ওয়্যারলেস অ্যাকসেস পয়েন্ট কেনাকাটা
অ্যাক্সেস পয়েন্ট হচ্ছে এক ধরণের নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ডিভাইস। এটি রাউটারের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে এবং নেটওয়ার্ক বর্ধিত করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে কয় ধরণের অ্যাক্সেস পয়েন্ট পাওয়া যায়?
- ইনডোর অ্যাক্সেস পয়েন্টঃ এটি ইনডোরে ওয়্যারলেস এবং ওয়্যারড উভয় ধরণের ইন্টারনেট সংযোগে ব্যবহার করা যায়। ইনডোর অ্যাক্সেস পয়েন্ট মোবাইল সহ অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সমূহে স্থিতিশীল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সংযোগ সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি বিস্তৃত পরিসরে কভারেজ প্রদান করে।
- আউটডোর অ্যাক্সেস পয়েন্টঃ ঝড়, ভারী বৃষ্টিপাত এবং চরম তাপমাত্রা সহ বিভিন্ন আবহাওয়াতে কার্যকর নেটওয়ার্ক সংযোগ বজায় রাখতে আউটডোর অ্যাক্সেস পয়েন্ট ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ব্যবহাকারীদের যোগাযোগ এবং সংযোগ চাহিদা পূরণে আউটডোর এরিয়াতে ব্যাপক কভারেজ প্রদান করে।
ওয়্যারলেস স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্সেস পয়েন্ট কি পাওয়া যায়?
অ্যাক্সেস পয়েন্ট সাধারণত ওয়াইফাই৫, ওয়াইফাই৬, ওয়াইফাই৬ই, এবং ওয়াইফাই৭ এর মতো পৃথক ওয়্যারলেস প্রোটোকল সরবরাহ করে। এই ধরণের প্রোটোকল ৪কে/৮কে স্ট্রিমিং, এআর/ভিআর এর মতো ডেটা-ইনটেনসিভ কাজে, মাল্টি-ইউজার সংযোগে ওয়াইড-এরিয়া কভারেজ প্রদান করে। আপনার কভারেজ প্রয়োজনীয়তা এবং ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যতা পর্যালোচনা করে সঠিক ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট কিনতে পারেন। বাংলাদেশে ভালো মানের এবং এডভান্স ফিচার যুক্ত ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্টের দাম ২৮,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
কখন অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়?
ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কভারেজ বাড়ানো এবং বেশি ইউজারদের স্মুথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়।
ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট কেনার ক্ষেত্রে কি কি দেখতে হবে?
- পারিপার্শ্বিক পরিবেশঃ অ্যাক্সেস পয়েন্ট কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যবহারকৃত এরিয়া বিবেচনা করতে হবে। কারণ বড় এরিয়া কিংবা খোলা জায়গায় বেশি কভারেজ প্রদান করার জন্য উচ্চ ফিরকুয়েন্সির ওয়াইফাই টেকনোলোজি, মাল্টিপল অ্যান্টেনা এবং শক্তিশালী সিগন্যাল সম্পন্ন অ্যাক্সেস পয়েন্ট বিবেচনা করতে হবে।
- ইউজার কিংবা ডিভাইস সংখ্যাঃ বেশি ইউজার হ্যান্ডেল কিংবা মাল্টিপল ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করার জন্য অ্যাক্সেস পয়েন্ট উত্তম। যদি আপনার ইউজার বেশি হয় সেক্ষেত্রে বেশি দামে একটি অ্যাক্সেস পয়েন্ট না কিনে একাধিক অ্যাক্সেস পয়েন্ট কেনাই উচিত, যা কভারেজ এবং ব্যান্ডউইথ উভয় বেশি পাওয়া যাবে। আর, মাল্টিপল ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট কেনার ক্ষেত্রে একই ব্র্যান্ড, মডেল বিবেচনা করলে রাউটার এবং ওয়্যারড কানেকশন করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হয়। তাই, কেনার আগে অবশ্যই ব্যবহারকারী এবং ডিভাইস সংখ্যা বিবেচনা করার পাশাপাশি অ্যাক্সেস পয়েন্টের পোর্ট সংখ্যা বিবেচনা করতে হবে।
- ব্যান্ডউইথঃ মডেল ভেদে অ্যাক্সেস পয়েন্টের স্পীড, ডাটা ট্রান্সফার রেট এবং রেঞ্জ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিশেষ করে গেমিং ভিডিও স্ট্রিমিং, বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য উচ্চ-ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যাক্সেস পয়েন্ট বিবেচনা করতে হবে।
- ডিভাইস সামঞ্জস্যতাঃ ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্টের সাথে সংযুক্ত ডিভাইসসমূহ সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা যাচাই করতে হবে। যেমন আপনার ডিভাইস যদি ওয়াইফাই ৫ কিংবা ওয়াইফাই ৬ই সাপোর্ট করে, তাহলে এর সকল সুবিধা পাওয়ার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে।
- সিকিউরিটিঃ সাইবার আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্টে ডব্লিউপিএ৩ এনক্রিপশন, রেডিয়াস অথেটিকেশন এবং ভিল্যান সেগমেন্ট রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
- সহজ ব্যবহারঃ একাধিক ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিজিক্যাল কন্ট্রোলার বা ক্লাউড বেইজড প্ল্যাটফর্ম বিবেচনা করুন, যা আপনাকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের সুবিধা প্রদান করে।
- এডভান্স টেকনোলোজিঃ ভবিষ্যতের জন্য ওয়াইফাই৭ প্রটোকল যুক্ত অ্যাক্সেস পয়েন্ট নিতে পারেন। কারণ এই টেকনলোজি দ্রুত আপগ্রেড হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য উত্তম বিনিয়োগ হবে।
অ্যাক্সেস পয়েন্ট এর দাম কত?
বাংলাদেশে অ্যাক্সেস পয়েন্টের দাম ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়, তবে অ্যাক্সেস পয়েন্টের দাম ওয়াইফাই প্রোটোকল, কন্ট্রোলার, ফ্রিকোয়েন্সি, তারযুক্ত পোর্টের সংখ্যা এবং ইনস্টলেশন খরচ সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। উন্নত ওয়াইফাই প্রযুক্তি, ডুয়াল ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি এবং উচ্চ-গতির কর্মক্ষমতা পেতে, আপনাকে অ্যাক্সেস পয়েন্টের জন্য বাংলাদেশে ৫০,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে।