মোবাইল কেনাকাটা
ইনফিনিক্স মূলত হংকং এর মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানী ট্রান্সশন হোল্ডিংসের তৈরি জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল বাংলাদেশে অ্যাসেম্বল করায় খুবই কম দামে পাওয়া যায়। বর্তমানে, এন্ট্রি-লেভেল মোবাইল থেকে শুরু করে মিড-রেঞ্জ এবং প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের পাশাপাশি ইনফিনিক্স ফিচার-প্যাকড মোবাইলও সরবারহ করে থাকে। তাছাড়া, ইনফিনিক্স মোবাইল সাশ্রয়ী দামে ইনোভেটিভ টেকনোলোজি, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং উন্নত প্রসেসর সরবারহ করায় বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ইনফিনিক্স মোবাইল কেন ভালো?
ডিসপ্লেঃ ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের প্রায়ই সকল মোবাইল বড় এবং আকর্ষণীয় ডিসপ্লে দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুল এইচডি ডিসপ্লে বা উচ্চ-রেজোলিউশনের স্ক্রিন, পাতলা বেজেল থাকে, যা আকর্ষণীয় দেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
ক্যামেরাঃ ইনফিনিক্স স্মার্টফোন সাধারণত যুগোপযোগী বিস্তৃত পরিসরের ক্যামেরা অপশন সরবারহ করে থাকে। একাধিক লেন্স সহ উচ্চ-রেজোলিউশনের ব্যাক ক্যামেরা ছাড়াও ওয়াইড-এঙ্গেল, টেলিফটো এবং ডিপ সেন্সর যুক্ত ক্যামেরা সরবারহ করে। এছাড়াও, ইনফিনিক্স মোবাইলে গুনমান সম্পন্ন ফ্রন্ট ক্যামেরা প্রদান করে, যা উচ্চ মানের সেলফি তোলার জন্য উপযুক্ত।
ব্যাটারি লাইফঃ ইনফিনিক্স ফোন মূলত দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ সরবারহের কারণে বাংলাদেশে গ্রাহকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এই ব্র্যান্ডের প্রায় সকল মোবাইলে ৫০০০ এমএএইচ মত বড় ব্যাটারির সরবারহ করে থাকে। ফলে, একবার রিচার্জ করে দীর্ঘসময় একটানা ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, ইনফিক্নিক্স ব্র্যান্ডের কিছু কিছু মডেলের মোবাইলে দ্রুত চার্জিং টেকনোলোজি রয়েছে, যা ব্যাটারি দ্রুত রিচার্জ করতে সহায়তা করে।
পারফরম্যান্সঃ ইনফিনিক্স মোবাইল ফোন সাধারণত দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য উচ্চ কর্মক্ষমতা প্রদান করে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনে কোয়ালকম বা মিডিয়াটেকের মতো ব্র্যান্ডের প্রসেসর, পর্যাপ্ত পরিমাণে র্যাম এবং স্টোরেজ সক্ষমতা রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় অ্যাপ, মাল্টিমিডিয়া এবং গেমিংয়ের ক্ষেত্রে উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করে।
অপারেটিং সিস্টেমঃ ইনফিনিক্স স্মার্টফোন সাধারণত অপারেট করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া, নির্দিষ্ট মডেল এবং লঞ্চিং ডেটের উপর নির্ভর করে এন্ড্রয়েড ভার্সন পরিবর্তিত হয়ে থাকে। প্রায় সকল ইনফিনিক্স ফোনে অ্যান্ড্রয়েডে কাস্টমাইজড ইউজার ইন্টারফেস (UI) পাওয়া যায়, যা অতিরিক্ত ফিচার এবং আকর্ষণীয় ইন্টারফেস প্রদান করে।
কানেক্টিভিটিঃ ইনফিনিক্স ফোনে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ এবং জিপিএসের মতো স্ট্যান্ডার্ড সংযোগ সুবিধা রয়েছে৷ এছাড়াও, মডেলের উপর নির্ভর করে, ৪জি এলটিই বা এমনকি ৫জি সংযোগের মতো অতিরিক্ত কানেক্টিভিটি সুবিধা পাওয়া যায়, যা দিয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট স্পীড পাওয়ার পাশাপাশি উন্নত নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যায়।
ডিজাইনঃ ইনফিনিক্স মোবাইল সাধারণত মসৃণ, পাতলা এবং স্টাইলিশ ডিজাইন তৈরির পাশাপাশি মোবাইলের বডি কিছুটা ফ্ল্যাট এবং প্রিমিয়াম ফিনিশ হয়ে থাকে। এছাড়াও, কিছু কিছু মডেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বা ফেস আনলকের মতো উন্নত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
তাছাড়া, ইনফিনিক্স ফোনের মডেলের উপর নির্ভর করে মাইক্রোএসডি কার্ড, ডুয়াল সিম কার্ড স্লট, ডলবি অ্যাটমস অডিও সাপোর্ট, এবং গেস্টার কন্ট্রোল বা স্প্লিট-স্ক্রিন মাল্টিটাস্কিংয়ের মতো উন্নত সফ্টওয়্যার যুক্ত রয়েছে।
ইনফিনিক্স মোবাইল এর দাম কত?
ইনফিনিক্স মোবাইল ফোনের দাম সাধারণত নির্দিষ্ট মডেল, ফিচারস, র্যাম, স্টোরেজ ক্যাপাসিটি এবং কান্ট্রি ভ্যারিয়েন্ট এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ইনফিনিক্স মোবাইল এর দাম সর্বনিম্ন ৬,৩০০ টাকা থেকে শুরু, যা ১৬ মিলিয়ন কালার যুক্ত আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লের সমন্বয়ে তৈরি। এছাড়াও, মিডরেঞ্জ এবং ফ্ল্যাগশিপ মডেলের ইনফিনিক্স মোবাইল ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, গেমিং এর জন্য উন্নত প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত র্যাম যুক্ত ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশে ২৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।