প্রজেক্টর কেনাকাটা
বাংলাদেশে প্রজেক্টর কেনার আগে অনেক বিষয়ে লক্ষ্য রেখে প্রোজেক্টর কেনা উচিৎ তারমধ্যে প্রজেক্টরের ধরন, প্রযুক্তি, রেজোলিউশন, এবং লুমেন্স। তাছাড়া, বাংলাদেশে এখন সস্তার প্রজেক্টর পাওয়া যায় তাই বাজেট নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রজেক্টরের মানও দামের সীমার উপর নির্ভর করে।
আমার কোন ধরণের প্রজেক্টর কিনতে হবে?
- মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরঃ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করার জন্য ক্লাসরুম, অফিস এবং মীটিংয়ে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান সময়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরগুলো ডেটা প্রজেক্টর, ডিজিটাল প্রজেক্টর এবং ভিডিও প্রজেক্টর হিসাবেও পরিচিত।
- ওভারহেড প্রজেক্টরঃ ওভারহেড প্রোজেক্টর সাধারণত ক্লাসরুমে ব্যবহার করা হয়। ওভারহেড প্রোজেক্টর খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহার করার জন্য বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
- মিনি প্রজেক্টরঃ মিনি প্রজেক্টর জনপ্রিয়তা পেয়েছে কারণ দামে কম এবং ব্যবহার সহজ। এ ধরনের প্রজেক্টরগুলির মধ্যে ওয়্যারলেস স্ট্রিমিং ও টিভি দেখারমত সুবিধাও আছে।
- শর্ট থ্রো প্রজেক্টরঃ শর্ট থ্রো প্রজেক্টর সাধারণত ৩ থেকে ৪ ফুট দূরত্ব থেকে প্রজেক্ট করতে পারে। এগুলো অল্প স্থানে ব্যবহার করা যায়।
- থ্রিডি প্রজেক্টরঃ থ্রিডি প্রজেক্টর দিয়ে দ্বি-মাত্রিক বা ২ডি পৃষ্ঠের উপর ত্রি-মাত্রিক বা ৩ডি অবজেক্ট প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়। ৩ডি অবজেক্টগুলো মূলত গ্রাফিকাল নকশার উপাদান, ইঞ্জিনিয়ারিং অঙ্কন, খসড়া এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্সে প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়।
কোনটি ভাল - ডিএলপি, এলসিডি, এলইডি বা লেজার?
- ডিএলপি প্রজেক্টরঃ ডিএলপি প্রজেক্টর প্রযুক্তিতে চিত্র প্রদর্শনের জন্য আয়না রয়েছে। এটি কোন ছায়া ছাড়াই নির্ভুলভাবে মসৃণ ছবি প্রদর্শন করতে পারে। তাছাড়া ডিএলপির প্রজেক্টর অন্যান্য প্রোজেক্টর থেকে হালকা হয়।
- এলসিডি প্রজেক্টরঃ এলসিডি প্রজেক্টর প্রযুক্তির উজ্জ্বলতা ডিএলপির প্রোজেক্টরের চেয়ে বেশি এবং চমৎকার ছবি প্রদর্শন করতে পারে।
- এলইডি প্রজেক্টরঃ এলইডি প্রজেক্টরের উজ্জ্বলতা তুলনামূলক কম।
- লেজার প্রজেক্টরঃ লেজার প্রজেক্টর অন্যান্য প্রোজেক্টরের তুলনায় যথেষ্ট উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত রঙে ছবি প্রদর্শন করে। এই ধরণের প্রজেক্টর বিনোদনমূলক এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশে প্রজেক্টরের দাম কত?
বিডিতে প্রজেক্টরের দাম ৪,৪৯৯ টাকা থেকে শুরু, যার মধ্যে টেলিভিশন দেখার জন্য বিল্ট-ইন টিভি পোর্ট রয়েছে। তবে, প্রজেক্টরের দাম সাধারণত এর প্রযুক্তি, ব্র্যান্ড, ল্যাম্প লাইফ, এবং ওয়ারেন্টির সহ অন্যান্য ফিচারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
শর্ট থ্রো প্রজেক্টর কি এবং এর দাম কত?
শর্ট থ্রো প্রজেক্টর মূলত অল্প জায়গার মধ্যে বড় পরিসরে ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করতে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া, আলোর উত্স থেকে স্ক্রীন / ওয়াল পর্যন্ত শর্ট থ্রো প্রজেক্টর কম দূরত্ব নেওয়ায় সহজেই গুনমান সম্পন্ন ছবি, ভিডিও দেখা যায়। এই ধরণের প্রজেক্টর মিটিং রুম এবং ট্রেনিং কর্মসূচীতে ব্যবহারের জন্য আদর্শ প্রজেক্টর। তবে, শর্ট থ্রো প্রোজেক্টরের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে, শর্ট থ্রো প্রোজেক্টর বিডিতে ৯৫,০০০ টাকা থেকে ৪০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
ওভারহেড প্রজেক্টর কোথায় ব্যবহার করা হয় এবং দাম কেমন?
ওভারহেড প্রজেক্টর মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের পাশাপাশি কনফারেন্স রুমে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ধরণের প্রজেক্টর ভিজুয়্যাল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ শীট বা স্লাইড ব্যবহার করে থাকে। ফলে, স্বচ্ছ পর্দার মাধ্যমে যে-কোনাে লেখা, ম্যাপ, ,ছবি, অঙ্কন ইত্যাদি অনেক বড়াে আকারে দেখা যায়। তাছাড়া, ওভারহেড প্রজেক্টর কম খরচে ইন্টারেক্টিভ পরিবেশের সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই ধরণের প্রজেক্টর সহজ ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করার পাশাপাশি দামও যথেষ্ট কম হয়ে থাকে। ওভারহেড প্রজেক্টর সাধারণত ৪৮,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে বিডিতে পাওয়া যায়।
৪কে প্রজেক্টরের দাম কেমন?
৪কে প্রোজেক্টর মূলত ৪কে রেজোলিউশনের সমন্বয়য়ে তৈরি, যা স্বচ্ছ এবং সূক্ষ্ম বিবরণ সহ প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। পাশাপাশি এই ধরণের প্রজেক্টর ওয়াইড কালার গ্যামাট, এইচডিআর এবং আকর্ষণীয় কনট্রাস্ট রেশিও সরবারহ করে থাকে। ফলে, অন্ধকার এবং উজ্জ্বল আলো উভয় পরিবেশে গুনমান সম্পন্ন ভিজ্যুয়াল দেখা যায়। ফলে, ৪কে প্রজেক্টর দিয়ে টিভি শো দেখা বা গেমিং করার ক্ষেত্রে হোম থিয়েটারের ন্যায় অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এছাড়াও, এই ধরণের প্রজেক্টরের সাথে ব্লু-রে প্লেয়ার, গেমিং কনসোল এবং স্ট্রিমিং ডিভাইস সহজেই সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কানেক্টিভিটি অপশন সরবারহ করে থাকে। ফলে, ৪কে প্রজেক্টরের দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে, বিডিতে ৪কে প্রজেক্টর ১৫০,০০০ টাকা থেকে ৪০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
প্রজেক্টর কেনার আগে যেসব বিষয় যাচাই করতে হবে
- প্রজেকশন মেথডঃ প্রজেকশন মেথড মূলত ছবি, ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে প্রজেক্টর কিভাবে ভিজ্যুয়াল প্রদান করে তা বোঝায়। বর্তমানে, বিডিতে সাশ্রয়ী দামে ডিএলপি (ডিজিটাল লাইট প্রসেসিং), এলসিডি (লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে), এলইডি এবং লেজার এর মত প্রজেকশন মেথড যুক্ত প্রজেক্টর পাওয়া যায়। এই ধরণের প্রজেকশন মেথড গুলো নিজস্ব পদ্ধতিতে ছবির গুণমান, রঙের নির্ভুলতা সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাই প্রজেক্টর কেনার আগে বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী প্রজেকশন মেথড যাচাই করতে হবে।
- রেজোলিউশনঃ প্রজেক্টর সাধারণত ৭২০ পিক্সেল, ১০৮০ পিক্সেল এবং ৪কে সহ বিভিন্ন রেজোলিউশনে পাওয়া যায়। উচ্চ রেজোলিউশনের প্রজেক্টর দিয়ে যথেষ্ট তীক্ষ্ণ, পর্যাপ্ত ডিটেইলস সম্পন্ন ভিজ্যুয়াল দেখা যায়। হাই-রেজোলিউশনের প্রজেক্টর ব্যবহারের ক্ষেত্রে শক্তিশালী হার্ডওয়্যার প্রয়োজন তবে দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। তাই, প্রজেক্টর কেনার ক্ষেত্রে রেজোলিউশন যাচাই করতে হবে।
- ছবির আকারঃ প্রজেক্টর সাধারণত ৩০ ইঞ্চি থেকে ৩০০ ইঞ্চি পর্যন্ত ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করতে করে থাকে। তাই প্রজেক্টর কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রজেকশন এরিয়া বিবেচনা করার পাশাপাশি প্রজেক্টরের ইমেজ সাইজ যাচাই করতে হবে।
- পর্দার দূরত্বঃ প্রজেক্টর থেকে পর্দার দূরত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এটি প্রক্ষিপ্ত চিত্রের আকার এবং গুণমানকে প্রভাবিত করে। তাছাড়া, বিভিন্ন প্রজেক্টরের নিক্ষেপ অনুপাত ভিন্ন হয়ে থাকে, যা সর্বোত্তম পর্দা দূরত্ব নির্ধারণ করে। তাই আকর্ষণীয়ভাবে ছবি, ভিডিও দেখার জন্য প্রজেক্টর কেনার ক্ষেত্রে যথাযথ পর্দার দূরত্ব যাচাই করতে হবে।
- ব্রাইটনেসঃ প্রজেক্টরের ব্রাইটনেস মূলত লুমেনে পরিমাপ করা হয়। ব্যবহৃত রুমের আলোক পরিবেশের উপর নির্ভর করে প্রোজেক্টরের ব্রাইটনেস যাচাই করতে হবে। পর্যাপ্ত আলোময় রুমের জন্য ৩,০০০ লুমেন বা তার বেশি লুমেনের ব্রাইটনেস যুক্ত প্রজেক্টর ভালো। পাশাপাশি অন্ধকার ঘরের জন্য ২,০০০ লুমেন বা কম লুমেনের ব্রাইটনেস যুক্ত প্রজেক্টর উপযুক্ত।
- কনট্রাস্ট রেশিওঃ কনট্রাস্ট রেশিও মূলত ছবির উজ্জ্বল এবং অন্ধকার এরিয়ার মধ্যে পার্থক্য বোঝায়। এটি ছবির কোয়ালিটি এবং ক্ল্যায়ারিটি প্রভাবিত করে। আকর্ষণীয় দেখার অভিজ্ঞতার জন্য সাধারণত ১০,০০০ঃ১ বা তার বেশি কনট্রাস্ট রেশিও যুক্ত প্রজেক্টর বিবেচনা করা উত্তম।
- ল্যাম্পঃ প্রজেক্টরের ল্যাম্প লাইফ সাধারণত ২০০০ ঘণ্টা থেকে ২৫,০০০ ঘণ্টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। তাই, প্রজেক্টর কেনার ক্ষেত্রে প্রজেক্টরের ল্যাম্প লাইফ এবং ল্যাম্প রিপ্লেসমেন্টের খরচ যাচাই করতে হবে।
- ল্যান্সঃ প্রজেক্টরের ল্যান্স এর ধরণ এবং গুণমাণের উপর ছবি, ভিডিও ভিজ্যুয়ালের গুণমান, থ্রো ডিসটেন্স এবং জুম ক্যাপাবিলিটি ইত্যাদি বিষয় নির্ভর করে। ফিক্সড-লেন্স যুক্ত প্রজেক্টর সাধারণত দামে সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। অন্যদিকে, ইন্টারচেঞ্জেবল-লেন্স যুক্ত প্রজেক্টর যথেষ্ট মসৃণ ভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে দাম তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
- অডিওঃ প্রায় সকল প্রজেক্টরে বিল্ট-ইন স্পিকার থাকে, যা প্রেজেন্টেশন বা বাসা বাড়িতে বিনোদনের জন্য উপযুক্ত। তবে, প্রজেক্টরের সাথে আকর্ষণীয় অডিও অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য স্পিকার বা সাউন্ড সিস্টেমের মতো বাহ্যিক অডিও ডিভাইস সংযোগ করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
- কানেক্টরঃ আপনার ল্যপাটপ, ট্যাবলেট কিংবা মোবাইল সহ অন্যান্য এক্সটারনাল ডিভাইস সামঞ্জস্যভাবে প্রজেক্টরের সাথে সংযোগ করার জন্য এইচডিএমআই, ভিজিএ, ইউএসবি এবং অডিও জ্যাক সহ যাবতীয় ইনপুট, আউটপুট পোর্ট যাচাই করতে হবে।
- রিমোট কন্ট্রোলঃ ক্লাস লেকচার, প্রজেন্টেশন এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে প্রজেক্টর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রজেক্টরের সাথে রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে। তাই, প্রজেক্টর কেনার সময় পাওয়ার, ভলিউম এবং সোর্স সিলেকশন ফাংশন এর পাশাপাশি ইনুসিয়েটিভ কন্ট্রোল ফিচার যুক্ত রিমোট বিবেচনা করতে হবে।
প্রজেক্টর ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
প্রজেক্টর কেনার পর সঠিক ব্যবহারের জন্য আপনার নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলির প্রয়োজন হতে পারে।
- প্রজেক্টর স্ক্রীন
- প্রজেক্টর মাউন্ট
- প্রজেক্টর ল্যাম্প
প্রজেক্টর সম্পর্কিত প্রায়শ জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী
কোন রেজল্যুশন সবচেয়ে ভাল?
কোনও প্রজেক্টরের রেজোলিউশন বলতে বুজায় যে ছবিটি কত পরিষ্কার এবং তীক্ষ্ণ হবে। বর্তমান বাজারে তিন ধরণের রেজোলিউশন সাধারণ পাওয়া যায়। ১২৮০ x ৭২০ এবং ১২৮০ x ৭৬৮ ডিভিডি, ব্লু-রে ভিডিও দেখতে বা কম্পিউটারের স্ক্রিন প্রজেক্ট করার জন্য উপযুক্ত। তবে যদি আরও পরিষ্কার এবং তীক্ষ্ণ ছবির প্রয়োজন হয় তবে ১৯২০ x ১০৮০ রেজোলিউশন প্রজেক্টর আপনার জন্য উপযুক্ত।
এনসি লুমেন কি?
এএনএসআই লুমেন একটি প্রজেক্টরের উজ্জ্বলতা ক্ষমতা বোঝার একটি উপায়। কম লুমেনযুক্ত প্রজেক্টরগুলি অন্ধকার ঘরের জন্য উপযুক্ত এবং উচ্চ লুমেনযুক্ত প্রজেক্টর উজ্জ্বল ঘরের জন্য উপযুক্ত।
প্রজেক্টরের এসপ্যাক্ট রেশিও কি?
অ্যাসপেক্ট রেশিও হল চিত্রের আকার। ভিডিও প্রজেক্টরের জনপ্রিয় অনুপাতগুলি হল ৪: ৩ / এক্সজিএ এবং এসএক্সজিএ, ১৬:১০ / ডাব্লুএক্সজিএ এবং ডাব্লু এক্সজিএ এবং ১৬: ৯ / স্ট্যান্ডার্ড এইচডিটিভি ১০৮০পি।
আমি কোথায় প্রজেক্টর মাউন্ট করতে পারি?
পোর্টেবল প্রজেক্টর ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রজেক্টর মাউন্ট প্রয়োজন হয় না। তবে, সিলিং, ওয়াল, এবং টেবিলে বা শেল্ফ থেকে ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে উচ্চতা সামঞ্জস্য করতে প্রজেক্টর মাউন্ট ব্যবহার করা উত্তম।
আমার কি কোন প্রজেক্টর স্ক্রীন লাগবে?
বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসের দেয়াল যদি পরিষ্কার থাকে সেক্ষেত্রে প্রজেক্টর স্ক্রিনের প্রয়োজন নেই। তবে, অস্বচ্ছ দেয়াল কিংবা ছোট পরিসরের জায়গায় বড় সাইজের ইমেজ প্রদর্শনের জন্য প্রজেক্টর স্ক্রিন ব্যবহার করা উত্তম। কারণ, মসৃন এবং স্বচ্ছ পৃষ্ঠের প্রজেক্টর স্ক্রিন ছবির গুণমান এবং ব্রাইটনেস অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে থাকে।