কিউএলইডি Television কেনাকাটা
উচ্চ-মানের বিনোদন চাহিদা মেটাতে কিউএলইডি টিভি হচ্ছে উপযুক্ত মাধ্যম। এটি মূলত কোয়ান্টাম ডট লাইট ইমিটিং ডায়োড ডিসপ্লে টেকনোলোজিতে তৈরি টিভি, যা ছবি,ভিডিও দেখার পাশাপাশি গেমিং করার ক্ষেত্রে নির্ভুল কালার, ব্রাইটনেস এবং কন্ট্রাস্ট প্রদান করে থাকে। এছাড়াও, কোয়ান্টাম ডট ন্যানো টেকনোলোজি ব্যবহার করায় এলইডি টিভি ও এলসিডি টিভির তুলনায় কিউএলইডি টিভি যথেষ্ট মনোমুগ্ধকর ছবি সরবারহ করে থাকে। বর্তমানে, উচ্চ রেজোলিউশন, উন্নত সাউন্ড সিস্টেম এবং কানেক্টিভিটির সমন্বয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্ক্রিন সাইজের সেরা মানের কিউএলইডি টিভি বাংলাদেশে ওএলইডি টিভির তুলনায় সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।
কিউএলইডি টিভির দাম কত?
কিউএলইডি টিভির দাম বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী এলসিডি টিভি এবং এলইডি টিভির চেয়ে বেশি, তবে ছবি, ভিডিও এবং গেমিংয়ের ক্ষেত্রে উন্নত গুণমান এবং কর্মক্ষমতা প্রদান করে থাকে। তাছাড়া, স্ক্রিন সাইজ, রেজোলিউশন এবং অন্যান্য ফিচারের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে কিউএলইডি টিভির দাম ৫০,০০০ বিডিটি থেকে ৩০০,০০০ বিডিটির মধ্যে হয়ে থাকে। এছাড়াও,আপনার যদি বড় সাইজের স্ক্রিন, উচ্চ কন্ট্রাস্ট ও ব্রাইটনেস, উন্নত অডিও সিস্টেম সহ প্রিমিয়াম ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি কিউএলইডি টিভি কিনতে চান সেক্ষেত্রে ৩৯৯,০০০ বিডিটি থেকে ১,১৩৫,০০০ বিডিটির মধ্যে কিনতে পারবেন।
কেন কিউএলডি টিভি এলইড টিভির চেয়ে ভাল?
- কালার অ্যাকুরেসি এবং ওয়াইড কালার গামুটঃ কিউএলইডি টিভি কোয়ান্টাম ডট টেকনোলোজি ব্যবহার করায় এলইডি টিভির তুলনায় বিস্তৃত পরিসরে কালার সরবারহ করে থাকে। এই ডিসপ্লে টেকনোলোজির টিভি নির্ভুল রঙে আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল প্রদান করে থাকে। তাছাড়া, কিউএলইডি টিভিতে ডিসিআই-পি৩ কালারের স্থানে ১০০ ভাগ পর্যন্ত কভার করতে পারে, যার ফলে ছবি, ভিডিও কিংবা গেমিংয়ে প্রাণবন্ত দেখায়।
- উচ্চ রেজোলিউশনঃ কিউএলইডি এবং এলইডি টিভি উভয়ই ৪কে এবং ৮কে রেজোলিউশন প্রদান করে। তবে, কিউএলইডি টিভি সাধারণত এলইডি টিভির তুলনায় উন্নত ইমেজ প্রসেসিং ক্ষমতা প্রদান করে। ফলে, এই টেকনোলোজির টিভিতে অ্যামাজন প্রাইম, নেটফ্লিক্স সহ দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের হাই-ডেফিনিশন ছবি, ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য উপযুক্ত।
- রেসপন্স টাইমঃ প্রায় সকল কিউএলইডি টিভির রেসপন্স টাইম ২ মিলিসেকেন্ড, যা এলইডি টিভির তুলনায় অনেক কম। ফলে হাই রেজোলিউশনে ভিডিও দেখার পাশাপাশি ল্যাগমুক্ত ভাবে গেমিং করা যায়।
- রিফ্রেশ রেটঃ এলইডি টিভির বিপরীতে কিউএলইডি টিভি ১২০ হার্জ বা তার বেশি রিফ্রেশ রেট প্রদান করে। ফলে গেমিং এবং অ্যাকশন ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা ছাড়াই মসৃণভাবে দেখা যায়। তাই বাংলাদেশে গেমার কাছে কিউএলইডি টিভি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
- টিভি টিউনারঃ বেশিরভাগ কিউএলইডি টিভিতে এনালগ এবং ডিজিটাল উভয় ধরণের টিভি টিউনার দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা বিস্তৃত পরিসরে ব্রডকাস্টিং ফরম্যাট সাপোর্ট করে থাকে। বাংলাদেশে যেহেতু কেবল এবং স্যাটেলাইট উভয় ধরণের পরিষেবা ব্যবহার করা হয়। তাই, এই টেকনোলোজির টিভিতে স্থানীয় চ্যানেলগুলো ভালো ভাবে দেখা যায়।
- সাউন্ড সিস্টেমঃ কিউএলইডি টিভিতে উচ্চ পাওয়ার সম্পন্ন সাউন্ড সিস্টেম সরবারহ করে থাকে, যা দিয়ে আকর্ষণীয় অডিও শোনা যায়। কিছু কিছু কিউএলইডি টিভিতে ডলবি অ্যাটমস এবং অবজেক্ট ট্র্যাকিং সাউন্ডের মতো ফিচার সরবারহ করে, যা ডায়লগ এবং অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো আরও প্রাণবন্ত শোনা যায়।
- কানেক্টিভিটিঃ কিউএলইডি টিভিতে সাধারণত একাধিক এইচডিএমআই, ইউএসবি পোর্ট এবং ব্লুটুথ সহ বিস্তৃত পরিসরের সংযোগ সুবিধা প্রদান করে। ফলে, আপনি গেমিং কনসোল, সাউন্ডবার এবং পেনড্রাইভ সহ অন্যান্য পোর্টেবল ডিভাইস সহজে সংযোগ করতে পারবেন।
- অপারেটিং সিস্টেমঃ কিউএলইডি টিভিতে সাধারণত টাইজেন, গুগল এর মত অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। ফলে, উন্নত স্মার্ট টিভি প্ল্যাটফর্ম, স্ট্রিমিং অ্যাপ দিয়ে অডিও, ভিডিও সহজে অ্যাক্সেস করা যায়। ফলে, যেকোনো সময় চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী অডিও ভিডিও দেখতে পারবেন।
- উচ্চ ব্রাইটনেস এবং উন্নত এইচডিআরঃ কিউএলইডি টিভিতে এলইডি টিভির তুলনায় অনেক বেশি ব্রাইটনেস সরবারহ করে থাকে, যা প্রায় ২,০০০ নিটস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও, কিউএলইডি টিভিতে কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি, উন্নত ব্যাকলাইটিং সিস্টেম এবং উন্নত হাই ডাইনামিক রেঞ্জ প্রদান করে থাকে, যা ছবি, ভিডিওতে গভীর কালো, হাইলাইটে আরও বিস্তারিত ডিটেইলস দেখতে সহায়তা করে থাকে। ফলে, কিউএলইডি টিভি হোম থিয়েটারে সত্যিকার সিনেমাটিক ভিজ্যুয়াল দেখার সুবিধা প্রদান করে।
- শক্তি দক্ষতাঃ কিউএলইডি টিভি সাধারণত এলইডি টিভির তুলনায় বেশি শক্তি-দক্ষ হয়ে থাকে।এই টেকনোলোজির টিভি ডিসপ্লেতে কোয়ান্টাম ডট টেকনোলোজি ব্যবহার করায় কম শক্তি ব্যবহার করে যথেষ্ট ভালো ব্রাইটনেস এবং সঠিক কালার সরবারহ করে থাকে। ফলে, কিউএলইডি টিভি ব্যবহারের ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল যথেষ্ট সাশ্রয় হবে।
- বিস্তৃত দেখার কোণঃ এই টেকনোলোজির টিভি প্রথাগত এলইডি টিভির তুলনায় বিস্তৃত পরিসরের দেখার কোণ সরবারহ করে থাকে৷ কিউএলইডি ডিসপ্লেতে কোয়ান্টাম ডট লেয়ার অফ সেন্টার অবস্থান থেকে দেখার ক্ষেত্রে নির্ভুল রঙ এবং বৈসাদৃশ্য বজায় থাকে। ফলে, বাসাবাড়িতে ড্রইং রুম কিংবা অফিসে মিটিং রুমে সেট আপ করার জন্য উপযুক্ত, যেখানে একাধিক ব্যাক্তি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে কিউএলইডি টিভি সহজেই দেখতে পারবেন।
- বর্ডারলেস ডিজাইনঃ কিউএলইডি টিভি মসৃণ, বরডারলেস এবং অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরি হওয়ায় বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসের আসবাবপত্রের সাথে সহজেই মানাসই হয়ে থাকে। তাছাড়া, এই টেকনোলোজির টিভি যথেষ্ট স্লিম হওয়ার পাশাপাশি বেজেললেস হয়ে থাকে। তাছাড়া, এই টিভির সাথে অ্যাডজাস্টেবল স্ট্যান্ড সরবারহ করে থাকে, যা বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে যথাযথ স্থানে সেট আপ করা যায়।
কিউএলইডি টিভি সম্পর্কিত সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ
বাংলাদেশে কত আকারের QLED টিভি পাওয়া যায়?
QLED টিভি সাধারণত নিম্নলিখিত আকারে বাংলাদেশে পাওয়া যায়
- 43 ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি
- 50 ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি
- 55 ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি
- 65 ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি
- 75 ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি
- 85 ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি
কিউএলইডি টিভি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী?
হ্যাঁ, কিউএলইডি টিভি যথেষ্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। কারণ কিউএলইডি টিভিতে ব্যাকলাইট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে কম পাওয়ার খরচ হয়।