স্ক্যানার কেনাকাটা
বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে স্ক্যানার একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি বা বিভিন্ন দরকারি নথিপত্র কপি করার জন্য স্ক্যানার মেশিন বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে বহুলাংশে। প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র বা ছবিকে একটি ডিজিটালে রূপান্তর করাই মূলত স্ক্যানারের কাজ। স্ক্যানারের সাহায্যে বিভিন্ন বই, আইডি কার্ড, স্ট্যাম্প, ব্যবসায়িক কার্ড ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট সহজেই ডিস্কে সংরক্ষণ করা যায়।
বাংলাদেশে স্ক্যানার মেশিনের দাম কত?
বাংলাদেশে স্ক্যানার মেশিনের দাম ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু এবং এগুলো দিয়ে সহজেই লিগ্যাল, এ৩ ও বিভিন্ন সাইজের ডকুমেন্ট স্ক্যান করা যায় এবং কিছু স্ক্যানার মেশিন ডুপ্লেক্সিং সাপোর্ট করে। আর স্পেশাল কিছু স্ক্যানার আছে যেগুলো দিয়ে চেক বই ও অন্যান্য বই সহজেই স্ক্যান করা যায়।
স্ক্যানার কেনার আগে জেনে নিন কিছু টিপস
বাংলাদেশে অনেক রকমের স্ক্যানার পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি স্ক্যানার ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। নিচে উল্লেখিত কিছু টিপস জানা থাকলে কাজ অনুযায়ী সঠিক স্ক্যানারটি খোঁজা সহজ হয়ে যাবে।
১। বাংলাদেশে সবথেকে জনপ্রিয় একটি স্ক্যানার যার নাম ফ্ল্যাটবেড স্ক্যানার। এই স্ক্যানারকে বাসা বা অফিসের যেকোনো স্থানে রেখে স্ক্যানিং করা যাবে খুব সহজেই। যেকোনো ছবি বা বইকে স্ক্যান করার জন্য ফ্যাটবোর্ড স্ক্যানার ভালো।
২। প্রতিদিন স্ক্যানিং করার জন্য শিড ফিডার স্ক্যানার সবথেকে ভালো। যেকোনো নথিপত্রের একাধিক পাতা স্ক্যান করা যাবে শিড ফিডার স্ক্যানার দিয়ে। যদি প্রতিদিন স্ক্যানিং করতে হয় সেক্ষেত্রে শিড ফিডার স্ক্যানার ভালো হবে।
৩। নিয়মিত বড় বড় নথিপত্র স্ক্যান করতে চাইলে নিতে হবে স্বয়ংক্রিয় নথি ফিডার। এর সাহায্যে প্রতিদিন বিশাল আকারের নথিপত্র স্ক্যান সহজেই করা যাবে। তবে এগুলোর স্ক্যানিং ক্ষমতা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তাই আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে স্ক্যানিং করতে হবে কি রকম।
৪। ডুপ্লেক্স স্ক্যানারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেক। এই স্ক্যানারের সাহায্যে একবারেই দুই পৃষ্ঠা স্ক্যানিং করা যায়। অনেক গুলো নথি একটি পত্রের দুই পৃষ্ঠাতেই থাকে। ডুপ্লেক্স স্ক্যানার ছাড়া এক সাথে দুই পৃষ্ঠা স্ক্যানিং করা সম্ভব না। তাই একসাথে দুই পৃষ্ঠা স্ক্যান করতে চাইলে ডুপ্লেক্স স্ক্যানার কিনলে সুবিধা হবে।
৫। কাজের ক্ষেত্রে যে স্ক্যানারই কেনা হউক না কেন আগে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে স্ক্যানারের মান কেমন। স্ক্যানারের মান ভালো না হলে স্ক্যানার মেশিন টেকশই হবে না।
৬। স্ক্যানার কেনার আগে অবশ্যই গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি দেখে কিনতে হবে কারণ বিক্রয়োত্তর সেবা একটি মূখ্য বিষয়। তাই কোন স্ক্যানারে বিক্রয়োত্তর সেবা বেশি পাওয়া যাবে সেটি জেনে কিনতে হবে।
৭। স্ক্যানারের ক্ষেত্রে স্ক্যানিং রেজুলেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কতো ডিপিআই রেজুলেশনে একটি স্ক্যানার মেশিন স্ক্যানিং করতে পারে তা আগে জেনে নিতে হবে পরিষ্কার ভাবে। রেজুলেশন খারাপ হলে স্ক্যানিং ভালো হবে না।
৮। স্ক্যানারের সাথে সফটওয়্যার দেয়া হচ্ছে কি না দেখতে হবে। যদিও এটি মূখ্য কোনো বিষয় না কিন্তু এর সাহায্যে অতিরিক্ত কিছু সেবা পাওয়া যাবে। এই সফটওয়্যার গুলোতে ফটো এডিটিং সফটওয়্যার, অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর), টেক্সট এডিটিং, পিডিএফ ক্রিয়েশন এবং বিজনেস কার্ড সহ অনেক প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের নিবন্ধিত ভার্সন দেয়া থাকে। তাই অতিরিক্ত সেবা পেতে অবশ্যই সফটওয়্যার দেয়া হচ্ছে কি না তা দেখে নেয়া ভালো।