পস প্রিন্টার কেনাকাটা
মিনি প্রিন্টার কি?
মিনি প্রিন্টার যা মূলত ছোট কাগজের মধ্যে নোট আকৃতির একটি চিরকুট প্রিন্ট করে যেটি আপনি আপনার ব্যবস্যায় কিংবা অন্য যে কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন। একে রসিদ বা রিসিট প্রিন্টারও বলা হয়। বাংলাদেশে এটিকে অনেকে পস প্রিন্টার, মোবাইল প্রিন্টার, পকেট প্রিন্টার বলা হয় তবে ফিচার এবং দামের দিকে একই।
বাংলাদেশে মিনি বা পস প্রিন্টারের দাম কত?
বাংলাদেশে মিনি প্রিন্টারের দাম শুরু হয় মাত্র ৩,৮০০ টাকা থেকে। এটি একটি ব্লুটুথ প্রযুক্তির পস প্রিন্টার। বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের পস প্রিন্টার পাওয়া যায় যা দামে অনেক সস্তা আকারে ছোট। মূলত মিনি প্রিন্টার গুলোর দাম নির্ভর করে প্রিন্টিং স্পীড, সাইজ, পেপার সাইজ, ব্যাটারির উপর নির্ভর করে।
কীভাবে পস প্রিন্টার সংযুক্ত করবেন?
পস প্রিন্টারগুলির বৃহত্তম সুবিধা হল এটি ব্যবহারের জন্য আপনাকে কোনও ডিভাইস কিনতে হবে না। কারণ এটি ব্লুটুথ এবং ইউএসবি দ্বারা প্রায় সমস্ত কম্পিউটিং ডিভাইস সাপোর্ট করে যাতে আপনি এই ডিভাইস দিয়ে পরিচালনা করতে পারেন।
মিনি প্রিন্টার কি বহনযোগ্য?
এই প্রিন্টারগুলির অন্যান্য কিছু সুবিধা হল এগুলি ওজনে বেশ হালকা। এগুলি সাধারণত পকেটের আকার হয় তাই এগুলি যে কোনও জায়গায় খুব সহজেই বহন করা যায়।
আপনি কীভাবে পিওএস প্রিন্টারের কাগজটি কাটবেন?
কিছু মিনি বা পিওএস প্রিন্টারে অটো কাটার ইনস্টল করা আছে এবং এই কাটারটি প্রিন্ট শেষ হলে কাগজ রোল থেকে কেটে ফেলে।
পস প্রিন্টারের সুবিধা কি?
বিভিন্ন রকমের সুবিধা দিয়ে এই প্রিন্টার গঠিত। পস প্রিন্টার বিভিন্ন রকমের সুবিধা প্রদান করে থাকে। এগুলো হলোঃ
১। বহুমুখি বা ডুপ্লেক্স সিস্টেম সুবিধা বর্তমানের অনেক পস প্রিন্টারের মধ্যে পাওয়া যায়। ফলে একসাথে দুই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করা যায় সহজেই।
২। খুব দ্রুত গতিতে প্রিন্ট আউট করতে পারে পস পিন্টার গুলো। তাই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রশিদ বের করা যায়।
৩। মিনি প্রিন্টারে কালির খরচ লাগে না। কেননা এটিতে ব্যবহার থার্মাল পেপার গুলো তাপের মাধ্যমে প্রিন্ট করে থাকে।
৪। অন্যান্য প্রিন্টারের মতো কার্টিজ, প্রিন্টার হেড পরিবর্তন সহ বিভিন্ন বাড়তি কোনো রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মিনি প্রিন্টারে লাগে না।
৫। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্লুটুথ প্রযুক্তির মিনি প্রিন্টার পাওয়া যায়। এই ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো তার ছাড়াই পস সিস্টেমের সাথে মিনি প্রিন্টারের সংযোগ করে প্রিন্ট করা যায় খুব সহজেই।