পেনড্রাইভ কেনাকাটা
বর্তমান যুগে পেনড্রাইভ একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। পেনড্রাইভ একটি সিকিউর এবং হালকা বস্তু হওয়ায় তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে পেনড্রাইভ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে মোবাইলেও এটি ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তথ্য আদান প্রদানের পাশাপাশি পেনড্রাইভকে স্টোরেজ ডিভাইজ হিসেবে গণ্য করা যায়। পেনড্রাইভ গুলোর স্টোরেজ গিগাবাইট আকারে থাকে। বাংলাদেশে খুব সস্তা দামে ৪ জিবি থেকে শুরু করে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত পেনড্রাইভ পাওয়া যায়।
বিডিতে পেনড্রাইভের দাম কত?
বিডিতে পেন্ড্রাইভের দাম শুরু হয় মাত্র ২১০ টাকা থেকে। এটিতে ৪ জিবি স্টোরেজ আছে। এটির সাহায্যে জরুরী মূহুর্তে ৪ জিবি আকারের ফাইল, ছবি বা ভিডিও খুব সহজেই সংগ্রহ করা যাবে। পেনড্রাইভের দাম মূলত এর স্টোরেজ এবং বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত করা হয়।
কীভাবে সঠিক পেনড্রাইভ খুঁজে পাওয়া যাবে?
সঠিক পেনড্রাইভ পেতে হলে কয়েকটি দিক নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে হবে। সেগুলো হলোঃ
১। সঠিক পেনড্রাইভ কেনার আগে কি কি ফাইল সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহার করা হবে সেটি আগে নির্ধারণ করে নিতে হবে। বড় ফাইলের জন্য অধিক স্টোরেজ এবং ছোট ফাইলের কম স্টোরেজের পেনড্রাইভ কেনা যেতে পারে। তবে বাজেট বেশি থাকলে বড় পেন ড্রাইভ কেনা উত্তম কারন এটি দিয়ে সব ধরনের ফাইল কপি করা যাবে। বাংলাদেশে বড় ধারণ ক্ষমতার পেন ড্রাইভের দাম এখন কম।
২। পেনড্রাইভ কেনার সময় এর বিক্রয়োত্তর সেবা দেখে কিনুন।
৩। আপনার ডিভাইস কম্প্যাটিবল পেনড্রাইভ কিনুন এবং ইউএসবি ভার্সন মিলিয়ে নিন।
৪। পেন ড্রাইভ বিভিন্ন ডিজাইনের হয়ে থাকে আপনার পছন্দ মত ডিজাইন বেছে নিন। কিছু পেন ড্রাইভ এর ক্যাপ আলাদা থাকে আবার কিছু পেন ড্রাইবের ক্যাপ সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। আলাদা থাকলে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি তবে এটি খুব গুরুত্তপুর্ন নয়।
৫। পেন ড্রাইভের গতি দেখে কিনুন কারন বড় ফাইল আদান প্রদানের ক্ষেত্রে আপনার সময় সাশ্রয় করবে।
ইউএসবি ২.০ ফ্লাশ ড্রাইভ কি এখনকার জন্য চলে?
পেনড্রাইভ প্রথম প্রকাশ হয়েছিলো ইউএসবি ২.০ ফ্লাশ ড্রাইভ দিয়ে। এটি দিয়ে সবরকমের ফাইল ট্রান্সফার করা সম্ভব। তবে আধুনিক পেনড্রাইভ এর চেয়ে এই পেনড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফারের গতি কিছুটা কম হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশে এগুলো দামে অনেক সস্তা। তাই এখনও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত।
ইউএসবি ৩.০ ফ্লাশ ড্রাইভ কি?
ইউএসবি ৩.০ ফ্লাশ পেনড্রাইভ কোনো ফাইলকে দ্রুত রাইট এবং রিড করতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে এই পেনড্রাইভ গুলো বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে কারন বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার ইউএসবি ৩.০ সমর্থন করে।
ইউএসবি ৩.১ এবং ৩.২ ইউএসবি পেনড্রাইভ এর মধ্যে পার্থক্য কি?
বর্তমানে সবচেয়ে আধুনিক পেনড্রাইভগুলোতে ইউএসবি ৩.১ এবং ৩.২ পোর্টের জন্য ভালো। আধুনিক এই পেনড্রাইভ খুব দ্রুত ফাইল আদান প্রদান করার সুবিধা প্রদান করে থাকে। ইউএসবি ৩.১ পেনড্রাইভ ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ১০ জিবিপিএস গতিতে কাজ করে এবং ৩.২ পোর্ট ডাটা ট্রান্সফারের জন্য জন্য ২০ জিবিপিএস গতিতে কাজ করে। বাংলাদেশে উভয় পেন ড্রাইভের দাম প্রায় কাছাকাছি।
৮ জিবি এবং ১৬ জিবি পেনড্রাইভের মধ্যে দামের কেমন পার্থক্য?
বাংলাদশে ৮ জিবি পেনড্রাইভ এখন বাজারে কম পাওয়া যায় তাই ১৬ জিবি কেনা সাশ্রয় হবে কারন বাংলাদেশে ১৬ জিবির দাম মাত্র ২৫০ টাকার মত। আর বাংলাদেশের কিছু দোকানে ৮-জিবি পাওয়া গেলেও দাম প্রায় একই হবে।
৩২ জিবি পেনড্রাইভ কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
বাংলাদেশে ৩২ জিবি পেনড্রাইভের দাম এখন সবার হাতের নাগালে মাত্র ৬০০ টাকা। এই ৩২ জিবি পেনড্রাইভে ডুয়াল ইউএসবি পিন আছে ফলে এটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মোবাইল থেকে ডাটা আদান প্রদান করা যাবে। এই পেনড্রাইভ গুলোতে নিজের ইচ্ছা মতো লোগো ডিজাইন করে নেয়া যাবে।
৬৪ জিবি পেনড্রাইভ কি সাশ্রয়ী?
বর্তমান বাংলাদেশে ৬৪ জিবি পেনড্রাইভ গুলোর দাম শুরু হয় মাত্র ৬০০ টাকা থেকে। এই পেন ড্রাইভ গুলো লিনাক্স, উইন্ডোজ, ম্যাক সবরকমের অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করে। অল্প দামের মধ্যে স্টোরেজ সুবিধা বেশি পাওয়া যায় বলেই ৬৪ জিবি পেনড্রাইভ গুলো বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
নিয়মিত ভিডিও এডিটিং ফাইলের ট্রান্সফারের জন্য কোন পেনড্রাইভ ভালো?
নিয়মিত ভিডিও এডিটিং ফাইলের মতো বড় বড় ফাইল আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ১২৮ জিবি পেনড্রাইভ বেশি ভালো হবে। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স অপারেটিং এ সাপোর্ট করবে এবং ব্যবহারকারীকে দিবে ইউএসবি ৩.২ আধুনিক পোর্টের বিশেষ সেবা। ১২৮ জিবি পেনড্রাইভের দাম ১,৫৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়।