মনিটর কেনাকাটা
বাংলাদেশে বিভিন্ন সাইজের মনিটরের মধ্যে ৩২ ইঞ্চি মনিটর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। কারণ ৩২-ইঞ্চি মনিটর ব্যবহারকারীকে বৃহৎ পরিসরে দেখার সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি, গেমিং, ভিডিও এডিটিং, এবং অন্যান্য কাজে ভালো অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে। এমনকি ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট চাহিদা এবং কাজের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে রেজোলিউশন, রিফ্রেশ রেট, রেসপন্স টাইম এবং বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে সহজেই কানেক্টিভি তৈরি করতে পারায় ৩২ ইঞ্চি মনিটর বিডিতে খুবই জনপ্রিয় মনিটর।
বাংলাদেশে কয়ধরণের ৩২ ইঞ্চি মনিটর পাওয়া যায়?
বর্তমানে বিডিতে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা সম্পন্ন বিভিন্ন ধরণের ৩২ ইঞ্চি মনিটর পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য কিছু ৩২ ইঞ্চি মনিটর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
৩২-ইঞ্চি আইপিএস মনিটরঃ ৩২ ইঞ্চি আইপিএস মনিটরগুলো সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড এলইডি মনিটরের তুলনায় ভিউইং এঙ্গেলকে একটু বেশি বিস্তৃত আকারে দেখায়। পাশাপাশি নির্ভুল কালারে ছবি, ভিডিও প্রদানে, এবং কাজের ক্ষেত্র গুলো সুবিধাজনক ভাবে দেখার জন্য ইন-প্লেন সুইচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
৩২-ইঞ্চি গেমিং মনিটরঃ ৩২-ইঞ্চি গেমিং মনিটরগুলো উচ্চ রিফ্রেশ রেট, কম রেসপন্স টাইম, এবং এডাপ্ট সিঙ্ক উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।। ফলে, গেমাররা ৩২ ইঞ্চি গেমিং মনিটর ব্যবহার করে বেশি সুবিধা পাবে।
৩২-ইঞ্চি ৪কে মনিটরঃ ৩২-ইঞ্চি ৪কে মনিটরের রেজোলিউশন ৩৮৪০ x ২১৬০ পিক্সেল হয়ে থাকে। এই মনিটরগুলো বিশেষ করে ভিডিও এডিটিং করার জন্য উত্তম।
এছাড়া, বর্তমানে বাংলাদেশে আলট্রা ওয়াইড, কার্ভ, এবং টাচস্ক্রিন ৩২-ইঞ্চি মনিটর পাওয়া যায়।
৩২-ইঞ্চি মনিটরের দাম কত?
বর্তমানে বাংলাদেশে ৩২ ইঞ্চি মনিটর বিভিন্ন ডিজাইন, উন্নত প্রযুক্তি, এবং ভিন্ন ভিন্ন রেজোলিউশনে পাওয়া যায়। বিডিতে ৩২ ইঞ্চি মনিটরের দাম ৩০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যাতে আইপিএস প্যানেল এবং ফুল এইচডি রেজোলিউশন রয়েছে। তাছাড়া, পেশাদার কাজের জন্য উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত এবং ৪কে রেজোলিউশনের ৩২-ইঞ্চি মনিটরের দাম কিছুটা বেশি।
কেন ৩২ ইঞ্চি মনিটর কিনব?
৩২ ইঞ্চি মনিটর এর বিশেষ সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
১। বড় স্ক্রিন সাইজঃ ৩২ ইঞ্চি মনিটর ছোট মনিটরের তুলনায় দেখার ক্ষেত্রকে বড় আকারে দেখায়। ফলে ভিডিও এডিটং, গ্রাফিক ডিজাইন, এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের মত কাজের জন্য আদর্শ মনিটর।
২। ইমারসিভ গেমিংঃ বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের গেম রয়েছে যেগুলো খেলার সময় বিস্তৃত পরিসরে দেখার প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে, ৩২ ইঞ্চি মনিটর ব্যবহারে ভালো গেমিং অভিজ্ঞতার পাশাপাশি স্ক্রিনে নিমগ্ন থাকতে সহায়তা পাওয়া যায়।
৩। মাল্টিটাস্কিঃ বড় স্ক্রিন স্পেস থাকায় ব্যবহারকারী একসাথে একাধিক উইন্ডো খুলতে পারে। ফলে ৩২ ইঞ্চি মনিটর ব্যবহারে মাল্টিটাস্কিং করা যাবে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সহায়ক হবে।
৪। সিনেমেটিক অভিজ্ঞতাঃ ৩২ ইঞ্চি মনিটর দিয়ে সিনেমা, টিভি শো, এবং অন্যান্য ধরণের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখার জন্য অন্যতম মনিটর। কারণ এ ধরণের মনিটর সহজেই সিনেমাটিক পরিবেশ তৈরি করে সিনেমেটিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
৫। চোখের চাপ কমায়ঃ বড় মনিটর চোখের জন্য খুব উপকারী। কারণ অফিসের কাজ ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে, ছোট টেক্সট বা ছবি দেখার জন্য ঝুঁকে পড়ে বা স্ক্রিনকে কাছাকাছি অবস্থানে নিয়ে দেখার প্রয়োজন হয় না।