রাইস কুকার কেনাকাটা
সম্প্রতি সময়ের সুপরিচিত কুকিং ডিভাইস হচ্ছে রাইস কুকার যা দ্বারা সহজেই যেকোনো ধরনের রাইস নিখুঁতভাবে রান্না করা যায়। বর্তমানে, ভিশন, প্যানাসনিক, ফিলিপস, এবং এলজি সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রাইস কুকার বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া, বিডিস্টল.কম থেকে কম দামে প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি সম্পন্ন রাইস কুকার সংগ্রহ করা যাবে।
রাইস কুকার কেন কিনব?
১। ভাত পুড়বে নাঃ রাইস কুকার ব্যবহার করে ভাত রান্না করলে ভাত কখনো পুড়বে না। কেননা রাইস কুকারে ভাত রান্না হওয়ার পরে অটোমেটিক “কিপ ওয়ার্ম” মোডে চলে যায় ফলে ভাত পুড়ে না গিয়ে গরম বজায় থাকে।
২। নিখুঁত ভাত রান্নাঃ রাইস কুকার ব্যবহারে নিখুঁত ভাত রান্না হয় ফলে ভাত কম রান্না হওয়া বা বেশি রান্না হওয়া চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাছাড়া, রাইস কুকারে ভাত রান্না করলে ভাতে সুগন্ধযুক্ত এবং তুলতুলে শস্যের টেক্সচার থাকে যা ভাতকে খুবি সুস্বাদু করে তোলে।
৩। পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন নেইঃ রাইস কুকার দ্বারা ভাত রান্না করলে কুকারের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না। কেননা রাইস কুকার অটোমেটিক ভাবে নিখুঁত ভাত রান্না করতে পারে।
৪। বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নাঃ ইলেকট্রিক রাইস কুকার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ও জাতের চাল রান্না করা যায় সহজেই। এমনকি পোলাও বা বাসমতি চাল সহজেই রাইস কুকার ব্যবহার করে সহজেই রান্না করা যায়।
৫। সুস্বাদু ভাতঃ রাইস কুকার ব্যবহার করে ভাত রান্না করলে ভাত খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু হয়। কেননা রাইস কুকারে ভাত রান্না করার ফলে, এর সাথে থাকা সম্পূর্ণ পানি ভাত শুষে নেয় ফলে ভাত সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এর পুষ্টি মান ঠিক থাকে।
৬। সময় সাপেক্ষ নয়ঃ রাইস কুকার ব্যবহার করে কম সময়ে ভাত রান্না করা যায় ফলে হঠাৎ আগত অতিথিদের জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে ভাত রান্না হয়ে যাবে। ফলে, বাংলাদেশে রাইস কুকারের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
৭। ভাত গরম রাখেঃ রাইস কুকারে “কিপ ওয়ার্ম” একটি মোড থাকে যা ভাত রান্না হওয়ার পর খাওয়ার সময় পর্যন্ত ভাত গরম খারে এবং গরম ভাতের স্বাদ বজায় রাখে।
৮। ব্যবহার করা সহজঃ রাইস কুকার ব্যবহার করা খুবি সহজ। সুধু মাত্র পরিমিত চাল এবং পানি দিয়ে রাইস কুকার চালু করতে হবে এবং স্বল্প সময়ে ভাত রান্না হয়ে যাবে।
৯। পরিষ্কার করা সহজঃ রাইস কুকার যেমন ব্যবহার করা সহজ তেমনি এটি ব্যবহার পরবর্তী সময় পরিষ্কার করা সহজ। তাই, বলা যায় যে এটি ব্যবহার এবং পরিষ্কার করতে সময় ও শ্রম উভয় কম লাগে।
রাইস কুকার কেনার আগে
- প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি রাইস কুকার নির্বাচন করতে হবে।
- ভাত রান্না করতে কতক্ষণ সময় নেয় তা বিবেচনায় নির্দিষ্ট মডেলের রাইস কুকার কিনতে হবে।
- রাইস কুকার প্রতিনিয়ত ব্যবহার হবে তাই এর ইলেকট্রিক পাওয়ার কন্সাম্পশন কতটুকু তা বিবেচনা করতে হবে।
- “কিপ ওয়ার্ম” মোড কতক্ষণ ভাত গরম রাখতে পারে তা বিবেচনায় রাইস কুকার নির্বাচন করতে হবে।
- রাইস কুকার কেনার আগে অবশ্যই এর নির্মিত বডি উপাদান বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশে রাইস কুকারের দাম কত?
বাংলাদেশে রাইস কুকার এর ব্র্যান্ড, মডেল, ক্যাপাসিটি, কুকিং টাইম, সর্বোচ্চ কিপ ওয়ার্মিং সক্ষমতা, এবং গুণমান এর ভিত্তিতে এর দাম নির্ধারিত হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে রাইস কুকারের দাম সর্বনিম্ন ২,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে উন্নত মানের ইলেকট্রিক রাইস কুকার কিনতে ৪,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে। তাছাড়া, ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে সহ রাইস কুকার পাওয়া যায় যেগুলোর দাম সাধারণত ১০,০০০ টাকার বেশি।
মিনি রাইস কুকারের দাম
মিনি রাইস কুকার সাধারনত ছোট পরিবার বা ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। এই ধরণের রাইস কুকারের ক্যাপাসিটি প্রায় ০.৫ থেকে ১ লিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাছাড়া, এই ক্যাপাসিটির রাইস কুকার আপনাকে ভাত রান্না, সবজি গরম করার পাশাপাশি স্যুপ তৈরিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে ব্র্যান্ড এবং অন্যান্য ফিচারের উপর নির্ভর করে মিনি রাইস কুকারের দাম ১,০০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এই কমপ্যাক্ট সাইজের ইলেক্ট্রিক রাইস কুকার বিশেষ করে ব্যাচেলর কিংবা দুই জন সদস্যের পরিবারের জন্য আদর্শ।
১.৮ লিটার রাইস কুকারের দাম
১.৮ লিটার রাইস কুকার ৩-৪ জন সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের জন্য উপযুক্ত। এই ক্যাপাসিটির রাইস কুকার দৈনন্দিন ভাত রান্নার পাশাপাশি অন্যান্য খাবার রান্না করতে সহায়তা করে। ১.৮ লিটার রাইস কুকারে স্টিমিং এবং ওয়ার্মিংয়ের মতো অতিরিক্ত ফিচার সরবারহ করে থাকে, যা খাবার রান্নার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় খাবার গরম রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া, আকারে ছোট এবং পোর্টেবল ডিজাইনে তৈরি হওয়ায় বাসা-বাড়ির পাশাপাশি আউটডোর কিচেন, হোটেল এবং কমার্শিয়াল কিচেনেও ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে ১.৮ লিটার রাইস কুকারের দাম ২২০০ টাকা থেকে শুরু, তবে ব্র্যান্ড, মডেল, পাওয়ার আউটপুট এবং মাল্টিফাংশনাল সহ অন্যান্য ফিচারের উপর নির্ভর করে দাম পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
২.৮ লিটার রাইস কুকারের দাম
বড় পরিবার বিশেষ করে ৫-৬ জন্য সদস্যের জন্য রান্না করতে ২.৮ লিটার রাইস কুকারই সেরা। এই ক্যাপাসিটির রাইস কুকার বেশি পরিমানে ভাত রান্নার জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ২.৮ লিটার রাইস কুকারের দাম ২,৯০০ টাকা থেকে ৯,৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এই ক্যাপাসিটির ডিজিটাল রাইস কুকার ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় করার পাশাপাশি ৫ ঘণ্টার বেশি সময় খাবার গরম রাখতে পারে। ফলে, ২.৮ লিটার রাইস কুকার আপনার বাসা-বাড়ি, হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের কিচেনে ব্যবহারের জন্য সেরা সংযোজন হবে।
এছাড়াও, ৩ লিটার, ৫ লিটার এবং ৬ লিটার ক্যাপাসিটির মত উচ্চ ক্যাপাসিটি এবং গুণমানে সেরা রাইস কুকার বাংলাদেশে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট প্লেস বিডিস্টলে কম দামে পাওয়া যায়। আপনার চাহিদা এবং বাজেটের সাথে মানানসই সঠিক রাইস কুকার বেছে নিতে পারেন। পাশাপাশি আপনি বিডিস্টল থেকে সরাসরি অর্ডার করে সংগ্রহ করতে পারেন।