ইপসন প্রিন্টার কেনাকাটা
ইপসন ব্র্যান্ডের প্রিন্টারগুলো বর্তমান বাংলাদেশে জনপ্রিয় প্রিন্টারের ভিতর অন্যতম। এই ব্রান্ডের আরেকটি সুবিধা হল এর অনেকগুলো সিরিজ বা মডেল বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন দামে তাই বাজেট অনুযায়ী কেনা যায় সহজেই।
ইপসন প্রিন্টারে কি কি সুবিধা আছে?
ইপসন প্রিন্টারে বাজারে পাওয়া যায় এমন অন্যান্য প্রিন্টার থেকে বিশেষ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায় আবার অনেক সুবিধা আছে যা ইপসন অনেক আগে থেকেই তার প্রিন্টার গুলোতে এসব বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে আসছে। ইপসন প্রিন্টারের উল্লেখযোগ্য সুবিধা গুলো হলোঃ
১। ইপসন প্রিন্টারে কালার প্রিন্টিং করা যায় খুব উচ্চ মানের রেজুলেশনে।
২। ইপসন প্রিন্টারে কালির খরচ তুলনামূলক অনেক কম ফলে কালি রিফিলে টাকা সাশ্রয় হবে অনেক বেশি।
৩। ইপসন মাল্টিফাংশন প্রিন্টারে কপি, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং সবকিছু করা যায়।
৪। ইপসন প্রিন্টারের কিছু মডেলে ওয়াইফাই প্রযুক্তি আছে অনেক আগে থেকেই। এটির সাহায্যে কোনো তার ছাড়াই মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার এ জাতীয় ডিভাইসগুলো থেকে সরাসরি তার ছাড়া প্রিন্ট করা যাবে যেকোনো দলিলপত্র।
৫। দ্রুত গতিতে প্রিন্ট আউট করার ক্ষমতা ইপসন প্রিন্টারেরই সবচেয়ে বেশি।
৬। অফিশিয়াল বা ব্যবসায়িক কাজের জন্য ইপসন প্রিন্টার একটি আদর্শ মানের প্রিন্টার।
৭। ইপসনের অনেক বর্ডারলেস প্রিন্টার আছে। এগুলোতে বর্ডার থাকে না ফলে পুরো পৃষ্ঠা জুড়েই ছবি বা লেখা থাকে।
৮। গ্রাহকের চাহিদার আগেই ইপসন নতুন নতুন সিরিজে যুক্ত করে বিভিন্ন আধুনিক বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশে ইপসন প্রিন্টারের দাম কত?
বাংলাদেশে ইপসন প্রিন্টারের দাম শুরু হয় মাত্র ১৬,০০০ টাকা থেকে। এই প্রিন্টারটি কালার ইঙ্কজেট প্রযুক্তিতে প্রিন্টিং করতে পারে। ৫৭৬০ x ১৪৪০ ডিপিআই রেজুলেশনে সাদা কালো এবং কালার প্রিন্ট করতে পারে এই প্রিন্টারটি। কালার প্রযুক্তিতে এই প্রিন্টারটি ১৫ পিপিএম এবং সাদা কালোতে ২৭ পিপিএম গতিতে প্রিন্ট করতে পারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইপসনের এই প্রিন্টারটি। এছাড়াও বাংলাদেশের বাজারে আরও বিভিন্ন রকমের ইপসন প্রিন্টার পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ইপসন প্রিন্টারের দাম নির্ভর করে মডেল এবং সিরিজের উপর ভিত্তি করে।
বাংলাদেশে কি প্রযুক্তির ইপসন প্রিন্টার পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে সাধারনত দুটি প্রযুক্তির ইপসন প্রিন্টার পাওয়া যায় এগুলো হল:
- ইঙ্কজেট ইপসন প্রিন্টার
- লেসার ইপসন প্রিন্টার
বাংলাদেশে কি ধরনের ইপসন প্রিন্টার পাওযা যায়?
কাজের উপর ভিত্তি করে ইপসন প্রিন্টার কেনা উচিত তাতে টাকা যেমন সাশ্রয় হবে আর কাজের মানও অনেক উন্নত হবে।
- সিঙ্গেল ফাংশান লেসার ইপসন প্রিন্টার
- মাল্টিফাংশ বা অল-ইন-ওয়ান লেসার ইপসন প্রিন্টার
- ইঙ্কজেট কালার ইপসন প্রিন্টার
- ইঙ্কজেট মাল্টিফাংশ বা অল-ইন-ওয়ান ইপসন প্রিন্টার
- ইঙ্কজেট ফটো ইপসন প্রিন্টার
ইপসন প্রিন্টার কি ব্যবসায়িক বা অফিশিয়াল কাজে ব্যবহার করা যাবে?
ইপসন প্রিন্টারের কিছু মডেল তৈরি হয়েছে অনবরত চলার জন্য। অফিশিয়াল বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত অনেক কাগজ প্রিন্ট করতে হয়। ফলে ব্যবসায়িক কাজ অথবা অফিশিয়াল কাজে ইপসন ভারী প্রিন্টার ব্যবহার করা উত্তম কারন এগুলো অনেক টেকসই হবে আর বাংলাদেশে ইপসনেই এই প্রিন্টারগুলোর দাম অনান্য ব্রান্ডের তুলনায় কম। মাল্টিফাংশ ইঙ্কজেট বা লেসার ইপসন প্রিন্টার ব্যবহার এই ধরনের কাজের জন্য সেরা হবে।
অল ইন ওয়ান সিরিজের ইপসন প্রিন্টার গুলো দিয়ে কি কি করা যায়?
ইপসনের অল ইন ওয়ান সিরিজের প্রিন্টার গুলো দিয়ে কপি, স্ক্যান, প্রিন্ট এ সব কাজই করা যায় খুব সহজেই। উচ্চ রেজুলেশন ক্ষমতা নিয়ে ইপসন অল ইন ওয়ান প্রিন্টার এই কাজগুলো করতে পারে খুব কম সময়ে। দ্রুত এ কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারার কারণে ইপসন প্রিন্টার বাংলাদেশে বহুল জনপ্রিয় একটি প্রিন্টার ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে এগুলো ইপসন মাল্টিফাংশ প্রিন্টার নামেও পরিচিত।
ইপসনের প্রিন্টারগুলো কি ফটো প্রিন্ট করতে সক্ষম?
ইপসনের ফটো প্রিন্টারগুলো খুব উচ্চ মানের রেজুলেশনে ফটো প্রিন্ট করে থাকে এবং অনেক গুলো মডেল বর্ডারলেস ফটো প্রিন্ট করতে পারে ফলে পুরো পৃষ্ঠা জুড়েই ফটো থাকে। এটি দেখতেও বেশ প্রাণবন্ত উজ্জ্বল লাগে। বাংলাদেশে ইপসন ফটো প্রিন্টারের ১৮,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
ইপসন প্রিন্টারে কার্টিজ খরচ কেমন?
ইপসন প্রিন্টারে কার্টিজ একদম সহজলভ্য। এটির একটি সাদা কালো কার্টিজ দিয়ে প্রায় ৪৫০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রিন্ট করা যাবে এবং কালার কার্টিজের ক্ষেত্রে প্রায় ৭৫০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রিন্ট করা যাবে। তাই বলা যায়, ইপসন প্রিন্টারগুলো অন্যান্য প্রিন্টারের তুলনায় খুব কম খরচে পরিচালিত হয় এবং অধিক সেবা প্রদান করে থাকে।
ইপসন প্রিন্টারের জনপ্রিয় সিরিজগুলো কি কি?
- ওয়ার্কফোর্স সিরিজ
- ইকোট্যাংক সিরিজ
- এক্সপি সিরিজ
- আর্টিসান সিরিজ
- স্টাইলাস সিরিজ
- অ্যাকুলেজার সিরিজ
ইপসনের ওয়্যারলেস প্রিন্টারের দাম কেমন?
বাংলাদেশে ইপসনের ওয়্যারলেস প্রিন্টারের দাম ২০,০০০ টাকা বা তার কিছু বেশি তাকে পাওয়া যায় যেগুলো বিভিন্ন ডিভাইস থেকে তার ছাড়া প্রিন্ট করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে যেই ডিভাইস থেকে প্রিন্ট করতে হবে সেখানে ইপসনের এপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে।