মোবাইল কেনাকাটা
রিয়েলমি সর্বপ্রথম ২০১০ সালে "অপ্পো রিয়েল" নামে পরিচিতি লাভ করে। এটি একটি চাইনিজ ব্র্যান্ড। ২০১৮ সালের আগে এটি অপ্পো ব্র্যান্ডের অধিভুক্ত একটি উপব্র্যান্ড ছিলো। ২০১৮ সালের মে মাসে সর্বপ্রথম এটি রিয়েলমি নামে আত্নপ্রকাশ করে। একই বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে রিয়েলমি তাদের অফিশিয়াল বাজারে প্রথমে প্রকাশ করে। ২০১৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত রিয়েলমি বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সকল দেশে এক বিশেষ পরিচিতি লাভ করে। ২০২০ সালে রিয়েলমি অফিশিয়াল ভাবে বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়।
রিয়েলমি মোবাইলের দাম কত?
বাংলাদেশে রিয়েলমি মোবাইলের দাম ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু তবে উন্নতমানের নতুন মডেলের দাম হবে কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা। এগুলোতে ফুল এইচডি বড় স্ক্রিন ও পর্যাপ্ত মেমোরি রয়েছে। বাজেট এবং রিয়েলমির সকল মডেলের তুলনা করে আপনার প্রয়োজনীয় রিয়েলমি স্মার্টফোনটি নির্বাচন করুন।
কেন রিয়েলমি মোবাইল ভাল?
বাংলাদেশে রিয়েলমির খুব অল্প সময়ে এটির স্মার্ট লুক, পাতলা বডি ডিজাইন, প্রাণবন্ত ক্যামেরা, দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাটারি সহ আরও বিভিন্ন বৈশিষ্টের জন্য বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নিম্নে রিয়েলমি মোবাইল গুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলোঃ
১। রিয়েলমি মোবাইল গুলো তার দৃঢ় কর্মক্ষমতার জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। শক্তিশালী প্রসেসর দ্বারা এই মোবাইল গুলো তৈরি করা হয় তাই উচ্চমানের ভিডিও, উচ্চ গ্রাফিক্সের কন্টেন্ট প্রদর্শন করতে পারে স্মুথলি।
২। ক্যামেরা নিয়ে রিয়েলমি খুব সচেতন থাকে সবসময়। উচ্চ মানের ক্যামেরা ব্যবহার করে আসছে রিয়েলমি তার সর্বপ্রথম মোবাইল থেকেই। রিয়েলমি তার সর্বপ্রথম স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করেছিলো ১৩ মেগাপিক্সেলের মেইল ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। তাহলে এটা খুব সহজেই বোধগম্য যে রিয়েলমি তার মোবাইল গুলোতে কত উচ্চ মানের ক্যামেরা ব্যবহার করে আসছে শুরু থেকেই। এটির ক্যামেরাতে আছে বিভিন্ন রকমের আধুনিক বিশেষত্ব যা দিয়ে প্রফেশনাল লেভেলের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করা সম্ভব। এছাড়াও এতে আছে প্যানারোমা ও এইচডিআর যা ছবি এবং ভিডিওকে করবে আরও স্পষ্ট।
৩। রিয়েলমি তার প্রতিটি ফোন চমৎকার ডিজাইন দিয়ে তৈরি করে থাকে। রিয়েলমি বিভিন্ন রঙ, গোরিলা গ্লাস এবং হাতে ধরতে সহজ হয় এরকম আকৃতিতে তৈরি করে থাকে। সচারচর মোবাইল ব্যবহারের সময় হাত থেকে স্লিপ করে পরে যায়। কিন্তু রিয়েলমি স্মার্টফন গুলো আকৃতিতে মোবাইলের কোণাগুলো গোলাকার করে থাকে এবং পাতলা করে থাকে যার ফলে এটি হাতে রাখা সহজ হয় এবং স্লিপ করে না। এটির ডিসপ্লেতে গোরিলা গ্লাস দেয়া হয়ে থাকে যা টাচ ডিসপ্লেকে অধিক নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। এর ফলে ফোন হাত থেকে পরে গেলেও ডিসপ্লেকে সরাসরি ভেঙে যেতে দেয় না।
৪। রিয়েলমি বহু আগে থেকেই খুব কম দামে ফুল স্ক্রীন ডিসপ্লে বাজারে প্রকাশ করেছে। আগে ফুল স্ক্রীন ডিসপ্লে মানেই অনেকে মনে করতো এটির প্রচুর দাম। কিন্তু রিয়েলমি সকলের এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে অল্প দামে ফুল স্ক্রীন ডিসপ্লে বানিয়েছে অনেক বছর আগেই। আর বাংলাদেশে এখন ফুল স্ক্রিন ডিসপ্লের চাহিদা অনেক।
৫। ব্যাটারির দিক থেকে রিয়েলমি শীর্ষে তালিকাভুক্ত একটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। রিয়েলমি আগে থেকেই ৩০০০ মিলি এম্পিয়ারের বেশি ব্যাটারি নিয়ে বাজারে আসছে। এর অধিক ব্যাটারি ক্ষমতার জন্য বিডিতে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিয়েলমি তার প্রতিটি মোবাইলে ব্যাটারি সেভিং মোড অপশন রাখে যা দিয়ে অতিরিক্ত আরও এক দিনের বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। তাই কোনো বাধা ছাড়াই ভিডিও বা অন্যান্য কাজ উপভোগ করা যায় দীর্ঘক্ষণ।
৬। রিয়েলমি মোবাইল গুলোতে ব্যবহৃত সেন্সর একাধিক ক্ষমতা সম্পন্ন। গাইরো কন্ট্রোল, অ্যাক্সিলোমিটার ইত্যাদি কাজের জন্য রয়েছে এতে রয়েছে একাধিক সেন্সর। এই সেন্সর গুলো বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম। রিয়েলমি তার মোবাইলে অনেক সেন্সর ব্যবহার করে আসছে খুব দামে।
৭। নিরাপত্তার দিক থেকে রিয়েলমি তার মোবাইল গুলোকে আরও একধাপ এগিয়ে রেখেছে অন্যান্য সকল ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলোথেকে। অল্প দামের মধ্যেই রিয়েলমির মোবাইলে আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস লক, পিন আনলক, পাসওয়ার্ড এই সুবিধা গুলো প্রদান করে আসছে। তাই বলাই যায়, সব মডেলের রিয়েলমি স্মার্টফোন নিরাপত্তার দিক থেকে একধাপ এগিয়ে আছে।