bdstall.com

সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ ২০২৪

আইটেম ১-৭ এর ৭

ট্যুর প্যাকেজ কেনাকাটা

সুন্দরবন বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দর্শনার্থী স্থান যা সারা বিশ্বব্যাপী ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল হিসেবে বেশ পরিচিত। এটি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট জেলার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাময় স্থানটিতে অবকাশ যাপনের জন্য বছর জুড়ে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। তবে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে সুন্দরবন ট্যুর করা উত্তম কারণ এই সময়ে নদী ও সমুদ্র উভয় শান্ত থাকে।

সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজে সাধারণত কি কি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?

বাংলাদেশে সুন্দরবন ভ্রমণ করার মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং সেখানকার জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আকর্ষণীয় ধারণা পাওয়া যাবে। এই ভ্রমণ প্যাকেজে পরিবহন, থাকা, খাবার, ভ্রমণ গাইড, নৌকা ভ্রমণ, পাখি পর্যবেক্ষণ, ওয়াইল্ডলাইফ স্পট পর্যবেক্ষণ এবং আদিবাসী গ্রাম দেখার মত উল্লেখযোগ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, বাংলাদেশে সুন্দরবন ভ্রমণে ভ্রমণকারীর চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী ভ্রমণের কিছু কিছু বিষয়গুলো পরিবর্তিত হয়ে থাকে।

সুন্দরবন ভ্রমণে কি কি দেখা যাবে?

সুন্দরবন বাংলাদেশের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর স্থান এবং বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণীর জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল। তাই সুন্দরবন ভ্রমণে উল্লেখযোগ্য যেসব স্থান এবং প্রাণী দেখা যাবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ

কটকাঃ সুন্দরবনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কটকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জনপ্রিয় স্থান। এই স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রচুর বন্যপ্রাণীর জন্য পরিচিত। এই জায়গাটি থেকে নৌকায় ঘুরে ম্যানগ্রোভ বনকে খুব কাছ থেকে দেখা যাবে। পাশাপাশি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দাগযুক্ত হরিণ, বুনো শুয়োর এবং ম্যাকাকের মতো বন্য প্রাণী দেখা যাবে। এছাড়াও কটকা অভয়ারণ্যটি পাখি প্রেমীদের জন্যও আশ্রয়স্থল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের এভিয়ান প্রজাতি পাখির সাথে কিংফিশার, হেরন, ঈগল ইত্যাদি পাখি দেখতে পাওয়া যায়।

করমজলঃ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র যা সুন্দরবনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংরক্ষিত  এলাকা। এটি হরিণ, কুমির এবং বানর সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর জন্য প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। এই স্থানটিতে  নিরাপদ ওয়াচ টাওয়ার এবং কাঠের হাঁটার পথ  রয়েছে যাএ মাধ্যোমে ভ্রমণকারীরা প্রাণীদের দেখতে পারে। এছাড়াও প্রজনন কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ভঙ্গুর ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

দুবলার চর দ্বীপঃ দুবলার চর দ্বীপ সুন্দরবনের মোহনায় অবস্থিত বালুময় সৈকত এবং আকর্ষণীয় স্থান।  দ্বীপটিতে মূলত বিভিন্ন স্থানের জেলেরা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে জেলেরা অবস্থান করে মাছ আহরণ এবং প্রক্রিয়াজাত করে থাকে।

হিরন পয়েন্টঃ হিরন পয়েন্ট সাধারনত নীলকমল নামেও পরিচিত এবং সুন্দরবনের অন্যতম স্থান। এই এরিয়াটি বিস্তীর্ণ তৃণভূমি এবং নোনা জলের পুকুরের জন্য পরিচিত। এখানে হরিণ, বন্য শুয়োর এবং ম্যাকাকের মতো বন্যপ্রাণী দেখা যায়। এই জায়গাটি পাখি দেখার জন্যও চমৎকার স্থান।

কচিখালি বীচঃ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত কচিখালি বীচ। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এখানে বন্যপ্রাণীর অভয়ারন্য এবং  পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সুন্দরবনের এই সমুদ্র সৈকতময় স্থানটি খুবই আকর্ষণীয় একটা স্থান। এই বীচে যেতে হলে কটকা নদী এবং সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়। এই এরিয়াতে  হাঁটার সময় হরিণের পাল, বন্য শুকর এবং বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। তাই এডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য কচিখালি বীচ আদর্শ স্থান।

হাড়বাড়িয়াঃ এই স্থানটি মংলা থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মূলত হাড় বাড়িয়া এরিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই এরিয়াতে ট্রেইলসহ গোলাঘর, পুকুর ও কাঠের তৈরী পুল রয়েছে । এছাড়াও এই এরিয়াতে ভ্রমণের নানান প্রজাতির বন্য পশু পাখি ও উদ্ভিদ দেখা যায়।

মান্দার বাড়িয়াঃ সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত। এই এরিয়াতে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। এটি প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতের একপাশে হাড়িয়াভাঙ্গা নদী এবং নদীর অপর প্রান্তে সুন্দরবন। এই এরিয়ার গভীর অরণ্যে ছোট ছোট ক্ষুদ্র জীব থেকে শুরু করে বাঘ, হরিণ, বন্যশুকুর, বানর, কুমির, কচ্ছপ, সাপ সহ বিভিন্ন প্রানী রয়েছে। এছাড়াও এই স্থানের সবচেয়ে আর্কষণীয় বিষয় হচ্ছে সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল বিশাল ঢেউ যা দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর।

সুন্দরবন ভ্রমণে কি ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করা হয়? 

বাংলাদেশের সুন্দরবন ভ্রমণ করার সময় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সাধারণত বেশ কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সশস্ত্র বনরক্ষী বাহিনী, যারা যেকোন সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা করে এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ বনাঞ্চল এরিয়া টহল দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ভ্রমণ সংগী হিসেবে একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্যুর অপারেটর কিংবা সহকারী গাইড দিয়ে থাকে। যারা সবসময় ভ্রমণকারীদের সাথে অবস্থান করে এবং সুন্দরবনে ভ্রমণের নির্দিষ্ট বিধি নিষেধ গাইডলাইন প্রদান করে থাকে। এছাড়াও, সুন্দরবন ভ্রমণে নিরাপত্তা জ্যাকেট, জুরুরি ওষুধ এবং জুরুরী যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন কিংবা দ্বিমুখী রেডিও যোগাযোগের ব্যবস্থা প্রদান করে।

সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ কত দিনের এবং খরচ কত?

সুন্দরবন ভ্রমণের খরচ সাধারণত ভ্রমণ অপারেটর, ভ্রমণের সময়কাল, আবাসন ব্যবস্থা, খাওয়া-দাওয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিলাসবহুল ভ্রমণ সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সুন্দরবন ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ সর্বনিম্ন ৭,৫০০ টাকা থেকে শুরু যা সাধারণত ঢাকা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ এবং ৩-দিন/২-রাতের আবাসন, খাবার ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করে থাকে। এছাড়াও,  রোমাঞ্চকর, আরামদায়ক এবং ৫-দিন/৪-রাত প্যাকেজ সম্মিলিত সুন্দরবন ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ  ২৫,০০০ টাকা থেকে শুরু। উল্লেখযোগ্য প্যাকেজ সমূহঃ

৭,৫০০ টাকায় সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ ৩ দিন / ২ রাত রেগুলার শিপ

১৪,০০০ টাকায় সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ ২ দিন / ৩ রাত এসি শিপ  

১৫,০০০ টাকায় সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ ৩ দিন / ২ রাত এসি শিপ 

২৫,০০০ টাকায় সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ ৫ দিন / ৪ রাত এসি শিপ

এছাড়াও, সুন্দরবন ভ্রমণের সময়কাল মূলত ভ্রমণকারীর চাহিদা ও বাজেটের উপর নির্ভর করে। তবে, বাংলাদেশে ট্যুর এজেন্সি / অপারেটররা সাশ্রয়ী দামে বিভিন্ন ধরনের সুন্দরন ট্যুর প্যাকেজ প্রদান করে।

ঢাকা থেকে সুন্দরবন কিভাবে যাওয়া যাবে?

ঢাকা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বিমানে, সড়ক পথে কিংবা জাহাজে যাতায়াতের সুব্যবস্থা রয়েছে। তবে সুন্দরবন ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য খুলনা, মংলা কিংবা  বাগেরহাট থেকে নৌকা কিংবা জাহাজে ভ্রমণ করতে হবে। তবে, সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশে স্বনামধন্য ট্যুর অপারেটর রয়েছে যা ভ্রমণকারীদের নিজের সুবিধামত সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বুকিং করার সুবিধা প্রদান করে। পাশাপাশি পরিবহন, আবাসন, ভ্রমণ পারমিট, দক্ষ গাইড সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কম খরচে সুন্দরবন ভ্রমণে সুবিধাজনক যাত্রা নিশ্চিত করে। এছাড়া, বিডিস্টল.কম এর মাধ্যমে বুকিং করলে সুন্দরবন ভ্রমণে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ সুবিধা।

সুন্দরবন ট্যুরের জন্য কি কি প্রয়োজনীয় উপকরণ সাথে নেওয়া উচিত? 

বাংলাদেশে সুন্দরবন ট্যুর আরামদায়ক এবং রোমাঞ্চকর করতে যেসব উপকরণ অবশ্যই প্যাক করা উচিত তা হচ্ছেঃ 

১। গরম, রোদে পোড়া এবং পোকামাকড়ের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হালকা স্লিম ফিটিং কাপড়।

২। মশার কামড় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর মশা তাড়ানোর ক্রিম।

৩। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ক্রিম, টুপি, সানগ্লাস।

৪। হাঁটা এবং হাইকিংয়ের ভাল ট্র্যাকশন যুক্ত পায়ের জুতো বা স্যান্ডেল।

৫। অ্যান্টিসেপটিক মলম, ব্যান্ডেজ, ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, ডায়রিয়ার ওষুধ এবং ব্যক্তিগত ওষুধ।

৬। অন্ধকারের বিভিন্ন এরিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য টর্চলাইট।

৭।বন্যপ্রাণী দূরবর্তী অবস্থান থেকে দেখতে কিংবা ছবি তোলার জন্য বাইনোকুলার এবং ক্যামেরা।

৮। মূল্যবান জিনিসপত্র পানি এবং আর্দ্রতা থেকে নিরাপদ রাখতে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ। 

বাংলাদেশের সেরা সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ এর মূল্য তালিকা December, 2024

December, 2024-এর বাংলাদেশের সেরা সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ মডেল বাংলাদেশে দাম
Sundarban Tour Package from Khulna ৳ ৭,৫০০
Sundarban Tour Package 2-Nights & 3-Days ৳ ৮,৫০০
Sundarban 2-Days 1-Night Tour Package ৳ ৫,০০০
Special Sundarban Tour Package 4 Nights & 3 Days ৳ ৮,৫০০
Sundarban Tour Package 4-Night & 3-Days ৳ ১১,০০০
3 Days 2 Night Dhaka to Sundarban Tour Package ৳ ৭,৫০০