সোলার আইপিএস কেনাকাটা
সোলার ইনভার্টার হল হোম সোলার সিস্টেম প্যাকেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এটি ডাইরেক্ট কারেন্টকে অল্টারনেটিং কারেন্টে রূপান্তর করে। বৈদ্যুতিক উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশের গ্রামের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও বর্তমানে সোলার ইনভার্টারের চাহিদা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সোলার ইনভার্টারের দাম এখন আগের তুলনায় অনেক কম।
বাংলাদেশে সোলার আইপিএস ইনভার্টারের দাম কত?
বাংলাদেশে সোলার আইপিএস ইনভার্টারের দাম ১৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ টাকার উপরেও আছে এবং কত শক্তির সোলার ইনভার্টার দরকার এবং তা দিয়ে কতগুলো জিনিস চালাবেন এর উপ্ত নির্ভর করে সোলার ইনভার্টারের দাম। কিছু ক্ষেত্রে দাম ব্রান্ডের উপরও নির্ভর করে কারন কোয়ালিটি ভাল হবে। তবে এখন বাংলাদেশে সোলার ইনভার্টারের দাম প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে অনেক কম।
সোলার আইপিএস ইনভার্টার কেনার আগে কিছু টিপস জানা অত্যাবশ্যকঃ
১। প্রথমে কোন ধরনের ইনভার্টার কিনবেন জেনে নিন। কারন এর উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ডিভাইস চালাবেন। যেমন সাইন ওয়েব ইনভার্টার সকল ধরনের হোম এপ্লায়েন্স চলতে পারে। স্কয়ার ওয়েব ইনভার্টার সকল ধরনের ডিভাইস চালাতে পারে না এবং এর থেকে সামান্য শব্দও জেনারেট হতে পারে। স্টেপেড সাইন ওয়েব ইনভার্টার উপরোক্ত দুই ইনভার্টারের মধ্যম পারফরম্যান্স দিবে। আর এটি দিয়ে শুধুমাত্র কম্পিউটার বা সম্মানের ডিভাইস চালানো যায়। এটি বাজারে পাওয়া যায় কারন কম দাম।
২। আপনার কত পাওয়ার দরকার ক্যালকুলেট করে নিন কারন তানাহলে আপনার সকল প্রয়োজনীয় ডিভাইস চলবে না। তবে প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশি নেয়া ভাল কারন ভৱিষ্যতে হয়ত প্রয়োজন হতে পারে। আর সবসময় ৮০ পার্সেন্ট লোডের কথা বিবেচনা করবেন তাহলে সোলার ইনভার্টারটি অনেক দিন সেবা দিবে।
৩। আপনার যদি নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রয়োজন তাহলে সোলার আইপিএস ইনভার্টারের সাথে ইউপিএস ফাংশান আছে কিনা জানেন নিন। সেক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসটি কারেন্ট চলে গেলেও একমুহূর্তের জন্য বন্ধ হবে না।
৪। সোলার ইনভার্টারের ক্যাপাসিটির উপর ভিত্তি করে ব্যাটারি নির্ধারণ করুন। ফ্ল্যাট প্যানেল, টিউবুলার অথবা মেইনটেনেন্স ফ্রি ব্যাটারি বেছে নিতে পারেন। এগুলো দাম এবং মানের উপর ভিত্তি করে ৩-৫ বছর পর্যন্ত চলে।
৫। আপনার ঘরে যদি শিশু অথবা বৃদ্ধ লোক থাকে তাহলে জেনে নিন সোলার ইনভার্টারটি শব্দ করে কিনা। তা না হলে ঘূমের ব্যাঘাত হতে পারে।
৬। সোলার ইনভার্টারটি নিজে চলতে কত চার্জ প্রয়োজন জেনে নিন। এটি যদি এনার্জি এফিসিয়েন্ট না হয় তা হলে ব্যাটারি ফুল চার্জ হয়ে গেলেও বিদ্যুতের অপচয় হবে।
৭। আর আপনার কতক্ষন ব্যাকআপ দরকার হিসাব করে নিন। বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বেশি ব্যাকআপ প্রয়োজন। এটি হিসাব করার পদ্ধতি হল ব্যাটারিটি কত ভোল্টের তার সাথে ব্যাটারির এম্পিয়ার ও ইনভার্টারের ভিএ দিয়ে গুন্ করলে কতক্ষন চলবে জানতে পারবেন।