মোবাইল কেনাকাটা
বাংলাদেশে সেকেন্ড ফোন হিসেবে মিনি মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। মিনি মোবাইল ফোন গুলো খুবই ছোট হয়ে থাকে বিধায় যেকোন ছোট পকেটে বা মানিব্যাগে সহজেই রাখা যায়। মিনি মোবাইল ফোন গুলো কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের সাথে আসে যা এটিকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। মিনি মোবাইল ফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
এফএম রেডিওঃ মিনি মোবাইল ফোনে হেডফোন কানেকশন ছাড়াই এফএম রেডিও চলেতে পারে বিধায় যেকোন সময় এফএম রেডিও ব্যবহার করে জাতীয় খবর বা খেলার সংবাদ শোনা যায়। এই ফোনে এফএম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ক্যাপচার করার জন্য বিশেষ কোন এন্টেনা বা ওয়ারের প্রয়োজন হয় না।
ব্লুটুথঃ ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্ট ফোনের সাথে মিনি মোবাইল ফোন কানেক্ট করা যায়। ব্লুটুথ কানেকশনের মাধ্যমে স্মার্ট ফোন থেকে মিনি ফোনের সাউন্ড সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং স্মার্ট ফোনের অডিও মিনি ফোনের মাধ্যমে শোনা যায়। তাছাড়া, স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে মিনি মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করা যায় যা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট।
সাইজঃ সব ধরণের মিনি মোবাইল ফোন গুলো সাইজে খুব ছোট হয়ে থাকে। কিছু কিছু মিনি মোবাইল ফোন ১.৫ ইঞ্চি থেকে ২.০ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে থাকে। মূলত এত ছোট সাইজের কারণে বাংলাদেশি মানুষের মাঝে মিনি মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ব্যাটারি ব্যাকআপঃ মিনি মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ স্ট্যান্ডবাই মোডে এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। এবং ব্যবহার করা হলে ব্যাটারি অনুযায়ী এক দিন পর্যন্ত চলতে পারে।
ডুয়াল সিমঃ বেশিরভাগ মিনি মোবাইল ফোন গুলো ডুয়াল সিম সমর্থন করে। যারা একাধিক নাম্বার ব্যবহার করে তাদের জন্য মিনি মোবাইল ফোন সেকেন্ড ফোন হিসেবে আদর্শ।
ডিজাইনঃ মিনি মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হয়ে উঠার অন্যতম কারন হল এর ডিজাইন। মিনি মোবাইল ফোন গুলো বিভিন্ন আকার ও আকৃতিতে পাওয়া যায়। এমনকি কলম, মিনি মেকাপ বক্স, ও বাচ্চাদের খেলনার অকৃতিতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে মিনি মোবাইল ফোনের দাম কত?
মিনি মোবাইল ফোন গুলো ১,০০০ টাকা থেকে ৪,০০০ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মিনি মোবাইল ফোনের দাম ডিজাইন, সাইজ, ব্যাটারি ব্যাকআপ, ও টেকনোলোজির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে, মিনি মোবাইল ফোন গুলোর মধ্যে ফিচার ফোন গুলোর দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।