হাতের গ্লাভস কেনাকাটা
হাত গ্লাভস সবার পরিচিত ও প্রয়োজনীয় উপাদান যার ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্রে হাতের গ্লাভস একটি উপকারী এবং অপরিহার্য উপাদান। বিশেষ করে ক্ষতিকারক জীবাণু এবং কেমিক্যাল থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে বিভিন্ন উপদানে তৈরি হাতের গ্লাভস ব্যবহার করা হয় ফলে সাধারণত সেফটি হাতের গ্লাভস নামেও ব্যাপক পরিচিত। বর্তমানে, প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন উপাদানের তৈরি হাতের গ্লাভস বাংলাদেশে পাওয়া যায়। তাছাড়া, বিডিস্টল.কম থেকে কমদামে বিভিন্ন ধরনের হাতের গ্লাভস কেনা যায়।
বাংলাদেশে হাতের গ্লাভস এর দাম কত?
বাংলাদেশে হাতের গ্লাভসের দাম এর ধরণ, গুণমান, উপাদান, ইত্যাদির ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে হাতের গ্লাভস কিনতে কমপক্ষে ৫০ টাকা খরচ হয় যা রাবারের তৈরি কেমিক্যাল হাতের গ্লাভস। সিলিকনের তৈরি হাতের গ্লাভস এর দাম সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে শুরু। তাছাড়া, শীতকালীন হ্যান্ড গ্লাভস কেনার জন্য নির্মিত উপাদান ভেদে ১০০ টাকার বেশি খরচ করতে হয়। অন্যদিকে, মেটাল এর তৈরি হাতের গ্লাভস কিনতে কমপক্ষে ৪,৫০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে যা সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশে কয় ধরনের হাতের গ্লাভস পাওয়া যায়?
কাজের ধরণ এবং তৈরি উপাদানের ভিত্তিতে কয়েক ধরনের হাতের গ্লাভস বাংলাদেশে পাওয়া যায়। বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
পলিথিন হাতের গ্লাভসঃ পলিথিন হাতের গ্লাভস সাধারণত ফুড স্টল বা রেস্তোরায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয়। এমনকি বিভিন্ন পণ্যের সাথে পলিথিন হাতের গ্লাভস সরবরাহ করা হয় যাতে করে পণ্যটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায় সরাসরি হাতের স্পর্শ ছাড়াই। বাংলাদেশে পলিথিন হাতের গ্লাভস ওয়ান টাইম হাতের গ্লাভস নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে পলিথিন হাতের গ্লাভস গুণমানের ভিত্তিতে মাত্র ৬০ টাকার মধ্যে ১০০ পিস বক্স বা ২০০ পিস বান্ডেল পাওয়া যায়।
রাবার হাতের গ্লাভসঃ রাবারের তৈরি হাতের গ্লাভস মূলত রাবার হাতের গ্লাভস যা কেমিক্যাল রোধী হয়ে থাকে বিধায় সাধারণত রাসায়নিক হ্যান্ডলিং, তেল পরিশোধন, কৃষি কাজ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্রিন্টিং শিল্প, ইত্যাদি শিল্পে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, বেশির ভাগ রাসায়নিক কারখানায় এবং প্রিন্টিং শিল্প রাবার হাতের গ্লাভস ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক যাতে করে কেমিক্যাল এবং রঙের ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শ থেকে নিরাপদে থাকা যায়। আর, বাংলাদেরশে রাবার হাতের গ্লাভস সাধারণত কেমিক্যাল হাতের গ্লাভস বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাতের গ্লাভস নামেও পরিচিত। রাবার হাতের গ্লাভসের গুণমানের ভিত্তিতে বাংলাদেশে এর দামের তারতম্য হয়ে থাকে।
সার্জিকাল হাতের গ্লাভসঃ ল্যাটেক্স, নাইট্রিল রাবার, পলিভিনাইল ক্লোরাইড, এবং নিওপ্রিন সহ বিভিন্ন পলিমার দ্বারা সার্জিকাল হাতের গ্লাভস তৈরি করা হয়। তাছড়া, সার্জিকাল হাতের গ্লাভস জীবানুমুক্ত থাকে এবং সার্জিকাল হাতের গ্লাভসে কর্নস্টার্চ পাউডার ব্যবহার করা হয় যা অপসারণ সহজ করে তোলে এবং হাতের গ্লাভস ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। সার্জিকাল হাতের গ্লাভস সাধারণত হাসপাতালে রোগীর যেকোনো ধরনের সার্জেরির সময় ডাক্তার এবং সহকারীরার পরিধান করে থাকে। বাংলাদেশে সার্জিকাল হাতের গ্লাভসের দাম সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ১০০ টাকা জোড়া হয়ে থাকে।
ল্যাবরেটরি হাতের গ্লাভসঃ ল্যাবরেটরি হাতের গ্লাভস তৈরিতে বিউটাইল রাবার, প্রাকৃতিক ল্যাটেক্স রাবার, পলিক্লোরোপ্রিন, নাইট্রিল, পলিথিন, এবং পিভিসি সহ ইত্যাদি উপাদান ব্যবহার করা হয়। ল্যাবরেটরি হাতের গ্লাভস সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে বা রোগ নির্ণয় পরিক্ষাগারে বিপজ্জনক পদার্থ, অজানা বিষাক্তত রাসায়নিক পদার্থ, ক্ষয়কারী পদার্থ, খুব গরম বা খুব ঠান্ডা উপাদান, এবং রুক্ষ বা ধারালো বস্তু পর্যবেক্ষণ ও পরিক্ষন করার সময় ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে ল্যাবরেটরি হাতের গ্লাভসের দাম সার্জিকাল হাতের গ্লাভস এর মত।
শীতকালীন হাতের গ্লাভসঃ শীতকালীন হাতের গ্লাভস ব্যবহার করে শীতকালীন সময় হাতকে পর্যাপ্ত পরিমানের গরম রাখা যায়। বাংলাদেশে কাপড়, লেদার, উল, ইত্যাদি উপাদানের তৈরি শীতকালীন হাতের গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে লেদারের তৈরি শীতকালীন হাতের গ্লাভস কিনতে কমপক্ষে ৭০০ টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে, কাপড় বা উল এর তৈরি শীতকালীন হাতের গ্লাভস কেনার জন্য সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা খরচ করতে হবে।
মেটাল মেশ হাতের গ্লাভসঃ মেটাল মেশ হাতের গ্লাভস তৈরিতে স্টেইনলেস স্টিল মেশ ব্যবহার করা হয়েছে। মেটাল মেশ হাতের গ্লাভস সাধারণত টেক্সটাইল কাটিং এবং শীট মেটাল উতপাদন কারখানা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। মেটাল মেশ হাতের গ্লাভস কাটিং রোধী হয়ে থাকে তাই ঝুকি পূর্ণ স্থান সমূহতে ব্যাপক হারে ব্যবহার প্রচলন রয়েছে।