ইপসন প্রজেক্টর কেনাকাটা
ইপসন প্রজেক্টর বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত প্রজেক্টর গুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে ইপসোন প্রজেক্টর গুলো ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে। ইপসোন প্রজেক্টর গুলোর রেজুলেশন, লুমেন্স, কন্ট্রাস্ট, ল্যাম্প লাইফ, উন্নত মানের লেন্স, বৃহৎ ইমেজ সাইজ এবং অন্যান্য সুবিধার জন্য ইপসোন প্রজেক্টর গুলো বাংলাদেশে সকলের কাছে প্রিয়।
ইপসন প্রজেক্টর কেন কেনা উচিৎ?
বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের প্রজেক্টর রয়েছে তবে ইপসোন প্রজেক্টর সর্বসেরা একথা বললে মোটেও ভুল হবে না। কেননা ইপসোন প্রজেক্টরের বৈশিষ্ট্য গুলো অন্যান্য প্রজেক্টর থেকে ব্যতিক্রম এবং সুবিধা জনক। নিচে ইপসোন প্রজেক্টরের বিশেষত্ব গুলো আলোচনা করা হলোঃ
১। রেজুলেশনঃ ইপসন প্রজেক্টরের রেজুলেশন গুলো খুব উন্নত মানের হয়ে থাকে। ইপসনের কম দামের প্রজেক্টর গুলোতেও বর্তমানে ফুল এইচডি রেজুলেশন পাওয়া যায়। ফলে ইপসন প্রজেক্টর যে দামেরই হোক না কেন ফুল এইচডি রেজুলেশনে ছবি বা ভিডিও দেখা যায় পরিষ্কার ভাবে। ইপসন প্রজেক্টর ফুল এইচডি রেজুলেশন থেকে শুরু করে ৪কে রেজুলেশনেরও হয়ে থাকে।
২। লেন্সঃ ইপসন প্রজেক্টরের লেন্স গুলো বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয় কেননা একটি প্রজেক্টরের রেজুলেশন যত ভাল হোক না কেন যদি লেন্স ভাল না থাকে তাহলে ছবি বা ভিডিও পরিষ্কার ভাবে দেখা যায় না। ইপসন প্রজেক্টরে যুক্ত হয় ফোকাল লেন্থ লেন্স এবং অপটিক্যাল লেন্স যা যেকোনো ছবি বা ভিডিওকে অনেক দূর থেকে পর্দায় দেখাতে পারে এবং জুম বড় করেও দেখাতে পারে।
৩। লুমেন্সঃ ইপসন প্রজেক্টরের লুমেন্স সর্বনিন্ম ২৫০০ হয়ে থাকে যা অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। এগুলো ইপসন ইনডোর প্রজেক্টর বা বিজনেস প্রজেক্টর নামেও পরিচিত। শুধু তাই নয় বরং ইপসনের অনেক প্রজেক্টরের লুমেন্স ৫০০০ ও হয়ে থাকে যা আরও উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত ছবি বা ভিডিও প্রদান করতে পারে। সাধারণত বেশি লুমেন্স সম্পন্ন ইপসন প্রজেক্টর গুলো আউটডোরে ব্যবহার হয়ে থাকে।
৪। কানেক্টিভিটিঃ ইপসন প্রজেক্টরে ইউএসবি, এইচডিএমআই, ভিজিএ, ওয়াইফাই, অডিও জ্যাক সহ সব রকমের কানেক্টিভিটি সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে যেকোনো ডিভাইসে সহজেই সংযোগ করে ছবি বা ভিডিও দেখা যায়।
৫। ল্যাম্প লাইফঃ ইপসন প্রজেক্টরের ল্যাম্প লাইফ তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য প্রজেক্টরের মতো আবার অনেক ক্ষেত্রে তার চাইতেও বেশি থাকে। ফলে ইপসনের একটি প্রজেক্টর অনেক সময় জুড়ে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও ইপসন প্রজেক্টরে বিক্রয়োত্তর সেবা হিসেবে ভাল মানের পার্টস এবং সার্ভিস ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ইপসন প্রজেক্টরের দাম কত?
বাংলাদেশে ইপসন প্রেক্টরের দাম সাধারণত ৪২,৫০০ টাকা থেকে ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ইপসন প্রজেক্টরের দাম নির্ভর হয় মডেল, সাইজ, লুমেন্স, কন্ট্রাস্ট রেশিও, কানেক্টিভিটি, লেন্স, রেজুলেশন এবং অন্যান্য বিশেষত্বের উপর। তবে ইপসন প্রজেক্টরের ক্ষেত্রে বাজেট যেটাই থাকুক না কেন ইপসন প্রজেক্টর সেবা প্রদান করবে বাজারের অন্যান্য প্রজেক্টরের তুলনায় সবচেয়ে সেরা ভাবে।
বাংলাদেশে ইপসন ওয়াই-ফাই প্রজেক্টরের দাম কত?
বাংলাদেশে ইপসন ওয়াইফাই প্রজেক্টরের দাম শুরু হয় মাত্র ৫৩,৫০০ টাকা থেকে। ইপসনের এই প্রজেক্টরটি ওয়্যারলেস সুবিধা প্রদান করে তাই কোনো তারের সংযোগ ছাড়াই ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও দেখা যায় মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট টেলিভিশন ইত্যাদি ডিভাইসের সাহায্যে। এই ওয়াফাই সুবিধা যুক্ত করে ইপসন প্রজেক্টরকে বাংলাদেশে ব্যপক ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে ইপসন ওয়াইফাই প্রজেক্টর গুলো বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার হতে দেখা যায়।
ইপসন ৪কে প্রজেক্টর গুলো কেমন?
ইপসন ৪কে প্রজেক্টরে ৪কে রেজুলেশনে ছবি বা ভিডিও দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধাও পাওয়া যায়। এগুলো হলো অধিক ল্যাম্প লাইফ, লুমেন্স, ভাল মানের ইমেজ সাইজ, কন্ট্রাস্ট, আধুনিক ও উন্নত মানের লেন্স, এইচডিএমআই, ভিজিএ, ইউএসবি, ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি সুবিধা। ইপসনের ৪কে প্রজেক্টর গুলো দিয়ে অফিস, ভার্সিটি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রেজেন্টেশন বা অন্যান্য কাজ আধুনিক পদ্ধতিতে দেখা যায় খুব স্পষ্ট ভাবে। বাংলাদেশে ইপসন ৪কে প্রজেক্টরের দাম খুবই সস্তা।
ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরে একটি অ্যান্ড্রয়েড টেলিভিশনের মতো সকল সুবিধা থাকে। বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরে ওয়াইফাই সুবিধা থাকে।
- ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরের সাহায্যে ইউটিউব, ফেসবুক, মেসেঞ্জারে এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যায়।
- এগুলোতে স্টোরেজ সুবিধাও পাওয়া যায় ফলে কোনো ছবি বা ভিডিও সেভ করে রাখা যায়।
- ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরে অন্যান্য কানেক্টিভিটি সুবিধা গুলো থাকে।
- ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টর অন্য কোনো ডিভাইসের সাহায্য ছাড়া একাই পরিচালিত হতে পারে ফলে এতে মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন, টিভি কার্ড, ডিশ লাইনের কোনো দরকার হয় না।
- ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরের রিমোট খুবই আধুনিক কেননা এর রিমোটে কিবোর্ড ফিচার সহ বিভিন্ন ফাংশন আছে।
- বাংলাদেশে ইপসন অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টরের দাম তুলনামূলক কম।