bdstall.com

ভিউসনিক প্রজেক্টর এর দাম

আইটেম ১-২ এর ২

ভিউসনিক প্রজেক্টর কেনাকাটা

ডিজিটালাইজেশনের ফলে আধুনিক জীবন যাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস কনফারেন্স বা মিটিং এবং বিভিন্ন ইভেন্টে মাল্টিমিডিয়া ডিভাইসের মধ্যে প্রজেক্টরের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রজেক্টরের মধ্যে ভিউসনিক প্রজেক্টর বেশ জনপ্রিয়। এই ব্র্যান্ডের প্রজেক্টর উচ্চ রেজোলিউশনে, অ্যাকুরেট কালারে আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। বর্তমানে, কমপ্যাক্ট সাইজের পোর্টেবল প্রজেক্টর থেকে শুরু করে উন্নত সংযোগ সুবিধা সম্পন্ন উচ্চ কনফিগারেশনের ভিউসনিক প্রজেক্টর বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।

ভিউসনিক প্রজেক্টরের বিশেষত্ব কি?

১। ভিউসনিক প্রজেক্টর আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল প্রদানের জন্য বেশ পরিচিত। এই ব্র্যান্ডের প্রজেক্টরে শার্প এবং প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল সরবরাহ করার জন্য উচ্চ-রেজোলিউশনের ডিসপ্লে, কালার এনহেন্সম্যান্ট এবং ইমেজ প্রসেসিং অ্যালগরিদমের মত উন্নত টেকনোলোজি যুক্ত রয়েছে। ফলে, প্রেজেন্টেশন, ক্লাস পরিচালনা এবং ভিডিও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে উন্নত ভিজ্যুয়াল পাওয়া যায়।

২। ভিউসনিক প্রজেক্টরে এইচডিএমআই, ইউএসবি, ভিজিএ, ওয়াইফাই কানেক্টিভিটির মত উন্নত সংযোগ সুবিধা রয়েছে। ফলে, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, স্মার্টফোন, গেমিং কনসোল এবং মিডিয়া প্লেয়ারের মতো বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে সহজেই সংযোগ করে ব্যবহার করা যায়।

৩। সামগ্রিকভাবে দেখার অভিজ্ঞতা বাড়াতে ভিউসনিক প্রজেক্টরে অন-স্ক্রিন মেনু, রিমোট কন্ট্রোল ফাংশন, সহজ সেটআপের জন্য কীস্টোন কারেকশন এবং অটোমেটিক পাওয়ার-সেভিং মোডসহ উন্নত ফিচার যুক্ত রয়েছে, ফলে সহজভাবে অপারেট করা যায়।

৪। ভিউসনিক প্রজেক্টরের ল্যাম্প লাইফ সর্বনিম্ন ৫০০০ ঘণ্টা থেকে ৩০,০০০ ঘণ্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য ভিউসনিক প্রজেক্টর হচ্ছে আদর্শ প্রজেক্টর।

৫। এই ব্র্যান্ডের প্রজেক্টর প্রায় ০.৩৭ - ৩.৭২ মিটার দূরত্বে ছবি, ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। তবে, ডিএলপি লেজার টেকনোলোজি যুক্ত ভিউসনিক প্রজেক্টরে কিছুটা বেশি দূরত্বে ভালো ভিজ্যুয়াল প্রদান করে।

৬। এছাড়াও, বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে ভিউসনিক ব্র্যান্ডের ল্যাম্প ফ্রি প্রজেক্টর পাওয়া যায়, যা অন্যান্য প্রজেক্টরের তুলনায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ এনার্জি সাশ্রয় করে থাকে।

৭। ভিউসনিক প্রজেক্টরে যথেষ্ট ব্রাইটনেস বা লুমেন্স থাকায় কম আলোতে পরিষ্কার এবং উচ্চ রেজোলিউশনে ছবি বা ভিডিও দেখা যায়। তাছাড়া, এই ব্র্যান্ডের প্রজেক্টরে সর্বনিম্ন ৩০০ লুমেন্স থেকে ৫০০০ লুমেন্স পর্যন্ত ব্রাইটনেস প্রদান করে। তবে, লুমেন্স ভেদে ভিউসনিক প্রজেক্টরের দাম কম বেশি হয়ে থাকে।

৮। তাছাড়া, ভিউসনিক প্রজেক্টরে ৩য় প্রজন্মের উন্নত টেকনোলোজি যুক্ত থাকায় শতকরা ২০ ভাগ ব্রাইটনেস বেশি পাওয়া যায়।

ভিউসনিক প্রজেক্টরের দাম কত?

ভিউসনিক প্রজেক্টরের দাম বাংলাদেশে ৪১,০০০ টাকা থেকে শুরু, যা ছোট পরিসরের অফিস এবং ক্লাসরুমে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, বাংলাদেশে ভিউসনিক প্রজেক্টরের দাম সাধারণত মডেল, প্রজেকশন মেথড, রেজোলিউশন, ইমেজ সাইজ, ল্যাম্প লাইফ এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। অফিস কনফারেন্স এবং বিভিন্ন ইভেন্টে ব্যবহার উপযোগী ভিউসনিক প্রজেক্টর ৬০,০০০ টাকা থেকে ১০০,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।