মোবাইল ব্যাটারি কেনাকাটা
স্মার্ট ফোন সচল রাখতে ও চার্জ দেওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন উন্নত মানের মোবাইল ব্যাটারি। বাংলাদেশে বর্তমানে ফোনের মডেলের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাপাসিটি সম্পন্ন উন্নত মানের ব্যাটারি পাওয়া যায়। ফোন ব্যবহারের অসতর্কতার কারণে বা কয়েক বছর ব্যবহারের পর ব্যাটারি ব্যাকআপ সময় কম হতে থাকে তাই ফোনের ব্যাটারির পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। ভিন্ন মডেলের ব্যাটারির ও ক্যাপাসিটির ভিত্তিতে মোবাইল ব্যাটারির দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
মোবাইল ব্যাটারির দাম কত?
বর্তমানে মোবাইল ব্যাটারির দাম এর মডেল, ক্যাপাসিটি, গুণমান, ব্যাকআপ সময়, ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাটারির দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু যা ১০২০ অ্যাম্পিয়ার ক্যাপাসিটির হয়ে থাকে এবং লোকাল কোয়ালিটির হয়ে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন এর জন্য ভিন্ন কোয়ালিটির ও মডেল অনুসারে নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটির ব্যাটারি পাওয়া যায়। এছাড়া, রিপেয়ার টুল সেট সহ মোবাইল ব্যাটারি পাওয়া যায় যার দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
মোবাইল ব্যাটারি কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
মোবাইল ব্যাটারি মোবাইলের লম্বা সময় ব্যাক আপ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই, মোবাইল ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
ব্যাটারি মডেলঃ ব্যাটারির মডেল মোবাইল ফোনের মডেলের সাথে সামঞ্জস্য কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। কেননা নির্দিষ্ট মডেলের মোবাইল ফোনের জন্য নির্দিষ্ট মডেলের ব্যাটারি তৈরি করা হয়। তাছাড়া, মোবাইলের সাস্থ ঠিক রাখার জন্য এর সাথে সামঞ্জস্য ব্যাটারি ব্যবহার করা উত্তম।
ব্যাটারি হেলথঃ নতুন বা পুরাতন মোবাইল ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্যই ব্যাটারি হেলথ দেখে কিনতে হবে। এবং, নূন্যতম ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ হেলথ সম্পন্ন মোবাইল ব্যাটারি নির্বাচন করতে হবে। তবে, নতুন মোবাইল ব্যাটারির হেলথ সাধারণত ১০০ শতাংশ হয়ে থাকে।
ওয়ারেন্টিঃ মোবাইল ব্যাটারির সাথে নির্দিষ্ট সময়ের ওয়ারেন্টি থাকে ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যাটারিতে কোন প্রকার সমস্যা হলে কোম্পানি পরিবর্তন করে দেয়। তাই, মোবাইল ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্যই এর কত বছরের ওয়ারেন্টি আছে তা বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়া, মোবাইল ব্যাটারি সঠিক ভাবে ব্যাকআপ দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। তবে, মোবাইল নির্মানকালীন ফ্যাক্টরি অরিজিনাল ব্যাটারির তুলনায় রিপ্লেসমেন্ট ব্যাটারি কম ব্যাকআপ সময় প্রদান করে।
মোবাইল ব্যাটারি ভালো রাখার টিপস।
১। মোবাইল ফোন চার্জে লাগানো অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। মোবাইল ফোন কয়েক শতাংশ চার্জ শেষ করে ঘন ঘন চার্জ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। মোবাইল ফোনের চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয় এমন লোড সম্পন্ন অ্যাপস ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
৪। বিশেষ করে মোবাইল ফোনের চার্জ ৩০ থেকে ২০ শতাংশ এর নিচে নামলে চার্জ করা উত্তম। এবং ১০০ শতাংশ চার্জ না করে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ চার্জ করলে ব্যাটারি হেলথ ভালো থাকে।
৫। মোবাইল ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে কেননা অতিরিক্ত ব্রাইটনেসের কারণে মোবাইলের চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়।
৬। মোবাইল ফোনে পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করতে হবে ফলে দীর্ঘ সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।
৭। বর্তমানে স্মার্ট ফোনে ডার্ক মোড অপশন থাকে যা ব্যবহার করলে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ শতাংশ শক্তি কম খরচ হয় ফলে ব্যাটারি ভালো থাকে।
৮। মোবাইল অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৯। অরিজিনার চার্জার দিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ করতে হবে যাতে করে ব্যাটারি হেলথ বজায় থাকে। বিশেষ করে অন্যান্য চার্জার দিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ করা থেকে বিরত থাকুন।
১০। স্মার্ট মোবাইল ফোনের অটো আপডেট অফ রাখুন।