নিরাপত্তা এলার্ম কেনাকাটা
সিকিউরিটি অ্যালার্ম হচ্ছে এমন এক ধরণের ডিভাইস যা অনুপ্রবেশ শনাক্ত করতে ডিজাইন করা হয়েছে। এই ধরণের ডিভাইস মূলত বাসা-বাড়ি, অফিস, দোকান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অননুমোদিত প্রবেশ ঠেকাতে ব্যবহৃত হয়। সিকিউরিটি অ্যালার্ম বাংলাদেশে বার্গলার অ্যালার্ম বা অ্যালার্ম সিস্টেম নামেও পরিচিত, যা অননুমোদিত অ্যাক্সেস, চুরি, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং সনাক্ত করার জন্য অপরিহার্য ডিভাইস হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিকিউরিটি অ্যালার্ম মূলত বিভিন্ন ধরনের মোশন সেন্সরের সমন্বয়ে তৈরি যা অননুমোদিত অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে সাইরেন বেজে উঠে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে এবং নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুসারে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে তুয়া, কেরুই, থিঙ্কএক্স, এজবিজ, বন্ড, কিং পিজিইন সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওয়াইফাই এবং ইন্টেলিজেন্ট সিকিউরিটি অ্যালার্ম পাওয়া যাচ্ছে।
সিকিউরিটি এলারম এর বিশেষত্ব কি?
১। সিকিউরিটি অ্যালার্ম অননুমোদিত অ্যাক্সেস এবং চুরির হওয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং সক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
২। সিকিউরিটি অ্যালার্ম সাধারণত মোশন সেন্সর, দরজা/উইন্ডো সেন্সর এবং গ্লাস ব্রেক সেন্সর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা অস্বাভাবিক এক্টিভিটি এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেসের বিষয়ে সতর্কতা প্রদান করে।
৩। সিকিউরিটি অ্যালার্ম ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে চুরি কিংবা অননুমোদিত অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে এলারম কিংবা সাইরেন প্রদান করে ব্যবহারকারী সতর্ক করার পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীকে বাধা প্রদান করে।
৪। কিছু কিছু সিকিউরিটি অ্যালার্ম সিস্টেম ওয়াইফাই, মোবাইল ডাটা কিংবা ইন্টারনেট ক্যাবল কানেকশনের মাধ্যমে রিমোটলি কন্ট্রোল করা যায়। যার ফলে দূরবর্তীভাবে মনিটরিং, রিয়েল টাইম নোটিফিকেশন এবং অ্যালার্ম এক্টিভেট করা যায়।
৫। সিকিউরিটি অ্যালার্ম অন্যান্য সিকিউরিটি সিস্টেমের সাথে যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা, এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম এবং হোম অটোমেশন সিস্টেম সহ অন্যান্য সিকিউরিটি সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ব্যবহার করা যায়।
৬। সিকিউরিটি অ্যালার্ম দোকান, অফিসে ব্যবহারের পাশাপাশি আবাসিক, কমার্শিয়াল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।
৭। তাছাড়া, চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিডিস্টল.কম এ কম দামে বিস্তৃত পরিসরে সিকিউরিটি অ্যালার্ম পাওয়া যায়।
সিকিউরিটি অ্যালার্ম এর দাম কত?
বাংলাদেশে সিকিউরিটি অ্যালার্ম এর দাম ৩৫০ টাকা থেকে শুরু, যা সাধারণত বাসা-বাড়ি, অফিসের দরজায় সিকিউরিটি অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া, অ্যালার্ম টাইপ, ফিচার, ব্র্যান্ড, মডেল এবং ডিভাইস ইন্টিগ্রেশন এর উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে সিকিউরিটি অ্যালার্ম এর দাম পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বাংলাদেশে বার্গলার সিকিউরিটি অ্যালার্ম ১,১০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও ওয়্যারলেস সেন্সর যুক্ত সিকিউরিটি অ্যালার্ম ২,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।
সিকিউরিটি অ্যালার্ম কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
অ্যালার্ম টাইপঃ বর্তমানে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে বার্গলার অ্যালার্ম, ফায়ার অ্যালার্ম সহ সমন্বিত সিস্টেমে তৈরি সিকিউরিটি অ্যালার্ম পাওয়া যায়। তাই, বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত সিকিউরিটি অ্যালার্ম বাছাই করতে হবে।
অ্যালার্ম ফিচারঃ সিকিউরিটি অ্যালার্ম সাধারণত মোশন সেন্সর, দরজা/উইন্ডো সেন্সর, গ্লাস ব্রেক ডিটেক্টর, কন্ট্রোল প্যানেল, কীপ্যাড এবং সাইরেন সহ বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়ে পাওয়া যায়। তাই সিকিউরিটি অ্যালার্ম কেনার আগে নিরাপত্তা ফিচার যাচাই করতে হবে।
মনিটরিং সুবিধাঃ সিকিউরিটি অ্যালার্ম ব্যবহারে দূরবর্তী অবস্থান থেকে রিমোটলি পর্যবেক্ষণ সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা তা ভালো ভাবে যাচাই করতে হবে। এছাড়াও, ২৪/৭ নজরদারিতে মোবাইল অ্যাপ কিংবা কোনো ওয়েব পেইজের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
অ্যালার্ম কানেক্টিভিটিঃ মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েব পেইজের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল ডাটা এবং ওয়াইফাই সংযোগ সুবিধা রয়েছে কিনা তা ভালো ভাবে যাচাই করতে হবে। তাছাড়া, বিডিতে সাশ্রয়ী দামে ওয়াইফাই সংযোগ সুবিধা সম্পন্ন সিকিউরিটি অ্যালার্ম পাওয়া যায়।
ডিভাইস ইন্টিগ্রেশনঃ বাসা-বাড়ি, আবাসিক হোটেল এবং কমার্শিয়াল এরিয়াতে হোম ইন্টিগ্রেশন সিস্টেম সহ অন্যান্য অ্যাক্সেস সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে কাজ করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
ইউজার ইন্টারফেসঃ জটিল ইউজার ইন্টারফেস যুক্ত সিকিউরিটি অ্যালার্ম ব্যবহার করা চ্যালেঞ্জিং। তাই সিকিউরিটি অ্যালার্ম কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইউজার ইন্টারফেস যাচাই করতে হবে, যা সহজেই ব্যবহার করার নিশ্চয়তা প্রদান করে।