টিডিএস মিটার কেনাকাটা
টিডিএস মিটারের মাধ্যমে পানির মধ্যে থাকা টোটাল ডিসোল্ভড সলিডস পরিমাপ করা হয়। পানি পানের জন্য উপযুক্ত কিনা তা যাচাইয়ে টিডিএস মিটারের মাধ্যমে পানির টিডিএস পরিমাপ করা হয়। টিডিএস মিটারের মাধ্যমে পানিতে থাকা টিডিএস এর পরিমাণ প্রতি মিলিয়নের পার্টস পরিমাপ করে থাকে যা সাধারণত পিপিএম এ পরিচিত। বাংলাদেশে বর্তমানে টিডিএস মিটার সাধারণত টিডিএস টেস্টার নামেও পরিচিত। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যুক্ত টিডিএস মিটার বর্তমানে বিডিস্টলে কম দামে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে টিডিএস মিটারের দাম কত?
বর্তমানে টিডিএস মিটারের দাম এর বৈশিষ্ট্য, সঠিকতা এবং কোয়ালিটি এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে টিডিএস মিটারের দাম ৪৫০ টাকা থেকে শুরু যার টিডিএস পরিমাপ রেঞ্জ ০ থেকে ৯৯৯০ পর্যন্ত। তাছাড়া, টিডিএস পরিমাপের পাশাপাশি তাপমাত্রা ও ডিজিটাল ডিসপ্লে সহ টিডিএস মিটারের দাম কিছুটা বেশি হয়।
টিডিএস মিটার কেনার আগে আর কি কি জানতে হবে?
পানি যা দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদান। আর টিডিএস মেশিন এর মাধ্যমে সহজেই পানি এর গুনমান যাচাই করা হয়। তাই, টিডিএস মেশিন কেনার আগে এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে ও যাচাই করে নিতে হবে।
১। টিডিএস রেঞ্জঃ টিডিএস রেঞ্জ হলো টিডিএস মেশিনের মাধ্যেম পানিতে থাকা টোটাল ডিসোল্ভড সলিডস কতটুকু রেঞ্জ পর্যন্ত প্রতি মিলিয়নের পার্টস পরিমাপ করা যাবে তাকে বোঝায়। টিডিএস মিটারের পরিমাপ রেঞ্জ সাধারণত কম বেশী হয়ে থাকে। তাই, প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট পরিমাপ পিপিএম রেঞ্জ সম্বলিত টিডিএস মেশিন নির্বাচন করতে হবে।
২। টিডিএস নির্ভুলতাঃ টিডিএস মিটার এর মডেল ভিত্তিতে এর নির্ভুলতার পরিমাপ কম বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া, সাধারণত বাংলাদেশে যে টিডিএস মিটারগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ± ২ শতাংশ নির্ভুল পরিমাপ করতে পারে। তবে, টিডিএস মেশিন কেনার আগে এর পরিমাপ নির্ভুলতা যাচাই করে নিতে হবে।
৩। টিডিএস ক্যালিব্রেশনঃ টিডিএস মিটারের মাধ্যমে যে পর্যায় নির্ভুল ভাবে পানির টিডিএস পরিমাপ করা যায় তাকে টিডিএস ক্যালিব্রেশন বলে। সাধারণত ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উত্তম রূপে টিডিএস ক্যালিব্রেশন হয়। এছাড়া, বাংলাদেশের বাজারে অটোমেটিক টিডিএস ক্যালিব্রেশন সম্পন্ন টিডিএস মিটার পাওয়া যায়। তবে, অটোমেটিক ক্যালিব্রেশন সম্পন্ন টিডিএস মিটারের দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
৪। ডিসপ্লেঃ টিডিএস মিটারগুলোতে ছোট বড় ডিজিটাল ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত থাকে। পানির টিডিএস পরিমাপ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করার পর টিডিএস মিটারের ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হয়। তাই, প্রয়োজন অনুসারে ডিসপ্লের গুনমান বিবেচনায় টিডিএস মেশিন সংগ্রহ করতে হবে।
৫। তাপমাত্রা পরিমাপঃ বেশীরভাগ টিডিএস মেশিন পানির টোটাল ডিসোল্ভড সলিডস পরিমাপের পাশাপাশি তাপমাত্রা পরিমাপ করে থাকে। তাই, প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট টিডিএস মেশিনটি সঠিক ভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে কিনা এবং এর তাপমাত্রা পরিমাপ নির্ভুলতার স্তর বিবেচনায় টিডিএস মিটার নির্বাচন করতে হবে।
৬। গুনমানঃ টিডিএস টেস্টার কেনার আগে অবশ্যই এর গুনমান যাচাই করতে হবে। কেননা টেস্টারের গুনমান যত ভালো হবে তত দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যাবে এবং পানির মধ্যে থাকা টিডিএস এর পরিমাণের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
এছাড়া, টিডিএস মিটারের বৈশিষ্ট্য ও গুনমান এর অনুপাতে এর দাম ঠিকআছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
পানির গুণমান পরীক্ষা করার জন্য কেন টিডিএস মেশিন ব্যবহার করব?
টিডিএস মিটার একমাত্র উপায় যাতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যেকোনো জায়গায় পানির টোটাল ডিসোল্ভড সলিডস পরিমাপ করা যায়। এবং, পানি মানুষের পান করার জন্য যথেষ্ট বিশুদ্ধ কিনা তা সহজেই নির্ণয় করা যায়। এছাড়া, টিডিএস মিটার এর মাধ্যমে পানির গুনমান পরিক্ষা করা তুলনামূলক অনেক সাশ্রয়ী এবং এই পদ্ধতি তুলনামূলক সময় সাপেক্ষ নয়।