ক্যানন স্ক্যানার কেনাকাটা
ক্যানন স্ক্যানার তুলনামূলক হাই-কোয়ালিটির হয়ে থাকে এবং সহজেই পরিচালনা করা যায় বিধায় যেকোনো অফিস বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত। ক্যানন স্ক্যানারের মাধ্যমে যেকোনো ধরণের কাগজপত্র বা ছবির সর্বোত্তম কোয়ালিটির ডিজিটাল কপি করা যায় যা পরবর্তীতে প্রয়োজনে যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়। ক্যানন স্ক্যানারের আধুনিক বৈশিষ্ট্য এবং উন্নত কোয়ালিটির কারণে বাংলাদেশ সহ বিশ্ব ব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া, বাংলাদেশে বর্তমানে সাশ্রয়ী দামে ক্যানন স্ক্যানার সর্বত্র পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ক্যানন স্ক্যানারের দাম কত?
বর্তমানে, ক্যানন স্ক্যানারের দাম এর স্ক্যান স্পিড, স্ক্যান রেজোলিউশন, সর্বোচ্চ স্ক্যান করার সাইজ, ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ক্যানন স্ক্যানারের দাম ৯,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা সাধারণত প্রতি ১০ সেকেন্ড সময়ে এ৪ সাইজের আকারর কাগজ স্ক্যান করতে পারে। তাছাড়া, হাই-রেজোলিউশনে স্ক্যান করতে সক্ষম ক্যানন স্ক্যানার বাংলাদেশে পাওয়া যায় যার দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
ক্যানন স্ক্যানারের বিশেষত্ব কি?
ক্যানন স্ক্যানারের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
১। উচ্চ-স্পিডঃ ক্যানন স্ক্যানার তুলনামূলক অধিক স্পিডে যেকোনো ধরণের কাগজ স্ক্যান করতে পারে। ক্যানন স্ক্যানারগুলো প্রতি মিনিটে ১৪৫ পেজ সহজেই স্ক্যান করতে সক্ষম ফলে ক্যানন স্ক্যানারগুলো যেকোনো লোড সম্পন্ন অফিসে স্ক্যানার হিসেবে উপযুক্ত।
২। উচ্চ কার্যকারিতাঃ ক্যানন স্ক্যানারগুলো উন্নত কোয়ালিটির স্ক্যান কপির আউটপুট প্রদান করে। এবং, একটানা দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পরেও ক্যানন স্ক্যানারের কার্যকারিতা ড্রপ হয় না। তাই, বাংলাদেশে কপি ও স্ক্যান করার দোকানে বা ছবির স্টুডিওতে ক্যানন স্ক্যানার ব্যবহার করাই উত্তম।
৩। স্লিম ডিজাইনঃ ক্যানন স্ক্যানার তুলনামূলক স্লিম ডিজাইনে তৈরি করা হয় বিধায় অফিসের যেকোনো স্থানে সহজেই সেটআপ করা যায়। এছাড়া, ক্যানন স্ক্যানার তুলনামূলক হালকা হয়ে থাকে ফলে, ডেস্কটপের উপরে রেখেও সহজে পরিচালনা করা যায়।
৪। আধুনিক সংযোগঃ ক্যানন স্ক্যানারে ইউএসবি সংযোগের ব্যবস্থা থাকে ফলে, স্ক্যানকৃত কাগজপত্রের কপি সহজেই কম্পিউটারে বা মোবাইলে ট্রান্সফার করা যায়। এছাড়া, কিছু কিছু ক্যানন স্ক্যানারে ওয়ারলেস কানেকশন এর ব্যবস্থা থাকে ফলে ইউএসবি কানেশন ছাড়াই স্ক্যান কপি যেকোনো ডিভাইসে স্থানান্তর করা যায়।
৫। সহজ নিয়ন্ত্রণঃ ক্যানন স্ক্যানারে নির্দিষ্ট আদেশ দেওয়ার জন্য কিছু বাটন থাকে ফলে সহজেই ক্যানন স্ক্যানার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ক্যানন স্ক্যানারে সাধারণত ৪টি বাটন থাকে যা হলোঃ পিডিএফ বাটন, অটো স্ক্যান বাটন, কপি বাটন, সেন্ড বাটন।
এছাড়া, ক্যানন স্ক্যানার কোন প্রকার রক্ষনাবেক্ষণ ছাড়াই বছরের পর বছর ব্যবহার করা যায়। কেননা ক্যানন স্ক্যানার উন্নত কোয়ালিটির উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয় পাশাপাশী উন্নত টেকনোলজি দ্বারা কাজ করে।
ক্যানন স্ক্যানার এর রেজোলিউশন কেমন?
ক্যানন স্ক্যানারগুলোতে কমপক্ষে ২৪০০ x ২৪০০ ডিপিআই রেজোলিউশন থাকে। এবং, স্পষ্ট রূপে কাগজপত্র স্ক্যান কপি আউটপুট প্রদান করতে পারে ফলে, আসল কপির ন্যায় স্ক্যান কপি প্রদান করতে সক্ষম। তবে, ব্যবহারকারীরা ক্যানন স্ক্যানারে স্ক্যান করার আগে প্রয়োজন অনুসারে রেজোলিউশন সিলেক্ট করতে পারে।
ক্যানন স্ক্যানার ব্যবহারে বৈদ্যুতিক খরচ কত?
ক্যানন স্ক্যানারগুলো ৪৫ থেকে ৫০ ওয়াট বৈদ্যুতিক শক্তি কনসাম্পসন করে। ফলে, ক্যানন স্ক্যানার প্রতিনিয়ত ব্যবহার করলে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। তবে, ক্যানন স্ক্যানার ব্যবহারের কমবেশী হওয়ার ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ কম বেশী হয়ে থাকে।