bdstall.com

ওয়ারপুল ফ্রিজ এর দাম

আইটেম ১-১১ এর ১১

ওয়ারপুল ফ্রিজ কেনাকাটা

ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর মূলত আমেরিকান হোম অ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানী ওয়ারপুল কর্পোরেশনের তৈরি। এটি ইনভার্টার টেকনোলোজি, মাইক্রোব্লক টেকনোলোজি, আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট সহ অত্যাধুনিক টেকনোলোজির সমন্বয়ে টপ ফ্রিজার সরবারহ করে থাকে। এই ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর মূলত বাসা-বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। তাছাড়া, প্রায় সকল ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরই স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই অপারেট করা যায়। বর্তমানে, বিভিন্ন ক্যাপাসিটির ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।

ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরের বিশেষত্ব

  • ইনভার্টার টেকনোলজিঃ ওয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটর মূলত এডভান্স ইনভার্টার টেকনোলোজি দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। এই ধরণের টেকনোলোজি কেবল বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফ্রিজের ভিতরের লোডের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে ধারাবাহিক শীতল কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। ফলে, ফ্রিজে রাখা খাবার দীর্ঘস্থায়ীভাবে সতেজ থাকে।
  • ফ্রেশ ম্যাজিক টেকনোলোজিঃ এই টেকনোলোজি মূলত ওয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটরে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফল এবং শাকসবজি তাজা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রেশ ম্যাজিক টেকনোলোজি আর্দ্রতার মাত্রা এবং তাপমাত্রা আদর্শ অবস্থায় বজায় রাখে। তাছাড়া, এটি রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবারের পচন রোধ করে এবং খাবারের পুষ্টি গুণাগুণ ধরে রাখে।
  • প্রশস্ত স্টোরেজঃ ওয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটরে সামঞ্জস্যযোগ্য তাক এবং বগি সহ প্রশস্ত অভ্যন্তর সরবারহ করে, যা আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুসারে স্টোরেজ স্পেস প্রদান করে থাকে। ফলে, শাকসবজি, পানির বোতল, ডিম কিংবা মাছ ও মাংস জাতীয় খাবার গুছিয়ে রাখতে পারবেন। এই ধরণের স্টোরেজ ব্যবস্থা আপনার ফ্রিজকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
  • ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী গ্যাসকেটঃ ওয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটরের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া গ্যাসকেট রয়েছে, যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। এটি শুধুমাত্র আপনার খাবারকে নিরাপদ রাখবে না বরং ফ্রিজের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করবে। ফলে, ওয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটরে আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে খাবার সংরক্ষণ করতে পারবেন।
  • মাইক্রোব্লক টেকনোলোজিঃ এই রেফ্রিজারেটরে মাইক্রোব্লক এর মত এডভান্স টেকনোলোজি রয়েছে, যা প্রায় ৯৯.৯% ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করে। এটি ফলমূল এবং শাকসবজি ৭ দিন পর্যন্ত তাজা রাখার পাশাপাশি তাদের গুণগতমান এবং স্বাদ সংরক্ষণ করতে পারে।
  • অ্যাক্টিভ ডিও টেকনোলোজিঃ এই টেকনোলোজি মূলত ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরের ভিতরের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে, আপনার খাবারের আসল সুবাস এবং সতেজতা ধরে রাখবে।
  • স্টেবিলাইজার মুক্ত অপারেশনঃ বেশির ভাগ ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর স্টেবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এই ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর নিজে থেকে ভোল্টেজের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • স্টাইলিশ ডিজাইনঃ ওয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটর সাধারণত মসৃণ ও অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে, যা আপনার রান্নাঘর কিংবা ডাইনিং স্পেসের সাথে মানানসই হবে।  এছাড়াও, এই ব্রান্ডের রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন কালার এবং ফিনিশিং-এ পাওয়া যায়, আপনার বাসা-বাড়ির অন্যান্য আসবাবপত্রের সাথে মানানসই হবে এবং একই সাথে সেরা পারফরম্যান্স প্রদান করবে।

বাংলাদেশে ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরের দাম কত?

বাংলাদেশে ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরের দাম মূলত ৩৪,০০০ টাকা থেকে ৭৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, ফ্রিজারের ক্যাপাসিটি, ডিজাইন, কম্প্রেসার কোয়ালিটি এবং এডভান্স টেকনোলজির উপর নির্ভর করে ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরের দাম পরিবর্তিত হয়। বাসা-বাড়ির জন্য ২৩৬ লিটার থেকে ২৫৭ লিটার ক্যাপাসিটির ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর ৩৬,০০০ টাকা থেকে ৪৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা মাইক্রোব্লক, এক্টিভ ডিইও টেকনোলোজির সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এই ক্যাপাসিটির ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর ১০০% সিএফসি এবং এইচসিএফসি মুক্ত হয়ে থাকে।এছাড়াও, ২৭৮ লিটারের বেশি ক্যাপাসিটির ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরের দাম ৪৭,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, টেকনোলোজি ও অন্যান্য ফিচার ভেদে দাম কম বেশি হয়ে থাকে।

ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে কি বিদ্যুৎ খরচ কম হয়?

ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ যথেষ্ট কম হয়। বিশেষ করে আপনি যদি এনার্জি এফিশিয়েন্ট মডেল বেছে নিন। প্রায় সকল ওয়ারপুল রেফ্রিজারেটরে ইনভার্টার কম্প্রেসার এবং ৫ স্টার এনার্জি সার্টিফিকেশন রয়েছে, যা অন্যান্য রেফ্রিজারেটরের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। ফলে, এই ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে আপনার প্রায় ৭৩% বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হবে।