অ্যাপল ট্যাবলেট কেনাকাটা
অ্যাপল আইপ্যাড হচ্ছে আইওএস এবং আইপ্যাডওএস অপারেটিং সিস্টেম এর সমন্বয়ে তৈরি ট্যাবলেট কম্পিউটার যা মূলত অ্যাপল ইনকর্পোরেট এর তৈরি। এই আইপ্যাড মসৃণ ডিজাইন, শক্তিশালী কর্মক্ষমতা, এবং বহুমুখী ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি হওয়ায় আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে অ্যাপল আইপ্যাড সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কাঙ্ক্ষিত ডিভাইস। বর্তমানে, লেটেস্ট টেকনোলোজির সমন্বয়ে তৈরি আইপ্যাড মিনি, আইপ্যাড এয়ার, আইপ্যাড প্রো সহ বিভিন্ন সিরিজের আইপ্যাড কম দামে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
কেন অ্যাপল আইপ্যাড কিনবেন?
১। অ্যাপল আইপ্যাড সাধারণত ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের তুলনায় ওজনে হালকা হয়ে থাকে, যা সহজেই বহন করা যায়। তাছাড়া, ফোনের তুলনায় বড় আইপিএস এলসিডি টাচ স্ক্রীন ডিসপ্লে থাকায় ভিডিও স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট এবং ফটোশপ, গ্রাফিক্স ডিজাইনের মত পেশাদার কাজে ব্যবহারের জন্য আদর্শ আইপ্যাড।
২। অ্যাপল আইপ্যাড ব্যবহারে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অ্যাপল ইকোসিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেশন। ফলে, আইফোন, অ্যাপল ওয়াচ, বা ম্যাকের মতো অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইসের সাথে আইপ্যাড সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩। এছাড়াও, আইক্লাউড ফাইল অ্যাক্সেস, অ্যাপল অ্যাপ সহজে ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি ম্যাকের সাথে দ্বিতীয় মনিটর হিসাবে অ্যাপল আইপ্যাড ব্যবহার করা যায়।
৪। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, ডিজাইনরা, এবং পেশাদার কাজে নোট সংগ্রহের জন্য আদর্শ ডিভাইস হচ্ছে অ্যাপল আইপ্যাড। ফলে, সহজেই বিভিন্ন ধরণের স্ক্যাচ, নোট এবং ডিজাইন করার পাশাপাশি প্রয়োজনে যেকোনো সময় দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়।
৫। মাঝারি সাইজের ডিসপ্লে এবং উন্নত সাউন্ড সিস্টেম সরবারহ করায় অ্যাপল আইপ্যাড দিয়ে অডিও, ভিডিও দেখার পাশাপাশি পড়াশোনার জন্য ই-বুক রিডার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৬। তাছাড়া, অ্যাপল আইপ্যাডে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি যুক্ত থাকায় একবার চার্জে প্রায় ১০ ঘন্টা পর্যন্ত একটানা ব্যবহার করা যায়। তবে, ব্যবহারকারীর ব্যবহারের উপর নির্ভর করে চার্জ বেকআপ টাইম কম বেশি হয়ে থাকে।
৭। আইপ্যাডে সাধারনত ম্যাক্রো সিম সাপোর্ট করে পাশাপাশি ওয়াইফাই সংযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে, মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাই সংযোগ করে চাহিদা অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
৮। এছাড়াও, অ্যাক্সিলোমিটার, গাইরো, কম্পাসের মত সেন্সর এবং জিপিএস ফিচার যুক্ত রয়েছে অ্যাপল আইপ্যাডে। পাশাপাশি অডিও শোনার জন্য হেডফোন জ্যাক এবং ইউএসবি পোর্ট এর মত সংযোগ সুবিধা রয়েছে।
৯। অ্যাপল আইপ্যাডে কোয়াড-কোর, ডুয়াল-কোর সহ উন্নত প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত র্যামের সমন্বয়ে পাওয়া যায়, ফলে গেমিং কিংবা পেশাদার কাজে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ল্যাগ হয় না বললেই চলে। এছাড়া, প্রয়োজনীয় ডাটা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত স্টোরেজ প্রদান করে থাকে।
অ্যাপল আইপ্যাড এর দাম কত?
বাংলাদেশে ব্যবহৃত এবং নতুন উভয় কন্ডিশন অ্যাপল আইপ্যাড পাওয়া যায়। বর্তমানে, বাংলাদেশে ব্যবহৃত আইপ্যাডের দাম ৭,৫০০ টাকা থেকে শুরু, যা ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও মাল্টিমিডিয়া কাজে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত পাশাপাশি এটি মূলত ব্যবহৃত কন্ডিশনে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে লেটেস্ট আইপ্যাডের দাম সাধারণত মডেল, কনফিগারেশন, স্ক্রীন সাইজ, স্টোরেজ এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এছাড়া, লেটেস্ট টেকনোলোজির সমন্বয়ে তৈরি নতুন আইপ্যাড ৪০,০০০ টাকা থেকে ১০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।