রুটি মেকার কেনাকাটা
বাংলাদেশে সকালের নাস্তা হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে রুটি বা পরোটা। কিন্তু রুটি বানাতে খরচ করতে হয় অনেক সময় এবং দিতে হয় অনেক শ্রম। তবে এ সমস্যার সমাধান হিসেবে বিডির সর্বত্র এখন পাওয়া যাচ্ছে রুটি মেকার। এটির সাহায্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রুটি বানিয়ে ফেলা যায় এবং পরিশ্রমও কম হয়। বাংলাদেশে এটিকে ব্রেড মেকারও বলা হয়।
কত রকমের রুটি মেকার পাওয়া যায়?
বিডিতে ২ রকমের রুটি মেকার পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
• ইলেক্ট্রনিক রুটিমেকার
• ম্যানুয়াল রুটিমেকার
ইলেক্ট্রনিক রুটি মেকারঃ
ইলেক্ট্রনিক রুটি মেকার বিদ্যুৎ শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। এটির একটি বিশেষ গুণ আছে সেটি হল এটি রুটি বানিয়ে সরাসরি ভেজে দিতে পারে। ফলে আলাদা করে চুলায় দিতে হয় না। এর ফলে গ্যাস ও কম খরচ হয়। এগুলো সাধারণত মেটাল দিয়ে তৈরি হয় তবে রুটি বানানোর পিঁড়িটি ননস্টিক হয়। কিছু কিছু ইলেক্ট্রনিক রুটি মেকারে টাইমার মোড থাকে ফলে রুটি যখন পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে ফুলতে শুরু হয়ে তখন অটোমেটিক ভাবে ইলেক্ট্রনিক রুটি মেকার বন্ধ হয়ে যায়।
ম্যানুয়াল রুটি মেকারঃ
এই রুটি মেকার সাধারণত কাঠের তৈরি এবং অনেকগুলি স্টিলের তৈরি। ম্যানুয়াল রুটি মেকারে রুটি বানাতে চাইলে প্রথমে কাঁচা বা সিদ্ধ আটার সাথে পানি গুলিয়ে নিতে হবে। তারপর রুটি মেকারের ওপর পরিমাণমতো আটার ডো রেখে তারপর রুটি মেকারের হাতল ধরে চাপ দিলেই আটার ডোটি রুটিতে পরিণত হয়ে যাবে। এটির সাহায্যে রুটি, পরোটা, লুচি, চাপড়ি, পুরি আরও বিভিন্ন রকমের মজাদার খাবার তৈরি করে ফেলা যায় নিমিষেই। আর ম্যানুয়াল রুটি মেকার কম দামের কারনে বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয়।
বিডিতে রুটি মেকারের দাম কত?
বিডিতে রুটি মেকার দাম মাত্র ৯৯৯ টাকা। এটি স্টেইনলেস স্টিল দ্বারা নির্মিত। রুটি, পুরি, লুচি এবং বিভিন্ন রকমের খাবার এটি দিয়ে তৈরি করা যায় খুব সহজেই। তবে বিভিন্ন রকমের রুটি মেকার পাওয়া যায় বিডিতে। রুটি মেকারের দাম নির্ভর করে এগুলোর ব্র্যান্ড, প্রযুক্তি, সাইজ এবং অন্যান্য বিশেষত্বের উপর।