মোবাইল কেনাকাটা
জিও ফোন মূলত অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরি ফিচারসমৃদ্ধ বাটন ফোন। এই মোবাইল বাংলাদেশে ও চীন উভয় দেশে ম্যানুফ্যাকচার হয়ে থাকে। তাছাড়া, এটি কম দামে সুপার স্লীম বডিস, স্মার্ট ফিচার, ক্যামেরা সেট আপ, ভালো মানের ব্যাটারির সমন্বয়ে মোবাইল সরবারহ করে থাকে। ফলে, দীর্ঘসময় কল, মেসেজিং করার পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া অডিও, ভিডিও এবং অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে, লেটেস্ট জিও ফোন বিডিস্টলে সেরা দামে পাওয়া যায়।
কেন জিও ফোন কিনবেন?
- জিও ফোন সকল ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। কারণ এটি সাশ্রয়ী দামে প্রয়োজনীয় ফিচার সম্পন্ন মোবাইল সরবারহ করে থাকে।
- এটি ২.২ থেকে ২.৮ ইঞ্চি কিউভিজিএ, টিএফটি ডিসপ্লে, লেদার ফিনিশ ব্যাক পার্ট এবং শক্তিশালী মেটাল সেন্সেশন আর সুপার স্লিম বডি ডিজাইনে আকর্ষণীয় মোবাইল সরবারহ করে থাকে।
- এই মোবাইলে মিডিয়াটেক চিপসেট, এমটিকে৬২৬১ডি, এমটি৬৭৩৭ এর মত শক্তিশালী প্রসেসর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা মসৃণ ভাবে অপারেট করতে সহায়তা করে।
- এতে ০.৩ - ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ডুয়েল সিম, ৫ মেগাবাইট থেকে ১ জিবি র্যাম, এবং সর্বোচ্চ ৮ জিবি স্টোরেজ সরবারহ করে থাকে, যা দিয়ে ছবি ক্যাপচার করার পাশাপাশি অডিও, ভিডিও সেভ রাখা যায়।
- এই মোবাইল বিশেষ করে তাদের জন্য উপযুক্ত যাদের কলিং, টেক্সটিং এবং সীমিত ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের মতো মৌলিক ফিচার প্রয়োজন।
- এছাড়াও, ব্লুটুথ, ওয়্যারলেস এফএম ও রেকর্ডিং, জিপিআরএস, অটো কল রেকর্ডিং, এমপি৩, এমপি৪ প্লেয়ার, মোবাইল ট্র্যাকার সহ বিভিন্ন ধরণের অত্যাধুনিক ফিচার সরবারহ করে।
- তাছাড়া, জিও ফোনে ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য টাইপ-সি চার্জার সরবারহ করে থাকে। প্রায় ফোনে ফ্ল্যাশলাইটও রয়েছে, যা রাতে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়তা করে।
- পাশাপাশি এই ফোনে প্রয়োজনীয় সকল নাম্বার সেভ রাখার জন্য মডেল ভেদে ৫০০ - ১০০০ কন্টাক্ট মেমোরি রয়েছে।
- এটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, ফলে প্রযুক্তি-সচেতন নয় এমন ব্যক্তিদের জন্য আদর্শ মোবাইল।
- জিও ফিচার ফোনে প্লে স্টোর, ফেসবুক, গুগল, ইমো, হুয়াটস অ্যাপ, ইউটিউব এর মত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ অপারেট করার পাশাপাশি অনলাইনে ভিডিও কল করা যায়। কিছু কিছু লেটেস্ট জিও ফোনে ওয়াইফাই, হটস্পটের মত ফিচার রয়েছে।
- তাছাড়া, জিও ফোনে ১০০০ এমএএইচ থেকে ২৭০০ এমএএইচ পর্যন্ত পাওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সরবারহ করে, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি বেক আপ এর নিশ্চয়তা প্রদান করে। এছাড়া, এটি ব্যবহারকারীদের ঘন ঘন মোবাইল ব্যাটারি রিচার্জ না করে সারা দিন অপারেট করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে জিও ফোন এর দাম কত?
বাংলাদেশে জিও ফোনের দাম ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, মডেল, ডিসপ্লে সাইজ, নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং অন্যান্য স্মার্ট ফিচারের উপর নির্ভর করে জিও ফিচার ফোনের দাম পরিবর্তিত হয়ে থাকে। স্মার্ট ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি জিও ফোনের দাম ১,৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
জিও ফোনের জনপ্রিয় মডেল কোনগুলো?
বাংলাদেশে প্রায় সকল মডেলের জিও ফোন পাওয়া যায়। যার মধ্যে উল্লাখযোগ্য কিছু মডেল হচ্ছে টি৩০, আর১০, আর১১, আর২৫, টি১৯ জিও ফোন। তবে, টি৩০ জিও ফোন বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাটন মোবাইল এবং এটি বিডিস্টলে ৪,৮৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
জিও ফোনের ব্যাটারি বেক আপ কেমন দেয়?
জিও ফোনে সাধারণত ১০০০ এমএএইচ থেকে ২৭০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সরবারহ করে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট ব্যাকআপ প্রদান করে। ২০০০ এমএএইচ এর বেশি ক্যাপাসিটির ব্যাটারি ১২ ঘণ্টার বেশি কথা বলার সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও, ৬ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই চার্জ ধরে রাখতে পারে। ফলে, এই মোবাইল আপনাকে ঘন ঘন ব্যাটারি রিচার্জ করতে হয় না।
জিও ফোনের সাথে কি কোনও ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়?
জিও ফোনে সাধারণত এক বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি প্রদান করে থাকে, যার ফলে এই মোবাইল ব্যবহারে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে সহজে সহায়তা পাবেন।
জিও ফোনে কি ৪জি বা ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যায়?
সকল জিও ফোন সাধারণত ২জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে থাকে। তবে, টি৩০ এর মত মডেলের ন্যায় অনেক জিও ফোন ৪জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে, যা ব্রাউজিং এবং স্ট্রিমিংয়ের জন্য দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করা যায়। বর্তমানে, জিও ফোনে ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে না।
