে শুরু কিন্তু সাথে পাচ্ছেন সর্বশেষ প্রযুক্তির সব সুবিধা। স্যামসাং ৪কে টিভি দিয়ে ভিডিওগুলোর বাস্তব অনুভূতি পাবেন।
স্যামসাং ৩২ ইঞ্চি টিভি কি সাশ্রয়ী?
স্যামসাং ৩২ ইঞ্চি টিভির দাম মাত্র ১৫,৪৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২৬,৪৯৯ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এগুলো এইচডি রেজুলেশনের টিভি। ৩২ ইঞ্চির এই টিভি গুলোতে ওয়াইফাই প্রযুক্তি সাপোর্ট করে তাই যখন ইচ্ছা মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। কম দামের মধ্যে স্যামসাং স্মার্ট টিভি এখন হাতের নাগালে।
স্যামসাং টিভি গুলো কি স্লিম?
স্যামসাং স্মার্ট টিভিগুলো স্লিম এবং অনেক গুলো আছে বর্ডার লেস। এই টেলিভিশন গুলো ফুল এইচডি, ৪কে রেজুলেশন বা ৮কে রেজুলেশন এর হয়ে থাকে এবং এর সাথে যদি বর্ডারলেস এবং ৪০ ইঞ্চির উপরে ডিসপ্লে সাইজের কম্বিনেশন পাওয়া যায় তাহলে প্রাণবন্ত বাস্তবিক ভিডিও দেখার মজা পাওয়া যাবে।
স্যামসাং এলইডি টিভিতে রিফ্রেশরেট ভালো?
স্যামসাং এলইডি টিভি গুলোতে উচ্চ মানের রিফ্রেশরেট পাওয়া যায়। ৬০ হার্জ থেকে শুরু করে ১২০ হার্জ রিফ্রেশরেটের এলইডি টিভি পাওয়া যায় এখন বাংলাদেশের বাজারে। বাজেট অনুযায়ী পছন্দের স্যামসাং টেলিভিশন কিনে গ্রাহকদের রিফ্রেশরেট সম্পর্কে নিশ্চিন্তে রাখতে স্যামসাং সর্বদা সোচ্চার।
র্যাম এবং স্টোরেজ কেমন?
উচ্চ মানের র্যাম এবং স্টোরেজের জন্য স্যামসাং টেলিভিশন বিশ্ববিখ্যাত। বাংলাদেশে ২ জিবি থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যামের টিভি রয়েছে। তাই ছবি এবং ভিডিও দেখার পাশাপাশি অনেক গেমসও খেলা যায় স্যামসাং-এর টিভি গুলোতে। আর দামের দিক থেকে বাংলাদেশে বেশ কম।
স্যামসাং এলইডি ডিসপ্লে ভালো নাকি ওলেড ডিসপ্লে?
এলইডি ডিসপ্লে এবং ওলেড ডিসপ্লে দুটোই নিজ নিজ গুণে সেরা। এলইডি টেলিভিশনে ব্যাকলিট প্রযুক্তি ব্যবহার হয় যা ছবি তৈরি করতে সব ক্রিস্টেলকে একটি প্যানেল হিসেবে ব্যবহার করে। আর ওলেড টিভি প্রতিটি পিক্সেলকে আলাদা ভাবে লাইট আপ করে একসাথে ছবি বা ভিডিও তৈরি করে। কিন্তু প্রযুক্তিগত পার্থক্য থাকলেও ছবি বা ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে, দুটি ডিসপ্লে প্রযুক্তি সহ স্যামসাং ব্র্যান্ডের টিভি খুব সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় যেখানে স্যামসাং এলইডি টিভির দাম প্রায় ১৪,০০০ টাকা এবং স্যামসাং ওএলইডির দাম অনেক বেশি।
স্যামসাং টেলিভিশনে গ্রাহক সেবা কেমন পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে স্যামসাং ব্র্যান্ড তার টেলিভিশন গুলোতে গ্রাহকদের জন্য মনোমুগ্ধকর সেবা প্রদান করে থাকে। ওয়ারেন্টি এবং গ্যারান্টির ক্ষেত্রে স্যামসাং ব্র্যান্ড তার টেলিভিশনের সাথে ২ বছরের ওয়ারেন্টি থেকে শুরু করে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি পর্যন্ত দিয়ে থাকে।