টর্চ Light কেনাকাটা
অন্ধকারের মাঝে আলো প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হচ্ছে টর্চ লাইট। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই গ্রামে টর্চ লাইটের ব্যপক ব্যবহার দেখা যায়। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করার সময় টর্চ লাইট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে প্রযুক্তির অগ্রসাধনের ফলে টর্চলাইটের মান যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি এর ব্যবহারে এসেছেও ভিন্নতা। বাংলাদেশে এখন তীব্র আলো প্রদানকারী টর্চ লাইট সাইজে যেমন ছোট হয়েছে তেমনি এর অনেকগুলোর জন্য ব্যাটারি প্রয়োজন হয় না আর দামও অনেক সস্তা। অনেক দেশে এই টর্চ লাইটকে ফ্লাশলাইটও বলে। তবে বাংলাদেশে টর্চ লাইট হিসাবেও সর্বাধিক পরিচিত।
টর্চ লাইটে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
টর্চ লাইটে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
১। বর্তমানের টর্চ লাইট গুলোতে এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়। ফলে অনেক সুন্দর উজ্জ্বল আলো পাওয়া যায়।
২। জরুরি কোন প্রয়োজনে টর্চ লাইট অন্ধকারে ভাল কাজে আসে যেমন কেউ বিপদে পড়লে।
৩। বাংলাদেশে অনেক হেড ল্যাম্প পাওয়া যায়। এগুলো সাইকেলিং, মাছ ধরা, টহল দেয়া সহ বিভিন্ন কাজে আসে।
৪। বর্তমানের বেশির ভাগ টর্চ লাইট ওয়াটারপ্রুফ। তাই পানিতে ভিজে গেলেও নষ্ট হয় না।
৫। নিজের সুবিধা মতো আলো কমানো বা বাড়ানোর মতো সুবিধা থাকে টর্চ লাইটে।
বাংলাদেশে টর্চ লাইটের দাম কত?
বাংলাদেশে টর্চ লাইটের দাম শুরু হয় মাত্র ২২০ টাকা থেকে। টেলিস্কোপিক জুম মোডে আলো প্রদান করে এই টর্চ লাইটটি। ৩টি গিয়ারে এটির লাইটিং মোড পরিবর্তন করা যায়। এই টর্চ লাইট অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। এটিতে ১৫০০ মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারি আছে যা দীর্ঘক্ষণ আলো প্রদান করে।
বাংলাদেশে কত রকমের টর্চ লাইট পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে অনেক রকমের টর্চ লাইট পাওয়া যায়। যেমনঃ হেড ল্যাম্প, ভাঙ্গা যায় না এমন টর্চ লাইট, ওয়াটারপ্রুফ টর্চ লাইট, রিচার্জেবল টর্চ লাইট, ব্যাটারি চালিত টর্চ লাইট। ব্যবহারের উপর বিবেচনা করে টর্চ লাইট কেনা ভাল। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের টর্চ লাইট পাওয়া যায় বাংলাদেশে যেগুলোর দাম অনেক কম।
অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কি রকম আলো দরকার?
অ্যাডভেঞ্চারের জন্য স্থান অনুযায়ী টর্চ লাইটের আলো নির্বাচন করতে হবে। অ্যাডভেঞ্চারের স্থান ভেদে টর্চ লাইট অথবা হেড ল্যাম্প নেয়া উচিৎ। বোটিং, সাইকেলিং, ফিশিং ইত্যাদি এ ধরণের অ্যাডভেঞ্চারের জন্য হেড ল্যাম্প ভাল হবে। এছাড়া অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চারের জন্য টর্চ লাইট ভাল হবে।
ওয়াটারপ্রুফ টর্চ লাইট গুলো কি সাশ্রয়ী এবং দাম কত?
বাংলাদেশে ওয়াটারপ্রুফ টর্চ লাইট গুলোর দাম শুরু হয় ১,০৫০ টাকা থেকে। এছাড়াও ওয়াটারপ্রুফ টর্চ লাইটে আছে ৫০০ মিটার পর্যন্ত আলো ছড়ানোর ক্ষমতা। এটি হাই, মিডিয়াম, লো এবং এসওএস মোডে আলো প্রদান করে থাকে। ৪২০০ মিলিএম্পিয়ারের ব্যাটারি আছে এই টর্চ লাইটে।
টর্চ লাইট কেনার সময় কি কি বিষয় দেখলে ভাল হয়?
১। এত লাইট আউটপুট কত দেখে নেয়া উচিত। আলোর তীব্রতা সাধারনত লাক্স দিয়ে নির্ণয় করা হয়। সাধারণ কাজের জন্য কম দামের যেকোন টর্চ লাইট চলবে কিন্তু বাহিরে ভ্রমন এবং জরুরি কাজের জন্য তীব্র এল ভাল কাজ দিবে। আর এই এর আলো কতদূর যায় সেটিও দেখা নেয়া উচিত। এটিকে বিমের দূরত্ব বলে। এটি সাধারণত মিটার দিয়ে মাপা হয়। বিম যত বেশি হবে তত ভাল।
২। টর্চের পাওয়ার টাইপ কি এটি ভালভাবে বিবেচনা করা উচিত। জরুরি কাজের জন্য বা যেখানে ইলেকট্রিক চার্জের সুবিধা নেই সেখানে ব্যাটারি টর্চ লাইট ভাল। বাড়ির সাধারণ কাজের জন্য রিচার্জেবল টর্চ লাইট ভাল কারন খরচ কম হবে।
৩। টর্চ লাইট কত বড় দরকার এটি বিবেচনা করা উচিত। প্রতিদিনের পথচলার জন্য ছোট লাইট ভাল কারন অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে বয়স্ক মানুষের চলাফেরা সমস্যা হয়। জরুরি প্রয়োজন বা ভ্রমনের জন্য কিছুটা বড় টর্চ লাইট ভাল কারন এগুলো তীব্র আলো প্রদান করে। তবে বর্তমানে ছোট কিছু টর্চ লাইট বাজারে পাওয়া যায় এগুলো বড় টর্চের মতই আলো প্রদান করে তবে দাম কিছুটা বেশি।
৪। টর্চলাইটের গ্রিপ কেমন তা দেখে নেয়া যেতে পারে। এটি যেন ধরতে আরাম হয় এবং সহজে ফস্কে না পড়ে যায়।
৫। প্রয়োজন হলে পানিরোধী টর্চ লাইট কেনা উচিত কারন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাসে বৃষ্টি হয় তখন ভাল কাজে লাগবে।