ফটো প্রিন্টার Printer কেনাকাটা
ফটো প্রিন্টার বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন প্রিন্টার। এই প্রিন্টারগুলি অনেক বেশি সুবিধাজনক এবং কম খরচে ফটো প্রিন্টিং করতে পারে। বাংলাদেশে এখন সাশ্রয়ী মূল্যে ফটো প্রিন্টার কিনতে পাওয়া যায় তবে একটি ফটো প্রিন্টার সহজেই দীর্ঘ সময়ের জন্য সাপোর্ট দিতে পারে। এই ফটো প্রিন্টারগুলো বাংলাদেশের দোকানে এবং ষ্টুডিওতে বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনার কাজের জন্য প্রিন্টারটি উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনাকে বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনা করতে হবে-
ফটো প্রিন্টারের প্রকারভেদঃ
ফটো প্রিন্টিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হল ইঙ্কজেট ফটো প্রিন্টার এবং ডাই-সাবলিমেশন প্রিন্টার।
ইঙ্কজেট ফটো প্রিন্টারঃ ইঙ্কজেট ফটো প্রিন্টারগুলো মূলত দোকানে ছবি প্রিন্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ফটো প্রিন্টারগুলো ইনস্ট্যান্ট ছবি প্রিন্ট করতে পারে। আর খরচ খুব কম হওয়ায় সবার কাছে জনপ্রিয়।
ডাই-সাবলাইমেশন প্রিন্টারঃ ডাই-সাবলাইমেশন প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করতে একটু সময় লাগে তবে এই ধরনের ছবির কোয়ালিটি সবচেয়ে ভাল। এগুলো বাংলাদেশের স্টুডিওতে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে ছবির স্থায়িত্ত হয় অনেকদিন। এত ধরনের প্রিন্টারগুলোতে বিশেষ ধরনের পেপার ব্যবহার করতে হয়।
রঙের নির্ভুলতা:
ছবির প্রিন্টিংয়ের জন্য রঙের নির্ভুলতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রিন্টারকে অবশ্যই ছবির রঙ সঠিকভাবে ছাপতে হবে কারণ রঙের নির্ভুলতা ছাড়া মুদ্রণটি খুব বিবর্ণ এবং নিস্তেজ দেখাবে। তাই প্রিন্টার কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে এর প্রিন্টিংয়ের রং কতটা ভালো।
কালির প্রকারভেদ এবং মুদ্রণের দীর্ঘায়ুঃ
ডাই রং এবং পিগমেন্ট রং ফটো প্রিন্টিংয়ের জন্য খুব বিখ্যাত। পিগমেন্টের রঙ অনেক দিন স্থায়ী হয় এবং এই রঙটি কিছুটা ব্যয়বহুল। অন্যদিকে, ডাই রঙের কালি রঙ ছাপার জন্য খুবই উপযোগী এবং সাশ্রয়ী। ইঙ্কজেট ফটো প্রিন্টারগুলোয় সাধারণত পিগমেন্ট কালি বা ইঙ্কজেট কালি ব্যবহৃত হয় তবে কিছু মডেলে ডাই ইঙ্ক ব্যবহৃত হয়। যদি ব্যবসা বা স্টুডিওর জন্য কিনেন তাহলে কালির খরচের কথা বিবেচনা করুন।
কাগজের আকারঃ
সাধারণত, একটি ১৩-ইঞ্চি কাগজ সব ধরনের ফটো মুদ্রণের জন্য যথেষ্ট। কেউ যদি ব্যবসা করতে চায় তবে বড় প্রিন্টিং এর জন্য ১৭-ইঞ্চি বা ২৪-ইঞ্চি কাগজ প্রিন্ট করতে পারে এমন ফটো প্রিন্ট বেছে নিন।
বাজেটঃ
একটি প্রিন্টার কেনার সময় খরচ বিবেচনা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি। একটি প্রিন্ট তৈরির খরচ একটি প্রিন্টার কেনার আগে গণনা করতে হবে। কারণ ভুল ফিড, অতিরিক্ত কালি, এবং ব্যবহারকারীর ত্রুটি যেমন ভুল ড্রাইভার সেটিংস, দুর্বল রঙ নিয়ন্ত্রণ, এবং অসন্তোষজনক কাজের অবস্থা (ধুলো, শক্তি বৃদ্ধি, এবং আরও) এর মাধ্যমে কালি এবং কাগজ নষ্ট করার সম্ভাবনা বিবেচনা করতে হবে। ডাই কালির দাম কম হলেও পিগমেন্ট কালির দাম বেশি, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে মোট খরচের ভিত্তিতে প্রিন্টারের মডেল নির্বাচন করা হবে। বাংলাদেশে একটি ফটো প্রিন্টার দাম কমপক্ষে ১১,০০০ টাকার কিছু বেশি আর এগুলো ছোট দোকানের জন্য যথেষ্ট। বাসা বা অফিসেও যাদের ভাল মানের কালার প্রিন্ট করতে চান তারাও এটি কিনতে পারেন। আর ডাই-সাবলাইমেশন প্রিন্টারের দাম বিডিতে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা। এগুলো ষ্টুডিও বা বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক ভাল আর কালির খরচও কম। বাংলাদেশে এখন সব ধরনের ফটো প্রিন্টার পাওয়া যায় তাই আপনার বাজেট বিবেচনা করে বিডি স্টলের ফটো প্রিন্টার সেকশনে দাম তুলনা করে সেরাটি বেছে নিন।