bdstall.com

হাইসেন্স ফ্রিজ এর দাম

আইটেম ১-৭ এর ৭

হাইসেন্স ফ্রিজ কেনাকাটা

হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর মূলত চাইনিজ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি  হাইসেন্স গ্রূপ কো. লিমিটেড এর তৈরী। উন্নত টেকনোলজি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনে তৈরী হাইসেন্স মিনি রেফ্রিজারেটর থেকে শুরু করে ডবল ডোর, সিঙ্গেল ডোর, বটম রেফ্রিজারেটর বাংলাদেশে পাওয়া যায়। তাছাড়া, হাইসেন্স যথেষ্ট সাশ্রয়ী দামে গুণমান সম্পন্ন রেফ্রিজারেটর সরবারহ করায় বাংলাদেশে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্তমানে, আকর্ষণীয় ডিজাইনে তৈরী ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপাসিটির হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর বিডিস্টলে পাওয়া যায়। আপনি বাজেট অনুযায়ী আপনার পছন্দের হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের মডেল ও দাম যাচাই করে সরাসরি বিডিস্টল থেকে অর্ডার করতে পারেন।

কেন হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর ভালো?

ক্যাপাসিটিঃ হাইসেন্স ১৮৯ লিটার থেকে ৫৮০ লিটার পর্যন্ত  বিভিন্ন ক্যাপাসিটির রেফ্রিজারেটর সরবারহ করে থাকে। ফলে, ফ্রেশ এবং হিমায়িত খাবার রাখার জন্য হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর পর্যাপ্ত জায়গা প্রদান করে। এছাড়াও, ২২৫ লিটার থেকে ৩৫৫ লিটার ক্যাপাসিটির হাইসেন্স রেফিজারেটরে আপনি যেকোন ধরণের খাবার সহজেই সংরক্ষণ করতে পারবেন।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীঃ হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের প্রায় মডেলেই এ+/এফ এনার্জি সেভিং, এবং ৫ ষ্টার এনার্জি ষ্টার কোয়ালিফাইড হয়ে থাকে। ফলে, এই রেফ্রিজারেটর পরিবেশ-বান্ধব হওয়ার পাশাপাসি  শক্তি সাশ্রয় করে বিদ্যুৎ বিলও কমায়।  তাই, বাসা-বাড়িতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর উত্তম।

এডভান্স কুলিং ফিচারঃ হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরে মাল্টি-এয়ার-ফ্লো সিস্টেম এবং ইনভার্টার কম্প্রেসার দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা দক্ষ এবং সমান শীতল পরিবেশ  নিশ্চিত করে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার তাজা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, সামঞ্জস্যযোগ্য তাপমাত্রা ব্যবস্থা এবং ডোর অ্যালার্মের মতো ফিচার সরবারহ করে ,যা আপনার ব্যবহারের সহজলভ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি খাবার সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে।

শান্ত অপারেশনঃ হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর  সাধারণত ৩৭ ডেসিবল থেকে সর্বোচ্চ ৪২ ডেসিবল সাউন্ড লেভেলে কাজ করে থাকে। তাই, বাসা-বাড়িতে  শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে এই রেফ্রিজারেটর যথেষ্ট সহায়ক হবে।

টোটাল নো ফ্রস্টঃ কিছু কিছু হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরে ফ্রস্ট ফ্রি হয়ে থাকে, যা ফ্রিজের ভিতরে সমান বায়ু বিতরণ নিশ্চিত করে এবং বরফ জমাট বাধা রোধ করে। এটি প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বজায় রাখে। ফলে, খাদ্যদ্রব্য সহজে জমাট বাধে না এবং তাদের গুণমান বজায় থাকে।

মেটাল টেক কুলিংঃ এই টেকনোলজি মূলত কিছু কিছু হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের বগির ভিতরে ধাতব কুলিং প্লেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই ধাতব প্লেট উচ্চ তাপ পরিবাহিতা হয়ে থাকে, যা ঠান্ডা বাতাস সমানভাবে বিতরণ করে ফ্রিজ জুড়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে, খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য সতেজ থাকে।

ট্রিপল জোন কুলিংঃ এই ধরণের টেকনোলজি হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের মধ্যে পৃথক পৃথক বগির জন্য ভিন্ন তাপমাত্রা সেট করার সুবিধা প্রদান করে। ফলে, আপনি ফল, শাকসবজি, মাংস এবং অন্যান্য খাবার আদর্শ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে পারবেন।

ডিজাইনঃ হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরে মসৃণ প্রিমিয়াম কালো কাচের দরজা, একাধিক স্টোরেজ এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য এলসিডি কন্ট্রোল প্যানেলের মতো ফিচার সরবারহ করে থাকে। ফলে, এই ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর আপনার জন্য ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে এবং খাবার সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রদান করবে।

বাংলাদেশে হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের  দাম কত?

বাংলাদেশে হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর দাম ৩৪,০০০ টাকা থেকে ৯১,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যা ক্যাপাসিটি, ফ্রিজ টাইপ, টেকনোলজি এবং অন্যান্য ফিচারের উপর নির্ভর করে দাম পরিবর্তিত হয়। হাইসেন্স মিনি রেফ্রিজারেটর ৩৪০০০-৩৫০০০ টাকায় কিনতে পারবেন। ২৫৯ লিটার থেকে ৩০০ লিটারের রেফ্রিজারেটর ৩৯,০০০ টাকা থেকে ৮৭,০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। এছাড়াও, ৫৬৪ লিটার থেকে ৫৮০ লিটার ক্যাপাসিটির হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের দাম বাংলাদেশে ৮৬,০০০ টাকা থেকে ৯১,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

হাইসেন্স ডবল ডোর রেফ্রিজারেটরের দাম কত?

ডাবল ডোর হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর সাধারণত সাইজে বড় হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ  ক্যাপাসিটি সরবারহ করে  এই ধরণের হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরে এলইডি ডিসপ্লে, সাইড বাটন কন্ট্রোল এবং মাল্টি-এয়ার-ফ্লো সিস্টেম সরবারহ করে। ফলে প্রায় সকল ধরনের খাবার দীর্ঘসময় পর্যন্ত ফ্রেশ থাকে। বাংলাদেশে ডাবল ডোর হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরের দাম  ৮৬,০০০ টাকা থেকে ১৮৯,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

হাইসেন্স ডিপ ফ্রিজার কেমন এবং দাম কত?

হাইসেন্স ডিপ ফ্রিজার ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো সুবিধা হচ্ছে উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করে। এই ধরণের ফ্রিজার সাধারণত ১৮৯ লিটার থেকে ২৪০ লিটার ক্যাপাসিটি সরবারহ করে, যা খাবার এবং অন্যান্য বাজারজাত পণ্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত স্টোরেজ সরবারহ করে। এছাড়াও, দরজায় এলইডি, ডোর লক, ইনসাইড গ্লাস ডোর সরবারহ করে থাকে, যার ফলে এই ধরণের হাইসেন্স রেফ্রিজারেটর আপনার জন্য ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে। বাংলাদেশে হাইসেন্স ডিপ ফ্রিজ ৩৪,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

কত টাকায় হাইসেন্স টপ ফ্রিজার পাওয়া যায়?

হাইসেন্স টপ ফ্রিজার সাধারণত সিঙ্গেল ডোর টাইপ রেফ্রিজারেটর হয়ে থাকে। বাংলাদেশে হাইসেন্স টপ ফ্রিজারের দাম ৩৯,০০০ টাকা থেকে ৮৭,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, ক্যাপাসিটি ও ফিচার ভেদে দাম ভিন্ন হয়ে থাকে।  এই ধরণের রেফ্রিজারেটর খাবার কিংবা শাকসবজি সতেজ রাখতে ম্যানুয়াল ডিফ্রস্টিং সহ স্বয়ংক্রিয় ডিফ্রস্টিং ফ্রিজের ন্যায় মেকানিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে। এছাড়াও, সামঞ্জস্যযোগ্য তাপমাত্রা বজায় রাখতে এডজাস্টেবল টেম্পারেচার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। ফলে, আপনি ইচ্ছানুযায়ী তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।