মিনি পিসিতে কম প্রসেসিং পাওয়ার আছে কিন্তু ডকুমেন্ট সংক্রান্ত কাজ, বেসিক ইমেজ এডিটিং এবং সাধারণ মানের গেম সহজেই চালানো যায়। মিনি পিসি কম বাজেটের জন্য আদর্শ বিশেষ করে স্কুলের ছাত্রদের জন্য কারণ বাংলাদেশে মিনি পিসির দাম ৮,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশে বেশিরভাগ মিনি পিসি যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহৃত তবে বাজেট ক্রেতাদের জন্য এটি সবচেয়ে সস্তা সমাধান।
Read more
মিনি পিসি কেনাকাটা
বর্তমানে বাংলাদেশে মিনি পিসি ব্যবহার হচ্ছে অধিকহারে। মিনি পিসি গুলো আকারে ছোট এবং ওজনে হালকা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ছোট খাটো কাজ খুব সহজেই মিনি পিসির সাহয্যে করে ফেলা যায়। আবার বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজও করা যায় একটু উন্নত মানের মিনি পিসির সাহায্যে। মিনি পিসির দাম অন্যান্য পিসি গুলোর তুলনায় কম হয়ে থাকে। তাই মিনি পিসির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশে।
মিনি পিসির সুবিধাঃ
১। মিনি পিসি আকারে ছোট তাই এটি বিভিন্ন স্থানে বহন করা যায় খুব সহজেই।
২। বাংলাদেশে মিনি পিসি অন্যান্য পিসির তুলনায় দামে সাশ্রয়ী হয়। আর বাংলাদেশে এখন কিছু মিনি পিসি ব্যবহৃত পাওয়া যায় যেগুলো সবার সাধ্যের ভিতর।
৩। মিনি পিসির কর্মক্ষমতা পিসির মতই তাই এটি দিয়ে সকল কাজ খুব সহজ ভাবে করা যায়।
৪। মিনি পিসি খুব উন্নতমানের টেকনোলজি ব্যবহার করে তাই এটি কম গরম হয়।
৫। মিনি পিসির র্যাম বাড়ানোর সুবিধা আছে তাই কাজের প্রয়োজনে এটি সেটকরে নেয়া যায়।
৭। মিনি পিসি বিভিন্ন নামি ব্রান্ডের হয়ে থাকে ফলে এটির কর্মক্ষমতা অনেক ভাল।
৮। মিনি পিসি তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ করে তাই বিল কম আসে যেটি বাংলাদেশের জন্য ভাল।
বিডিতে কত হলে মিনি পিসি পাওয়া যায়?
বিডিতে মিনি পিসি ৭,০০০ টাকা হলেই পাওয়া যায় যেটি কোর আই-৩ প্রযুক্তির প্রসেসরসহ ৪ জিবি র্যাম আছে। এটি এইচডি গ্রাফিক্স সাপোর্ট করে বিধায় ভিডিও এবং ছবি পরিস্কার দেখা যায়।
মিনি পিসি ক্রয়ের গাইড লাইনঃ
বাংলাদেশে মিনি পিসি অনেক রকমের হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড, মডেল ও কনফিগারেশনজেনে সঠিক ভাবে মিনি পিসি কেনার জন্য বিশেষ কিছু গাইড লাইন নিচে উপস্থাপন করা হলোঃ
প্রসেসরঃ
মিনি পিসি কেনার আগে অবশ্যই এর প্রসেসর সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কাজের ধরণের উপর ভিত্তি করে প্রসেসর নির্বাচন করতে হবে। আপনি যদি অনলাইন মিটিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, অডিও এবং ভিডিও দেখা এসব কাজের জন্য মিনি পিসি কিনতে চান তবে আপনার কাজের জন্য সাধারণ প্রসেসরের মিনি পিসি যথেষ্ট। কিন্তু যদি অফিশিয়াল কাজ যেমন মাইক্রসফট অফিস, ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসের কাজ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি কাজ গুলোর জন্য ভালো মানের প্রসেসর দরকার হবে। তাই প্রসেসরে কোর বেশি আছে এমন মিনি পিসি নির্বাচন করতে হবে।
অপারেটিং সিস্টেমঃ
বাংলাদেশে উইন্ডোজ এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের মিনি পিসি পাওয়া যায়। পছন্দ মতো এবং কাজের অনুপাতে অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করতে হবে।
র্যামঃ
র্যাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিনি পিসির ক্ষেত্রে। একটি মিনি পিসির র্যাম যত বেশি হবে তত ভারি কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন অনেক মিনি পিসি আছে যেগুলোতে র্যাম আপডেট করে নেয়া যায়। র্যাম আপডেট করার জন্য এগুলোতে অতিরিক্ত স্লট থাকে। অতিরিক্ত র্যাম স্লটের মিনি পিসি গুলো বর্তমান বাংলাদেশে সেরা।
পোর্টঃ
পোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিনি পিসির ক্ষেত্রে। প্রয়োজনীয় সকল কাজের পোর্ট আছে কি না এটা দেখে নেয়া বিশেষ ভাবে জরুরি।
ওয়াইফাইঃ
ইন্টারনেট ছাড়া এখন অচল আর ওয়াইফাই এটির ব্যবহার অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাই ওয়াইফাই বিল্ট-ইন আছে কিনা জেনে নিন। না থাকলে আলাদা একটি কার্ড সংযুক্ত করতে হবে।
মিনি পিসি কিভাবে মনিটরে কানেক্ট করা যায়?
মিনি পিসিতে সাধারণত ভিজিএ পোর্ট থাকে যেটি দিয়ে মনিটরে কানেক্ট করা যায় তবে কিছু মিনি পিসি ইউএসবি বা এইচডিএমআই পোর্ট থাকে। আর কিছু মিনি পিসি দেখতে অনেকটা পেন ড্রাইভের মত যেটি সরাসরি ইউএসবি পোর্টে সংযুক্ত করা যায় এগুলোকে কম্পিউটার স্টিক বলে। বাংলাদেশে এই কম্পিউটার স্টিক কম দামে পাওয়া যায় তবে এগুলো একটু কম ক্ষমতার হয়ে থাকে।