ল্যাপটপ টেবিল কেনাকাটা
ল্যাপটপ টেবিল বা ল্যাপটপ স্ট্যান্ড বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কারণ ল্যাপটপ টেবিল দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক উপায় প্রদান করে থাকে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ফোল্ডেবল ল্যাপটপ টেবিল বিছানায় শুয়ে বসে আরামদায়ক ব্যবহারে সুবিধাসহ বিভিন্ন ডিজাইনে পাওয়া যায়। তাছাড়া এই ধরণের টেবিল মূলত ডিজাইন করা হয়েছে ল্যাপটপের জন্য স্থিতিশীল অবস্থান প্রদান করার সুবিধার্থে। যাতে ব্যবহারকারীরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ, পড়াশোনা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় অস্বস্তিতে না পড়েন। সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্তমান সময়ে বিডিতে ল্যাপটপ টেবিলের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডিতে কি কি ধরনের ল্যাপটপ টেবিল পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ল্যাপটপ টেবিল পাওয়া যায় যা ব্যবহারকারী চাহিদা ও পছন্দ বিবেচনায় ডিজাইন করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ল্যাপটপ টেবিল হচ্ছেঃ
ফোল্ডেবল ল্যাপটপ টেবিলঃ হালকা ওজনের এবং সহজে বহনযোগ্য ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে ফোল্ডেবল ল্যাপটপ টেবিল। যা স্থানান্তর করার পাশাপাশি ব্যবহার না করার সময় এই ধরনের টেবিল সহজেই ভাঁজ করে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও টেবিলের উচ্চতা এবং বিভিন্ন কোণে কাস্টমাইজ করে তৈরি করা হয়েছে ফোল্ডেবল ল্যাপটপ টেবিল যা ব্যবহারকারীর পায়ের সাথে সহজেই সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
ল্যাপটপ স্ট্যান্ডঃ এই ধরনের ল্যাপটপ স্ট্যান্ড মূলত ল্যাপটপ যেকোনো ডেস্ক বা টেবিলে আরামদায়কভাবে এবং বিভিন্ন উচ্চতায় ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পোর্টেবল ল্যাপটপ স্ট্যান্ড হালকা ওজনের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় যা সহজেই ল্যাপটপ ব্যাগ বা যেকোনো ধরণের ব্যাকপ্যাকে সংরক্ষণ করা যায়।
বেডসাইড ল্যাপটপ টেবিলঃ বিছানায় আরামদায়কভাবে ল্যাপটপ ব্যবহারের জন্য মূলত বেডসাইড ল্যাপটপ টেবিল ডিজাইন করা হয়েছে। যা বিছানায় বিভিন্ন উচ্চতায় এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে পা রেখে ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এই ধরনের ল্যাপটপ টেবিল ব্যবহারে অতিরিক্ত স্থিতিশীলতা পাওয়ার জন্য নন স্লিপ মোড এবং অভ্যন্তরীণ কুলিং সিস্টেম রয়েছে।
ল্যাপ ডেস্ক ল্যাপটপ টেবিলঃ ল্যাপ ডেস্ক টেবিল মূলত ল্যাপটপ কোলে নিয়ে ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যা ব্যবহারকারীর ল্যাপটপের জন্য স্থিতিশীল এবং আরামদায়ক প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। তাছাড়া এই ধরনের ল্যাপটপ টেবিল বাড়তি আরামের জন্য কুশনযুক্ত বটম রয়েছে পাশাপাশি ব্যবহার না করলে সহজেই সংরক্ষণ করা যায়।
স্ট্যান্ডিং ল্যাপটপ টেবিলঃ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কাজ করার সুবিধার্থে এরগোনোমিক ডিজাইনে স্ট্যান্ডিং ল্যাপটপ ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। এই ধরণের ল্যাপটপ টেবিলে সামঞ্জস্যযোগ্য উচ্চতা সেটিংস এবং অভ্যন্তরীণ ক্যাবল ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে।
উপরোক্ত টেবিল সমূহের ধারণা নিয়ে বিডিতে ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দ অনুযায়ী ল্যাপটপ টেবিল সংগ্রহ করতে পারবে।
ল্যাপটপ টেবিল ব্যবহারের সুবিধা কি কি?
ল্যাপটপ টেবিল ব্যবহার মূলত ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য, উত্পাদনশীলতা এবং সামগ্রিক কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। ফলে বিডিতে নিয়মিত ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের মাঝে ল্যাপটপ টেবিল ব্যবহারের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ল্যাপটপ টেবিল ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ হচ্ছেঃ
- ল্যাপটপ টেবিল মূলত কাজের ক্ষেত্রকে আরামদায়ক এবং সংগঠিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, যা কাজের প্রতি ফোকাস বাড়িয়ে দিবে এবং উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
- ঘাড়, পিঠ এবং হাতের উপর চাপ কমিয়ে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অবস্থান থেকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করবে। ফলে ল্যাপটপ টেবিলে দীর্ঘমেয়াদী কাজ করার ফলে স্বাস্থ্য ঝুকির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
- বিডিতে অনেক ল্যাপটপ টেবিলে কুলিং সিস্টেম যুক্ত রয়েছে যা ল্যাপটপ ব্যবহারে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফলে এই ধরণের টেবিলে ল্যাপটপ ব্যবহারে উন্নত কর্মক্ষমতা পাওয়া যাবে এবং ল্যাপটপের জীবনকাল দীর্ঘস্থায়ী হবে।
- এছাড়াও বাংলাদেশে ফোল্ডেবল ল্যাপটপ টেবিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যা সহজে ভাজ করে সংরক্ষণ করা যায়। এই ধরণের ল্যাপটপ টেবিল ওজনে অনেক হালকা হয়ে থাকে, ফলে সহজেই স্থানান্তর করার পাশাপাশি ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবহার করা যাবে।
- ডেস্কে, বিছানায় বা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কাজ করার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের ল্যাপটপ টেবিলের পাশাপাশি ল্যাপটপ স্ট্যান্ড ও পাওয়া যায়। ফলে, বিডিতে ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজের প্রয়োজন এবং পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ল্যাপটপ টেবিল বা স্ট্যান্ড বাছাই করে নিতে পারবে।
ল্যাপটপ টেবিলের দাম কত?
সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে যেসকল ল্যাপটপ টেবিল পাওয়া যায় সেগুলোর দাম এর সাইজ, বহনযোগ্যতা, ডিজাইন, এবং গুণমান এর উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে ল্যাপটপ টেবিলের দাম মাত্র ৪০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা সাধারণত একটি ভাঁজযোগ্য ল্যাপটপ টেবিল হয়ে থাকে। এবং, বিছানায় কিংবা ফ্লোরে বসে এই ল্যাপটপ টেবিলের সাহায্যে স্বাচ্ছন্দে যেকেও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবে। অন্যদিকে, বিডিতে ল্যাপটপ স্ট্যান্ডের দাম এর গুণমান ও ডিজাইন ভিত্তিতে ২০০ টাকা থেকে শুরু হয়।
ল্যাপটপ টেবিল কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
বাংলাদেশে ল্যাপটপ টেবিল কেনার আগে ব্যবহারকারীর চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত একটি টেবিল বেছে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। তাই ল্যাপটপ টেবিল কেনার আগে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হচ্ছেঃ
১। টেবিল সাইজঃ ল্যাপটপের আকার এবং কর্মক্ষেত্রের আকার বিবেচনা করে ল্যাপটপ টেবিল কেনার পরিকল্পনা করা উচিত। পাশাপাশি ব্যবহৃত ল্যাপটপ যেন আরামদায়কভাবে রেখে কাজ করা যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
২। সামঞ্জস্যতাঃ পছন্দের অবস্থান থেকে যেকোনো উচ্চতা এবং কোণে কাস্টমাইজ করে ব্যবহারকারীর সাথে সামঞ্জস্য ল্যাপটপ টেবিল বেছে নিতে হবে। ফলে ব্যবহারকারীর ঘাড়, পিঠ এবং হাতে অনেকাংশে চাপ অনেক কম পড়বে।
৩। স্থিতিশীলতাঃ বিডিতে ল্যাপটপ টেবিল কেনার আগে ল্যাপটপের ওজন এবং তার সাথে আনুষাঙ্গিক যেমন মাউস বা বহিরাগত কীবোর্ড রেখে ব্যবহার করার জন্য যথেষ্ট মজবুত এবং স্থিতিশীল কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
৪। পোর্টেবিলিটিঃ বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকলে বাংলাদেশের বাজার থেকে এমন একটি টেবিল বাছাই করতে হবে যা হালকা ওজনের এবং সহজেই বহনযোগ্য। পাশাপাশি ব্যবহারের পর যেন ল্যাপটপ টেবিল সহজেই ভাঁজ করে সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
৫। কুলিং সিস্টেমঃ ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখতে এবং অতিরিক্ত গরম হওয়া রোধ করতে বিডিতে প্রাপ্ত ল্যাপটপ টেবিলের অভ্যন্তরে কুলিং ফ্যান সিস্টেম বা বায়ুচলাচলের জন্য ছিদ্র রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
৬। অন্যান্য সুবিধাদিঃ চাহিদা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ কম্পার্টমেন্ট, কাপ হোল্ডার বা ফোন হোল্ডার রয়েছে কিনা তা বিডিতে ল্যাপটপ টেবিল কেনার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
৭। দাম বিবেচনাঃ পরিশেষে বাজেট অনুযায়ী বাংলাদেশে ল্যাপটপ টেবিলের দাম বিবেচনা করা উচিত। যা সাশ্রয়ী মূল্যে চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি গুণগত মানের দিক থেকে যেন উন্নত হয়।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত এবং ল্যাপটপ ব্যবহারে আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক ল্যাপটপ টেবিল পেতে সহায়ক হবে।