শাওমি প্রজেক্টর কেনাকাটা
প্রজেক্টর কেনার কথা আসলে সর্বপ্রথম যে ব্যান্ডের প্রজেক্টরের কথা মাথায় আসে সেটি হচ্ছে শাওমি প্রজেক্টর। কারণ শাওমি প্রজেক্টর গুলোতে রেজুলেশন অনেক ভালো মানের পাওয়া যায়। স্পষ্ট ছবি এবং ভিডিও দেখা যায় শাওমির প্রজেক্টর গুলোতে। ভাল গ্রাহক সেবা প্রদান এবং প্রজেক্টরের গুণগত মান এবং কম দামের জন্য শাওমি ভাল।
কেন শাওমি প্রজেক্টর কিনবেন?
শাওমি প্রজেক্টরে রয়েছে বিভিন্ন রকমের আধুনিক বৈশিষ্ঠ যা অন্যান্য প্রজেক্টরের তুলনায় বেশ ভাল। শাওমি প্রজেক্টরের এসব বিশেষত্ব সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
ব্রাইটনেসঃ
শাওমি প্রজেক্টরে ব্রাইটনেস বা লুমেন্স খুবই উচ্চ মানের ফলে যেকোনো পর্দায় ছবি এবং ভিডিওর মান থাকে প্রাণবন্ত। শাওমি প্রজেক্টরে ব্রাইটনেস বেশি থাকে বলে প্রজেক্টরকে কম আলোতে পরিচালিত করলেও ভাল মানের পিকচার কোয়ারলিটি পাওয়া যায়।
কন্ট্রাস্টঃ
শাওমি প্রজেক্টরে কন্ট্রাস্টের মান সাধারণ কোনো মনিটরের চাইতে কম নয়। শাওমি প্রজেক্টর গুলোতে কন্ট্রাস্টের মান বেশি থাকার ফলে ছবি বা ভিডিও স্পষ্ট থাকে, কালার কোয়ালিটিও সুন্দর আসে।
রেজুলেশনঃ
শাওমি প্রজেক্টর গুলোতে অনেক আগে থেকেই উচ্চ মানের রেজুলেশনের সাথে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। খুব অল্প টাকার মধ্যে শাওমি প্রজেক্টরে ফুল এইচডি রেজুলেশন থেকে শুরু করে ৪কে রেজুলেশনেরও প্রজেক্টর পাওয়া যায় বাংলাদেশে।
ল্যাম্প লাইফঃ
ল্যাম্প লাইফ বলতে বোঝানো হয় একটি প্রজেক্টরের মেয়াদকাল। শাওমি প্রজেক্টর গুলোর ল্যাম্প লাইফ থাকে কমপক্ষে ৫০০০০ ঘন্টা। তাহলে বুঝা যাচ্ছে শাওমি প্রজেক্টর গুলোর ল্যাম্প লাইফ অন্যান্য প্রজেক্টরের সমপরিমাণ এবং কিছু মডেলের ক্ষেত্রে বেশি।
কানেক্টিভিটিঃ
শাওমি ল্যাপটপ গুলোতে প্রায় সকল ধরণের কানেক্টিভিটি উপস্থিত থাকে। এইচডিএমআই, ইউএসবি, ওয়াইফাই সকল কানেক্টিভিটি সমর্থন করে শাওমি প্রজেক্টর গুলোতে ফলে সহজেই ছবি বা ভিডিও দেখা যায় সহজেই।
ওয়ারেন্টিঃ
শাওমি প্রজেক্টরে অসাধারণ বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায়। শাওমির পক্ষ থেকে তার প্রজেক্টর গুলোর সাথে কমপক্ষে ১ বছরের ফ্রি সার্ভিস ওয়ারেন্টি থাকে। ফলে প্রজেক্টরে কোনো সমস্যা হলে গ্রাহকগণ ফ্রি সার্ভিস সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশে কত ধরণের শাওমি প্রজেক্টর পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে বিভিন্ন সিরিজের শাওমি প্রজেক্টর পাওয়া যায় তবে বেশিরভাগ শাওমি প্রজেক্টরই এখন এমআই সিরিজের। তবে মডেল ভেদে এগুলোর ফিচার এবং কোয়ালিটি ভিন্ন হতে পারে।
- এমআই সিরিজ
- ওয়ানবো সিরিজ
- ওয়েম্যাক্স সিরিজ
- ফেংমি সিরিজ
- মিজিয়া
শাওমি প্রজেক্টরগুলোতে কি কি ধরণের ইমেজ সাপোর্ট করে?
শাওমি প্রজেক্টর গুলোতে সব ধরণের ইমেজ সাপোর্ট করে। যেকোনো ছবি শাওমি প্রজেক্টর গুলোর সাহায্যে দেখা যায় পরিষ্কার ভাবে। JPG / JPEG / BMP / GIF / PNG / GIF এই ধরণের ইমেজ ফরম্যাট সাপোর্ট করবে শাওমি প্রজেক্টর গুলোতে।
শাওমি প্রজেক্টরে কি সব রকমের ভিডিও সাপোর্ট করে?
শাওমি প্রজেক্টরে বর্তমানে সকল ভিডিও সাপোর্ট করে। খুব কম দামের শাওমি প্রজেক্টরেও MPG / AV / MOV / MKV / MP4 ভিডিও ফরম্যাট সাপোর্ট করে ফলে যেকোনো ভিডিও দেখা যায় পরিষ্কার ভাবে।
শাওমি অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরগুলো কেমন?
শাওমির অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টর শাওমি স্মার্ট প্রজেক্টর নামেও পরিচিত। এই শাওমি প্রজেক্টর গুলো রিমোট কন্ট্রোল এবং অ্যান্ড্রয়েড ওএস অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়। একটি অ্যান্ড্রয়েড টেলিভিশনে যেসকল সুবিধা রয়েছে তেমনই ভাবে শাওমি অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরেও একই সুবিধা রয়েছে। ইউটিউব থেকে সরাসরি ভিডিও দেখা যাবে ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে। এছাড়াও নেটফ্লিক্স এর মতো অন্যান্য সফটওয়্যারও পরিচালন হবে এই শাওমি অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টর গুলোতে।
শাওমি প্রজেক্টরের দাম বাংলাদেশে কত?
শাওমি প্রজেক্টরের দাম বাংলাদেশে মাত্র ১১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলোতে সবরকমের ভিডিও, অডিও, ইমেজ সাপোর্ট করে। এইচডি রেজুলেশনের এই শাওমি প্রজেক্টরের লাইফ ল্যাম্প ৫০০০০ ঘন্টা পর্যন্ত। এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন শাওমি অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরও পাওয়া যায় সস্তা দামে। মূলত শাওমি প্রজেক্টরের দাম নির্ভর করে প্রজেকশন সাইজ, কাজের ধরণ এবং অন্যান্য বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে।