বাইক কেনাকাটা
রানার বাইক মূলত বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী রানার অটোমোবাইল লিমিটেড এর তৈরি। বর্তমানে, গ্রাহক চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী রানার বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল এবং স্কুটার সরবারহ করে থাকে। তাছাড়া, জ্বালানী দক্ষ, কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের মোটরসাইকেল সরবারহ করায়, বাংলাদেশে রানার বাইক মোটর সাইকেল উৎসাহী এবং রাইডাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
রানার বাইকের বিশেষত্ব কি?
১। রানার বাইক বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ডিজাইন করার ফলে গ্রাহক চাহিদা ও পছন্দ উপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি যেকোনো রাস্তায় ব্যবহারে আরামদায়ক রাইডিং সুবিধা প্রদান করে থাকে।
২। এই ব্র্যান্ডের বাইক সাধারণত ৮০ সিসি থেকে ১৬৫ সিসি পর্যন্ত প্রায় ১২ টি মডেলের বাইক সরবারহ করে থাকে। ফলে, চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের রানার বাইক সহজেই সংগ্রহ করা যায়।
৩। রানার বাইক সাধারণত সিংগেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক এয়ার কোল্ড, এসওএইচসি এর মত শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি হওয়ায় যথেষ্ট দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য কর্মক্ষমতা প্রদান করে।
৪। রাইডাদের উন্নত এবং আরামদায়ক রাইডিং সুবিধা প্রদান করার জন্য রানার মোটরসাইকেলে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, এলইডি হেডলাইট, ভালো নিরাপত্তার জন্য ডিস্ক ব্রেক এবং আরও আধুনিক ফিচার যুক্ত রয়েছে।
৫। রানার তরুণ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে আধুনিক এবং ট্রেন্ডি আউটলুকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের বাইক সরবারহ করে থাকে।
৬। রানার বাইক জ্বালানী সাশ্রয়ী হওয়ায় বৈশ্বিকভাবে জ্বালানী দাম বাড়লেও দৈনন্দিন ব্যবহারে জ্বালানী বাবদ খরচ অনেক কম হয়ে থাকে।
৭।সারাদেশ জুড়ে রানারের অনুমোদিত ডিলার পয়েন্ট থাকার ফলে কেনার পর ভালো বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করে থাকে। পাশাপাশি বাইকের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত সহজেই করা যায়, বাইকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী রাখার জন্য সহায়ক হয়ে থাকে।
রানার বাইকের দাম কত?
বাংলাদেশে রানার বাইকের দাম ৫০,০০০ বিডিটি থেকে শুরু, যা কমপ্যাক্ট সাইজের, জ্বালানী দক্ষ এবং ৮০ সিসির বাইক। তাছাড়া, বাংলাদেশে সকল রানার বাইকের দাম সাধারণত মডেল, ইঞ্জিন টাইপ, সিসি ক্যাপাসিটি, পাওয়ার এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। তাছাড়া, নতুন বাইকের পাশাপাশি ব্যবহৃত কন্ডিশনের রানার বাইকও পাওয়া যায়। বর্তমানে, ১০০-১২৫ সিসির রানার বাইক বাংলাদেশে ৮৭,০০০ বিডিটি থেকে ১৪০,০০০ বিডিটির মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, উন্নত ইঞ্জিন, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং উচ্চ সিসি ক্যাপাসিটি সম্পন্ন রানার বাইকের দাম ১৪৫,০০০ বিডিটি থেকে শুরু।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় রানার বাইকের মডেল কোনটি?
রানার বাইক আরটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল। এটি কমপ্যাক্ট সাইজের আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাশাপাশি জ্বালানি দক্ষ এবং সাশ্রয়ী দামের জন্য বেশ পরিচিত। তাছাড়া, রানার বাইক আরটি দাম অনুযায়ী ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করায় রাইডারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
রানার বাইকে কেমন মাইলেজ পাওয়া যায়?
রানার বাইক যথেষ্ট জ্বালানী দক্ষ হওয়ায় খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। এই ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল সর্বনিম্ন ৪৫কিমি/লিটার মাইলেজ প্রদান করে থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে যথেষ্ট জ্বালানী সাশ্রয় করতে পারে। এছাড়াও, মডেল ভেদে রানার বাইকের মাইলেজ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
রানার বাইক কোথায় কিনবেন?
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র রানার বাইকের অনুমোদিত রানার ডিলারশিপ রয়েছে। ফলে, চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী কাছাকাছি নির্দিষ্ট এরিয়া থেকে রানার বাইক কিনতে পারেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিডিস্টল.কম এ নতুন এবং ব্যবহৃত উভয় ধরনের রানার বাইক কম দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া, কেনার আগে বিক্রেতার সত্যতা এবং বাইকের অবস্থা সহজেই যাচাই করে সংগ্রহ করতে পারবেন।