bdstall.com

ফায়ার এলার্ম এর দাম | ধোঁয়া ডিটেক্টর | ফায়ার সাইরেন

আইটেম ১-৩৬ এর ৩৬

অগ্নি ঘন্টা কেনাকাটা

ফায়ার এলার্ম হচ্ছে আগুন, ধোঁয়া, কার্বন মনোক্সাইড বা অন্যান্য ভাবে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডের মত জরুরী অবস্থা সনাক্ত করে সতর্কতা প্রদান করে। এটি সাধারণত স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার সাইরেন নামেও বিডিতে বেশ পরিচিত। তাছাড়া, ফায়ার এলার্ম জীবন ও সম্পদ সুরক্ষার অন্যতম সরঞ্জাম। বর্তমানে, বিভিন্ন কমার্শিয়াল ভবন, আবাসিক ভবন, অফিস সমূহে অবস্থানকারী ব্যাক্তি এবং সম্পদের নিরাপত্তায় ফায়ার এলার্ম বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় সরঞ্জাম হয়ে উঠেছে।

ফায়ার এলার্ম ব্যবহারের সুবিধা

১। ফায়ার এলার্ম মূলত ধোঁয়া, তাপ বা আগুন সনাক্ত করে প্রাথমিক সতর্কতা প্রদান করে থাকে। ফলে, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

২। এটি এলার্ম প্রদান করার ফলে আবাসিক ভবন, কমার্শিয়াল বিল্ডিং এ অবস্থানকারীদের দ্রুত ও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়। ফলে, হতাহত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং ভবনে নিরাপদ পরিবেশ বজায় থাকে।

৩। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন সনাক্ত করে এলার্ম প্রদান করার ফলে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এবং আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৪। ফায়ার এলার্ম বাংলাদেশে ফায়ার সেফটি রেগুলেশনের অন্যতম সরঞ্জাম, যা জীবন ও সম্পদ নিরাপদ রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

৫। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এরিয়াতে ফায়ার এলার্ম ব্যবহার করা অপরিহার্য বিষয়। এটি বাণিজ্যিক এরিয়াতে সম্পদ রক্ষা করার পাশাপাশি আবাসিক এরিয়াতে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।

বাংলাদেশের ফায়ার এলার্ম ব্যবহারে ফায়ার সেফটি রেগুলেশন অ্যাক্ট

  • ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম সাধারণত এক্সিট ডোরের ৫ মিটারের এরিয়ার মধ্যে ইন্সটল করতে হবে।
  • দুটি ফায়ার এলার্ম মধ্যবর্তী দূরত্ব ২০০ ফুটের কম হতে হবে।
  • এলার্ম প্রচারের জন্য আবাসিক ভবন কিংবা কমার্শিয়াল ভবনের প্রত্যকে ফ্লোরে আলাদা আলাদা ডিটেকটর থাকতে হবে।
  • ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম বক্সগুলো এমন ভাবে ইন্সটল করতে হবে যেন তা ৪২ ইঞ্চির থেকে ৪৮ ইঞ্চির উপরে না হয়।
  • এলার্ম সিস্টেমে প্রচার এমনভাবে হতে হবে যেন তা চোখে দেখা যায় ও কানে শোনা যায়।
  • ফায়ার এলার্ম সিস্টেমের মাইক গুলো ফ্লোর থেকে মিনিমাম ৯০ ইঞ্চির উপরে এবং ছাদ থেকে ৬ ইঞ্চির নিচে স্থাপন করতে হবে।
  • এছাড়াও, গংবেল ও অটোমেটিক এলার্ম সিস্টেম সংরক্ষণ করতে হবে।

ফায়ার এলার্ম কেনার আগে যেসব বিষয় দেখা উচিত

বিল্ডিং টাইপঃ ফায়ার এলার্ম কেনার আগে অবশ্যই বিল্ডিং ধরণ, সাইজ, এবং ব্যবহারের বিষয় সমূহ বিবেচনা করতে হবে। কারণ আবাসিক ভবনের তুলনায় কমার্শিয়াল ভবনে বেশি পরিমাণে ফায়ার এলার্ম সিস্টেমের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই, ফায়ার এলার্ম ইন্সটল করার ক্ষেত্রে বিল্ডিং টাইপ বিবেচনা করা অপরিহার্য বিষয়।

কভারেজ এরিয়াঃ আবাসিক, বাণিজ্যিক ভবনের হলরুম, সিড়ি এবং অন্যান্য রুমে যেসব জায়গায় ফায়ার এলার্ম দিয়ে কভার করা প্রয়োজন, সেসব এরিয়ার কভারেজ এরিয়া যাচাই করতে হবে। তাহলে, সঠিক পরিমাণে ফায়ার এলার্ম ডিভাইস সংখ্যা বিবেচনা করার পাশাপাশি ইন্সটলেশন এরিয়া বাছাই করতে সহায়ক হবে।

ডিটেকটশন ক্ষমতাঃ ফায়ার এলার্ম সিস্টেম দিয়ে ধোঁয়া, তাপ এবং কার্বন মনোক্সাইড সহ বিভিন্ন ধরণের আগুনের ঝুঁকি সনাক্ত করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে। এছাড়াও, প্রয়োজনে রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, কিংবা কোনো ব্যবহৃত মেশিনারিজ থেকে সৃষ্ট আগুন, ধোয়া সনাক্ত করতে পারে কিনা তা যাচাই করতে হবে।

সহজ ইন্সটলেশন ব্যবস্থাঃ আবাসিক ভবনের তুলনায় বাণিজ্যিক ভবনে ফায়ার এলার্ম কিংবা স্মোক ডিটেক্টর ইন্সটল করার ক্ষেত্রে সহজ ইন্সটলেশন ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হবে। তবে, হার্ড-ওয়্যারড ফায়ার এলার্ম সিস্টেম বিডিতে ব্যাটারি চালিত ফায়ার এলার্ম সিস্টেমের তুলনায় বেশি জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য। তবে, ইন্সটলেশনের দিক থেকে হার্ড-ওয়্যারড ফায়ার এলার্ম কিছুটা জটিল হয়ে থাকে।

ফায়ার সেফটি রেগুলেশনঃ ফায়ার এলার্ম কেনার ক্ষেত্রে কভারেজ এরিয়ার প্রয়োজনীয়তা সমূহের পাশাপশি ফায়ার সেফটি রেগুলেশন অ্যাক্ট বিবেচনা করতে হবে। তাহলে, প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ফায়ার এলার্ম ইন্সটল করে ভবনে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

এছাড়াও, ফায়ার এলার্ম কেনার ক্ষেত্রে বাজেট বিবেচনা করতে হবে, যা সরাঞ্জাম, ইন্সটলেশন, মনিটরিং খরচ সহ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে, বাজেট অনুযায়ী সেরা ফায়ার এলার্ম বাছাই করতে সহায়ক হবে।

ফায়ার এলার্ম এর দাম

বাংলাদেশে ফায়ার এলার্ম এর দাম ৬০০ টাকা থেকে শুরু, যা স্মোক ডিটেক্টর এবং হিট ডিটেক্টর বা ম্যানুয়াল ফায়ার অ্যালার্ম অ্যাক্টিভেশন ডিভাইসের সাথে সহজে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া, বাংলাদেশে ফায়ার এলার্ম এর দাম সাধারণত এলার্ম টাইপ, ডিটেকশন ক্ষমতা, গুনমান, ব্র্যান্ড, ইন্সটলেশন খরচ সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বিডিতে স্মোক ডিটেক্টর ৮০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, কমার্শিয়াল এরিয়াতে ব্যবহার উপযোগী ফায়ার এলার্ম সিস্টেমের দাম তূলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। বিল্ট-ইন হাই ভলিউম স্পীকার, আর্টিফিশিয়াল ডিজিটাল ভয়েস, এবং এসএমএস অ্যালারট ফিচারসহ উন্নত টেকনোলোজির সমন্বয়ে তৈরি ফায়ার এলার্ম এর দাম বাংলাদেশে ৭,০০০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়াও, কমার্শিয়াল এরিয়াতে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ব্যবহৃত ফায়ার এলার্ম ২৫,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের সেরা অগ্নি ঘন্টা এর মূল্য তালিকা 2024 & March, 2025

2024 & March, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা অগ্নি ঘন্টা এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের অগ্নি ঘন্টা ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা অগ্নি ঘন্টা এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

অগ্নি ঘন্টা মডেল বাংলাদেশে দাম
Verbex Alarm Panel with Wireless 4-Smoke Detector Pack ৳ ১৩,৫০০
Multi-Sensor Smoke and Heat Detector ৳ ২,২০০
Smoke Detector ৳ ৮০০
Fire Alarm Warn System ৳ ৬০০
Verbex VT-WSD25 Wired Smoke Detector Sensor ৳ ৩,৫০০
Conventional Manual Call Point Fire Alarm ৳ ৬০০
Verbex VT-SD43W Smart Fire Smoke Detector with Wi-Fi ৳ ১,৯৫০
Verbex VT-SD433 Wireless Smoke Fire Detector ৳ ২,৫০০
Conventional 8-Zone Fire Alarm Control Panel ৳ ২৫,০০০
Portable Smoke Alarm with Battery Backup ৳ ১,৬০০