মনিটর কেনাকাটা
বর্তমানে বহির্বিশ্বসহ বাংলাদেশে ভিউসনিক কম্পিউটার মনিটর এবং অন্যান্য ডিসপ্লে ডিভাইস তৈরির জন্য সুপরিচিত ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের গ্রাহকদের বাজেট অনুযায়ী সুলভ মূল্যে বিভিন্ন ফিচার সম্পন্ন মনিটর ভিউসনিক ব্র্যান্ড সরবরাহ করে থাকে। মৌলিক মডেল থেকে শুরু করে হাই-এন্ড গেমিং মনিটর বিভিন্ন ধরণের ভিউসনিক মনিটর বাংলাদেশে পাওয়া যায়। সামগ্রিকভাবে, বিডিতে ভিউসনিক মনিটর গুণমান, উচ্চ রেজোলিউশন, এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য গ্রাহকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ভিউসনিক মনিটরের দাম কত?
বাংলাদেশে ভিউসনিক মনিটরের দাম এর উন্নত প্রযুক্তি, মনিটর সাইজ ও বৈশিষ্ট্যর জন্য পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বিডিতে ভিউসনিক মনিটরের দাম ৯,৫০০ টাকা থেকে শুরু যার ডিসপ্লে সাইজ ১৯ ইঞ্চি এবং এইচডিএমআই ইনপুট সমরর্থন করে যা অফিস মনিটর হিসেবে উপযুক্ত। তবে, বাংলাদেশে ২কে এবং ৪কে রেজোলিউশনের ভিউসনিক মনিটর পাওয়া যায় যার দাম তুলনামূলক বেশি।
ভিউসনিক মনিটরের বিশেষত্ব কি?
ভিউসনিক মনিটর উচ্চ গুণগত মান, নির্ভরযোগ্যতা এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য বিডিতে গ্রাহকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভিউসনিক মনিটরের বিশেষত্ব বর্ণনা করা হলঃ
১। সুপারক্লিয়ার আইপিএস প্রযুক্তিঃ ভিউসনিক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মনিটরে সুপারক্লিয়ার আইপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে মনিটরে দেখার ক্ষেত্রে সঠিক রঙ এবং বিস্তৃত পরিসরে দেখার জন্য বিভিন্ন এংগেল প্রদান করবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গ্রাফিক ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার এবং অন্যান্য পেশাদারদের জন্য আদর্শ মনিটর হবে।
২। গেমিং সুবিধাঃ গেমিং উত্সাহীদের জন্য ভিউসনিক গেমিং মনিটরে এএমডি ফ্রীসিঙ্ক টেকনোলোজি, দ্রুত রেসপন্স টাইম, উচ্চ রিফ্রেশ রেট এবং কম ইনপুট ল্যাগের মতো সুবিধা সম্পন্ন। যা উচ্চ-স্তরের গেমিং এর ক্ষেত্রে মসৃণ কর্মক্ষমতা প্রদান করবে।
৩। নীল আলোর ফিল্টারঃ ভিউসোনিক মনিটরে নীল আলোর ফিল্টার যুক্ত রয়েছে যা স্ক্রীন থেকে নির্গত নীল আলোর পরিমাণ হ্রাস করে। ফলে ব্যবহারকারীর চোখের উপর চাপ কমিয়ে দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে কোনো অসুবিধা হবে না।
৪। ফ্লিকার-ফ্রী টেকনোলজিঃ ভিউসোনিক মনিটর দেখার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর যেন চোখের ক্লান্তি এবং মাথাব্যথার উপশম না হয় সেজন্য ফ্লিকার-ফ্রী টেকনোলোজি ব্যবহার করা হয়েছে।
৫। একাধিক সংযোগঃ ভিউসোনিক মনিটর একাধিক সংযোগ স্থাপনের জন্য এইচডিএমআই, ডিসপ্লেপোর্ট এবং ভিজিএ ক্যাবল ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।ফলে ব্যবহারকারী সহজেই বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে ভিউসনিক মনিটর সংযুক্ত করতে পারবে।
৬। ইকো মোডঃ ভিউসোনিক মনিটর ব্যবহারে শক্তি খরচ কমাতে এবং মনিটরের আয়ু বাড়ানোর জন্য ইকো মোড রয়েছে। যার ফলে মনিটর ব্যবহারকারী অল্প খরচে দীর্ঘদিন অনায়সে ব্যবহার করতে পারবে।
গেমিংয়ের জন্য সেরা ভিউসোনিক মনিটর মডেল কোনটি?
গেমিংয়ের জন্য সেরা কিছু ভিউসোনিক মনিটর মডেল রয়েছে যার মধ্যে এক্সজি২৪০৫, এক্সজি২৪০২, এক্সজি২৭০৫, এক্সজি৩২০২ এবং এক্সজি ৩২২০ মডেলের মনিটরগুলো উল্লেখযোগ্য। যা চমৎকার ও নির্ভুল রঙ প্রদান করার পাশাপাশি দ্রুত রেন্সপন্স টাইম এবং উচ্চ রেজোলিউশন প্রদান করে। এছাড়াও ভিউসনিক ব্র্যান্ডের এই মডেলের মনিটর গুলো স্ক্রিন সাইজ সাধারণত ২৪-৩২ইঞ্চি হয়ে থাকে যা ৬০ হার্জ থেকে ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, এবং ১মিলি সেকেন্ড রেসপন্স টাইম প্রদান করবে। পাশাপাশি এই মডেল গুলো গেমিং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য এএমডি ফ্রীসিঙ্ক টেকনোলোজি যুক্ত থাকে এবং ফ্ল্যাট স্ক্রিনে পাওয়া যায়। তাই ভিউসনিক ব্র্যান্ডের সেরা গেমিং মনিটর সংগ্রহ করার জন্য বাজেট, গেমিং পছন্দ এবং অন্যান্য স্পেসিফিকেশন গুলো ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে।