bdstall.com

মোবাইল ফোনের দাম ২০২৪

আইটেম ১-৪০ এর ৪২৭
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট মোবাইল এর দাম

মোবাইল কেনাকাটা

বাংলাদেশে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি, ফোনে কথা বলা, ভিডিও দেখা সব কিছুতেই মোবাইল ফোন ব্যবহারে করে থাকি বিশেষ করে স্মার্টফোনে।

নতুন বনাম ব্যবহৃত মোবাইল

কম বাজেটের হোক বা উচ্চ বাজেটের হোক না কেন নতুন মোবাইল ফোন সবসময়ই সবার জন্য উপযুক্ত পছন্দ। নতুন মোবাইল ফোন কমপক্ষে ১ বছরের ওয়ারেন্টি সহ আসে। তবে, যদি বাজেট কম থাকে আর একটি ভাল স্মার্টফোন পেতে চান তবে একটি টিপ হল যে পুরানো মডেলের ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল কেনা যাতে কম টাকায় আরও ভাল মানের হার্ডওয়্যার পেতে পারেন। নতুন মোবাইল ফোনের দাম ৮,০০০ টাকা থেকে শুরু এবং একটু ভালো হলে কমপক্ষে ১১,০০০ টাকা হতে পারে৷ যাইহোক, আপনি যদি বাংলাদেশে ব্যবহৃত মোবাইল কেনেন তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি প্রায় ৬০% কম।

স্মার্টফোন বনাম বাটন ফোন

  • স্মার্টফোনঃ আপনি যদি অন্যান্য কাজ যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া করতে চান তাহলে স্মার্টফোনই সবচেয়ে ভালো। বাংলাদেশে লেটেস্ট স্মার্টফোনের দাম ২০,০০০  টাকা থেকে শুরু এবং এগুলোতে থাকে সাধারণত এন্ড্রয়েড, আইওএস বা সমমানের ওএস সাথে টাচস্ক্রীন এবং উচ্চ ক্যাপাসিটির মেমোরি। তবে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ফোনের দাম এর ব্র্যান্ড, সিরিজ এবং কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
  • বাটন ফোনঃ মোবাইল ফোন কেনার আগে ব্যবহারের ধরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। বোতাম ফোন বা টাচস্ক্রিন ফোন কেনা হোক না কেন, প্রথমে বিবেচনা করুন কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে। যদি আপনি শুধুমাত্র কথা বলার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চান তবে বোতাম মোবাইলই যথেষ্ট। বাটন ফোন ২য় ফোন হিসেবে দারুণ। বাংলাদেশের অনেক বয়স্ক মানুষ তাদের কম খরচে এবং সহজে ব্যবহারের জন্য বোতাম ফোন পছন্দ করেন। কিছু বোতাম ফোনের আকারে খুব ছোট হওয়ায় বাংলাদেশে মিনি ফোন নামে পরিচিত।

মোবাইল ব্র্যান্ড নির্বাচন

প্রতিটি ব্র্যান্ডের মোবাইলই ভালো কিন্তু ব্রান্ডগুলির কিছু মডেল তাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী তা হোক সেগুলি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মোবাইল বা চায়না ব্র্যান্ডের মোবাইল। কিছু মোবাইল বাংলাদেশে সংযোজিত হয় এবং যন্ত্রাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয় এবং এই মোবাইলগুলি বাজেটের তুলনায় অনেক ভাল। আইফোন বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং প্রতিদ্বন্দ্বী নিকটতম হল স্যামসাং মোবাইল, এলজি মোবাইল, ওয়ানপ্লাস মোবাইল। সস্তা ব্র্যান্ডের মোবাইল বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় এবং এর মধ্যে শাওমি মোবাইল, ভিভো, অপ্পো, রিয়েলমি, সিম্ফনি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বাকি ব্র্যান্ডগুলিও তাদের সিরিজের উপর ভিত্তি করে বিবেচনা করা দরকার।

মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ফিচার

মোবাইল কেনার আগে ব্র্যান্ড, মডেল, ডিজাইন, বাজেট, ইত্যাদি বিবেচনা করে কিনতে হয়। তাই জেনে নিন বাংলাদেশে ভালো মানের মোবাইল কেনার কিছু টিপসঃ

  • কল কোয়ালিটিঃ মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই স্পীকারের মান চেক করে নিতে হবে। কারণ স্পীকার যদি ভালো না থাকে তাহলে কথা বা কোনো অডিও স্পষ্ট ভাবে শোনা যাবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের শহরে শব্দের মাত্রা বেশি তাই লাউডার স্পিকার ভালো কাজ করে।
  • ব্যাটারি বেকআপঃ বাটন মোবাইল হোক বা স্মার্টফোন, যেকোনো মোবাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। একটি মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন সেটির উপর নির্ভর করে মোবাইলের সকল কর্মদক্ষতা। স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক থাকে তবে বর্তমানের বাটন মোবাইল গুলোও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। ৫২০০ মিলি এম্পিয়ারের বাটন মোবাইল এবং স্মার্টফোন পাওয়া যায় বাংলাদেশের বাজারে। তাই যে মোবাইলই কেনা হোক না কেন দেখে নিতে হবে ব্যাটারি মিলি এম্পইয়ার কত।
  • মোবাইল চার্জিং টাইমঃ স্মার্টফোনের উন্নতির সাথে সাথে এর ব্যবহারও বেড়ে গিয়েছে তাই এটি দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। তাই বার বার চার্জ এর প্রয়োজনহ হয়। এই চার্জ করতে গেলে প্রয়োজন ২/৩ ঘন্টা সময় কিন্তু আধুনিক অনেক মোবাইল দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। ফলে খুব আল্প্ সময়ের ভিতর এটি সম্পূর্ণ চার্জ করতে পারে। আর এতে সময় যেমন বাঁচে তেমনি ব্যবহারেও অনেক সুবিধা। তাই মোবাইল কেনার আগে এটি ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট করে কিনা দেখে কিনলে ভাল হয়। তবে এই সুবিধাটুকু সাধারণত একটু ভাল দামের মোবাইলে পাওয়া যায়।
  • বিডি নেটওয়ার্ক সাপোর্টঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ৩জি, ৪জি এবং ৫জি নেটওয়ার্ক আছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী সর্বোচ্চটি কেনার চেষ্টা করুন। এবং মনে রাখবেন যে উপরের সংস্করণটি নিম্ন সংস্করণকে সমর্থন করবে, যার অর্থ আপনি যদি ৫জি গ্রহণ করেন তবে আপনি ৪জি এবং ৩জি চালাতে পারেন।
  • ডুয়াল সিমঃ বাংলাদেশে নতুন যেসব মোবাইল ফোন পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ডুয়েল সিম। যাইহোক, কিছু সেট এক সিমের হতে পারে। ব্যবহৃত মোবাইল যেগুলো সাধারণত বিদেশ থেকে আমাদানি করে বিক্রি হয় সেগুলো সিঙ্গেল সিমের হয়ে থাকে।
  • ডিসপ্লের  সাইজঃ যদি ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন তবে বড় স্ক্রীনের মোবাইল যেমন সর্বনিম্ন ৫-৬ ইঞ্চির নেয়া উচিৎ। আইফোন এবং কিছু পুরাতন মডেলের মোবাইলের স্ক্রীন অনেক ছোট হয়ে থাকে। তবে সেগুলো বেশ বহনযোগ্য। ডিসপ্লের সাইজের উপর নির্ভর করে স্মারটফোনের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত বাংলাদেশে ৬ ইঞ্চি বা তার বেশি সাইজের ডিসপ্লেযুক্ত মোবাইলের দাম ১০,০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে।
  • রেজোলিউশনঃ বর্তমানের বেশিরভাগ মোবাইল এইচডি স্ক্রিনের হয়ে থাকে। তবে ফুল এইচডি আপনাকে আরও ভালো কোয়ালিটি দেবে।
  • সুরক্ষাঃ গরিলা বা অন্যান্য সুরক্ষিত কাচ থাকলে আলাদা করে আর স্ক্রীন প্রটেকটর এর দরকার নেই।
  • স্ক্রীনের ঘনত্বঃ এই বিষয়টি অনেকে গুরুত্ব দেয় না কিন্তু এটি দিয়েই স্ক্রীনের মান নির্ণয় করা যায়। সর্বনিম্ন ২৬০ পিপিআই নেয়ার চেষ্টা করবেন। আর ৪০০ পিপিআই হলে খুব ভাল কোয়ালিটির ছবি দেখতে পারবেন।
  • মিনিমাম র‌্যামঃ সাধারণ অ্যাপ্লিকেশানগুলো চালাতে ২ জিবিই যথেষ্ট। তবে ৩ জিবি হলে ভাল হয়। আর মোবাইলে আধুনিক গেম খেলতে হলে ৪ জিবি থাকা দরকার।
  • স্টোরেজঃ সর্বনিম্ন ১৬ জিবি হলে চলবে। আর অতিরিক্ত স্লট আছে কিনা দেখে নিন। যদি না থাকে তবে ১৬ জিবির বেশি নিলে ভাল হয়। পুরাতন মডেলের মোবাইলে সাধারণত কম স্টোরেজ থাকে তবে কার্ড স্লট থাকে।
  • মোবাইল প্রসেসরঃ ডুয়েল কোর একটু স্লো হতে পারে তবে বাজেট কম হলে চলবে। আর কোয়াড কোর সিপিউ হলে ভাল চলবে। নতুন মডেলের মোবাইলে অক্টাকোর সিপিউ থাকে। গেমিং করার জন্য মূলত ভালো প্রসেসর যুক্ত মোবাইল কেনা উচিত। আর, বাংলাদেশে শক্তিশালী গেমিং প্রসেসর যুক্ত মোবাইলের দাম ২০,০০০ টাকার উপরে।
  • মোবাইল ক্যামেরাঃ মেগাপিক্সেল দেখে নয় ক্যামেরার লেন্স কোয়ালিটি দেখে কিনুন। রাতে বা অল্প আলোয় ছবি তুলুন তাতে আপনি মোবাইল ক্যামেরার লো-লাইট পারফর্মেন্স সম্বন্ধে জানতে পারবেন।
  • সেন্সরঃ ডিজিটাল কম্পাস, গাইরোস্কোপ, এসপিও২ বা পাল্স অক্সিমিটার, অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার থাকলে আপনি অনেক কাজে সুবিধা পাবেন।
  • ফ্ল্যাশ লাইটঃ ফ্ল্যাশলাইট অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। ফ্ল্যাশলাইট ভাল এমন মোবাইল কেনা উচিৎ কারণ কোনো অন্ধকার স্থানে ফ্ল্যাশলাইটের আলো পাওয়া যাবে খুব সহজেই। ভ্রমণের সময় অথবা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ফ্ল্যাশলাইট অনেক উপকারে আসে।

বাংলাদেশে মোবাইল কেনার আগে কিছু সতর্কতা

  • মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি যাচাই করে কিনুন তাহলে রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকবেন। এছাড়াও, আপনার পছন্দের মোবাইলটিতে এসএআর যেন ১.৬ এর বেশি না হয় সেটি বিবেচনা করবেন।
  • আপনি যদি বাংলাদেশে ব্যবহৃত ফোন কেনেন তাহলে অবশ্যই অরজিনাল বক্স সহ কিনুন বা বিক্রেতার কাছ থেকে আইএমইআই নম্বর সহ রসিদ সংগ্রহ করুন।
  • মোবাইল কেনার পর একবার ফুল চার্জ দিয়ে দেখবেন কাঙ্খিত ব্যাকআপ পান কিনা তা না হলে বিক্রেতার কাছ থেকে রিপ্লেস করে নিন।
  • ব্যবহৃত মোবাইল কেনা বাংলাদেশে এখন অনেক জনপ্রিয়। তাই এটি কেনার ক্ষেত্রে বিক্রেতার কাছ থেকে রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি কত দিন জেনে নিন।

মোবাইল ফোন কেনার পর

একটি মোবাইল ফোন বিশেষভাবে স্মার্টফোন কেনার পর আপনার মোবাইলের অভিজ্ঞতা এবং টেনশন-মুক্ত ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ব্লুটুথ ইয়ারফোন, মোবাইল ব্যাক কভার এবং স্ক্রিন প্রটেক্টরের মতো কিছু জিনিসপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।

মোবাইল ফোনের দাম কত?

বাংলাদেশে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন মোবাইলের দাম ৩,০০০ টাকা থেকে শুরু এবং এগুলো দিয়ে সুন্দর কথা বলা যায় এবং কম দামের ভিতর কিছু ফোনেও ভাল সুবিধা পাওয়া যায়। মোবাইলের দাম সাধারণত মোবাইল ব্র্যান্ড, ডিসপ্লে প্রযুক্তি, মেমরির আকার, প্রসেসর এবং ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। যাইহোক, মোবাইল কেনার আগে আপনি বিডিস্টল.কম-এ সমস্ত মোবাইল ফোনের মূল্য তালিকা তুলনা করতে পারেন যাতে আপনি বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে মোবাইল কিনতে পারেন।

ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ কি?

ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ হচ্ছে প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় মডেলের মোবাইল, যা বাজারে অন্যান্য মডেলের ফোনের সাথে কম্পিটিশন করে থাকে। বর্তমানে প্রায় সকল ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল পাওয়া যায়,  যার দাম সাধারণত অন্যান্য মডলের স্মার্টফোনের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।

মোবাইলের ফিক্সড ব্যাটারি কি পরিবর্তন করা যায়?

হ্যা, মোবাইলের ফিক্সড ব্যাটারি অবশ্যই পরিবর্তন করা যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের ভীতি রয়েছে, যে ফিক্সড মোবাইলের ব্যাটারি রিপ্লেস করা যায় না। তবে, নির্দিষ্ট সময় পর ব্যাটারি স্থায়িত্ব কমে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে, বাংলাদেশে কম দামে চায়না ব্যাটারি রিপ্লেস করে নেওয়া যায়। তাছাড়া, বর্তমান সময়ে মোবাইলের ফিক্সড ব্যাটারি যথেষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা অনায়সে ৩-৪ বছর ব্যবহার করা যায়।

কোন মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি?

বর্তমানে, মাল্টিমিডিয়া এবং দীর্ঘসময় গেমিং সুবিধা প্রদানে প্রায় সকল এন্ড্রয়েড এবং স্মার্টফোনে উচ্চ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সরবারহ করে থাকে। তবে, সর্বনিম্ন ৫০০০ এমএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি যুক্ত মোবাইল ব্যবহারে প্রায় ২৮-৩২ ঘণ্টা ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের সেরা মোবাইল এর মূল্য তালিকা November, 2024

November, 2024-এর বাংলাদেশের সেরা মোবাইল এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের মোবাইল ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা মোবাইল এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

মোবাইল মডেল বাংলাদেশে দাম
iPhone 6 ৳ ৭,৮৫০
Apple iPhone 7 Plus ৳ ১৯,৮৯৯
Samsung Guru Music 2 ৳ ১,৫৪০
iPhone 6s ৳ ৯,০০০
Apple iPhone 11 Pro Max ৳ ৫০,৫০০
Redmi Note 7 Pro ৳ ৯,১৮০
Oppo A3s ৳ ৬,৩৭০
Xiaomi Redmi Note 8 ৳ ৯,৯৯৯
Xiaomi Mi 3 ৳ ৩,৪৭০
Apple iPhone 6 Plus ৳ ১১,৭৯৯