জুতার তাক কেনাকাটা
জুতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পায়ের নিরাপত্তায় ব্যবহার্য উপাদান। আর জুতাকে নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখার জন্য প্রয়োজন জুতার তাক। সাধারণত জুতার তাক কাঠ, প্লাস্টিকের, এবং লোহার মত উপাদানে তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন সাইজ এবং ডিজাইনের হয়ে থাকে। তাছাড়া জুতা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি জুতার ময়লা ঘরে ছড়ায় না, বিধায় বাংলাদেশে জুতার তাক ব্যবহারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশে কয় ধরণের জুতার তাক পাওয়া যায়?
বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন উপাদানে তৈরি আকর্ষণীয় ডিজাইনের জুতার তাক পাওয়া যায়।
ফ্রি স্ট্যান্ডিং জুতার তাকঃ এই ধরণের তাক মূলত স্ট্যান্ডের মত দেখা যায়। যা জুতা সংরক্ষণ করার জন্য বাসা কিংবা অফিসের যেকোনো স্থানে দাড় করানো অবস্থায় রাখা যায়।
ডোর ব্যাক জুতার তাকঃ এই ধরনের জুতার তাক মূলত দরজার পিছনে হুক বা স্ট্র্যাপ মাধ্যমে ঝুলানো অবস্থায় থাকে। সীমিত পরিসরের জায়গায় সহজেই জুতা গুছিয়ে রাখার পাশাপাশি সংরক্ষণ করা যায়।
ওয়াল মাউন্টেড জুতার তাকঃ স্বল্প পরিসরে জায়গায় জুতা রাখাটা দুরূহ ব্যাপার। এক্ষেত্রে সঠিক সমাধান হচ্ছে ওয়াল মাউন্টেড জুতার তাক।যা মূলত দেওয়ালের সাথে সংযুক্ত করে জুতা সংরক্ষণ করা যায়।
জুতার ক্যাবিনেটঃ এই ধরনের জুতার তাক বাক্সের মত এবং দরজা যুক্ত থাকে। ফলে জুতা সংরক্ষণের পর দরজার বন্ধ করে রাখলে মানুষের দৃষ্টি গোচর হয় না।
অরগানাইজার জুতার তাকঃ এই ধরনের জুতার তাকে প্রতি জোড়া জুতার জন্য পৃথক বগি, পকেট বা স্লট থাকে। এটি বাসা কিংবা অফিসের যেকোনো জায়গায় ঝুলিয়ে রেখে জুতা সংরক্ষণ করা যায়। তাছাড়া এই ধরণের জুতার তাক বিডিতে বিভিন্ন লেয়ারে পাওয়া যায়।
ব্যাঞ্চ জুতার তাকঃ এই ধরণের জুতার তাক মূলত কাঠের তৈরি হয়ে থাকে। উপরিভাগে কুশন দ্বারা আবৃত থাকে এবং নিচের দিকে জুতা রাখার জন্য ড্রয়ার থাকে। ফলে ব্যাঞ্চ জুতার র্যাকে বসার পাশাপাশি সহজেই জুতা সংরক্ষণ করা যায়। যা সীমিত পরিসরের জায়গার জন্য আকর্ষণীয় এবং আদর্শ জুতার তাক।
জুতার তাকের দাম কত?
বাংলাদেশে ব্র্যান্ড,সাইজ, নির্মিত উপাদান ইত্যাদির উপর নির্ভর করে জুতার তাকের দামের পার্থক্য হয়ে থাকে। বর্তমানে, বিডিতে জুতার তাকের দাম ৮৭০ টাকা থেকে শুরু হয় যা ১০ লেয়ারের জুতার তাক এবং ৩০ জোড়া জুতা সংরক্ষন করার জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, কাঠের ও লোহার তৈরি জুতার ক্যাবিনেটের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি হয়।
কেন জুতার তাক ব্যবহার করব?
১। সংগঠিত রাখেঃ জুতার তাক মূলত ব্যবহৃত এবং অব্যবহৃত জুতাগুলোকে এক জায়গায় গুছিয়ে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। ফলে যেকোনো সময় জুতা ব্যবহারের জন্য সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে।
২। সুরক্ষাঃ জুতার তাক ব্যবহারে জুতাকে মেঝে থেকে দূরে রাখা যায় ফলে জুতা ইঁদুর কিংবা ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে মুক্ত থাকবে। এমনকি জুতায় কোনো ধরণের স্ক্র্যাচ পড়বে না ফলে দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী থাকবে।
৩। নান্দনিকতাঃ বর্তমানে জুতার তাক বিভিন্ন ডিজাইন ও সাইজের হয়ে থাকে যা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নতুন সংযোজন হিসেবে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৪। সহজ সমাধানঃ জুতা তাক যদি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যেমন দরজার কাছে রাখা হয় তাহলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ব্যবহারকারী সহজেই প্রয়োজনীয় জুতাগুলি দ্রুত বের করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে।