রিফ্র্যাক্টোমিটার কেনাকাটা
এই রিফ্র্যাক্টোমিটার ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই তরল দ্রব্যের ঘনত্ব, শর্করা, লবণাক্ততা, বা বিশেষ দ্রবণের বিশুদ্ধতা পরিমাপ করতে পারবেন। এছাড়াও এই রিফ্র্যাক্টোমিটার বাংলাদেশে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, অ্যালকোহল মাপা, রক্তের নমুনায় মোট প্লাজমা প্রোটিন এবং অন্যান্য তরলের ঘনীভূত পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে কি ধরনের রিফ্র্যাক্টোমিটার পাওয়া যায়
- অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটারঃ এই অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটারগুলো সাধারণত নির্দিষ্ট দ্রবণের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পদার্থের ঘনত্ব পরিমাপ করে থাকে। এই অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটারগুলো দ্বারা সাধারণ ভাবে পন্য পরিমাপ করা যায়। এই অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটারের কম দাম হয়ে থাকে এবং আকারে ছোট হওয়াই আপনি সব সময় সাথে নিয়ে রাখতে পারবেন। অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটার বাংলাদেশের ই-কমার্স প্লাটফর্ম বিডিস্টল.কম থেকে সঠিক দাম জানতে এবং কিনতে পারবেন।
- ডিজিটাল রিফ্র্যাক্টোমিটারঃ বর্তমান সময়ে বাজারে ডিজিটাল রিফ্র্যাক্টোমিটার পাওয়া যাচ্ছে যা আপনি প্রতিটা পরিমাপ সঠিক ভাবে জানতে পারবেন। কারন ডিজিটাল রিফ্র্যাক্টোমিটারে এলসিডি ডিসপ্লে, টাচ কনট্রোল সিস্টেম বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটারের থেকে ডিজিটাল রিফ্র্যাক্টোমিটারের দাম তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি হয়। তাই আপনার বাজেট অনুযায়ী পছন্দের মডেলটি আপনি বাংলাদেশের ই-কমার্স প্লাটফর্ম বিডিস্টল থেকে কিনতে পারবেন।
রিফ্র্যাক্টোমিটার কি কি কাজের জন্য ব্যবহার হয়
এই রিফ্র্যাক্টোমিটার কেনার আগে প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কোন কাজের জন্য কোন টাইপের রিফ্র্যাক্টোমিটার কিনবেন। কারন বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন টাইপের রিফ্র্যাক্টোমিটার পাওয়া যায় তবে কাজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন টাইম হয়ে থাকে। তাই আপনি রিফ্র্যাক্টোমিটার কেনার আগে সঠিক মডেল নির্বাচন করতে পারলে আপনি প্রতিটা পরিমাপ সঠিক ও নির্ভুল ফলাফল পাবেন।
- লবণাক্ততা পরীক্ষা
- মেডিক্যাল ল্যাব
- ফলের রসের ঘনত্ব
- মাটি বা সেচের পানি পরীক্ষা
- কোমল পানীয়ের গুণমান পরীক্ষা
- রক্তের নমুনায় মোট প্লাজমা প্রোটিন পরীক্ষা
- যে কোন পানির মিশ্রণ বা অন্যান্য তরল পদার্থের পরীক্ষা
রিফ্র্যাক্টোমিটার দাম কত?
বাংলাদেশের ই-কমার্স প্লাটফর্ম বিডিস্টল.কম থেকে অপটিক্যাল রিফ্র্যাক্টোমিটার ১,৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে ডিজিটাল রিফ্র্যাক্টোমিটার পাওয়া যাচ্ছে যে রিফ্র্যাক্টোমিটারগুলো ৯,৫০০ টাকা থেকে ৩,৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন
রিফ্র্যাক্টোমিটার কেনার আগে কি কি দেখে কিনবেনঃ
রিফ্র্যাক্টোমিটার কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানুন, যাতে আপনি সঠিক মডেলটি বেছে নিতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজনের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল পেতে পারেন। তবে মডেল এবং উন্নত ফিচারের উপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
- পরিমাপ রেঞ্জঃ এই রিফ্র্যাক্টোমিটার বিভিন্ন স্কেল এবং পরিমাপের রেঞ্জ-এর উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়। ব্রিক্স স্কেল সাধারণত শর্করা পরিমাণ পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয় এবং নির্দিষ্ট মাধ্যাকর্ষণ স্কেল হচ্ছে ঘনত্ব পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও পানির লবণাক্ততা পরিমাপ করা যায়। তাই আপনার স্কেল বা পরিমাপের প্রয়োজনতা নির্ভর করে সঠিক রিফ্র্যাক্টোমিটারটি কিনতে হবে।
- পরিমাপের সঠিকতাঃ একটা রিফ্র্যাক্টোমিটার আপনাকে কতটা নির্ভুলতা এবং দ্রুত পরিমাপ করতে পারে তা দেখতে হবে। কারন পরিমাপের সঠিকতা এবং প্রতিক্রিয়া সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আপনি নির্দিষ্ট গ্রেডের কাঁচামাল বা উপাদান পরীক্ষা করছেন তা দেখতে হবে।
- ডিজাইনঃ এই রিফ্র্যাক্টোমিটার আকারে ছোট, ওজনে হালকা ভাবে ডিজাইন করা, যাতে আপনি সহজে পকেটে রাখতে পারেবন এবং যে কোন স্থানে নিয়ে গিয়ে পরিমাপ করতে পারেন। এই রিফ্র্যাক্টোমিটারের কিছু ডিজিটাল মডেল রয়েছে যা সাধারণত স্পষ্ট ডিসপ্লে এবং টাচপ্যাড থাকে, তাই আপনাকে ব্যবহারের সময় অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।