bdstall.com

মেটাল ডিটেক্টর এর দাম ২০২৪ & ২০২৫

আইটেম ১-৪০ এর ৫৫
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট মেটাল ডিটেক্টর এর দাম

মেটাল ডিটেক্টর কেনাকাটা

মেটাল ডিটেক্টর এমন একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস যা ধাতুর উপস্থিতি সনাক্ত করতে এবং সংকেত দিতে পারে। বাংলাদেশে বিভিন্ন মেটাল ডিটেক্টর মেশিন নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মেটাল সনাক্তকরণের কাজে এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। কোন জিনিস শনাক্ত করতে হবে তার উপর নির্ভর করে ডিটেক্টর মেশিন কেনা উচিত। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধাতব জাতীয় কোনো জিনিস শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে হবে মেটাল ডিটেক্টর, মাটির নিচ থেকে কোনো জিনিস শনাক্ত করার জন্য দরকার হবে আন্ডার গ্রাউন্ড মেটাল ডিটেক্টর, স্বর্ণ শনাক্তের জন্য দরকার গোল্ড ডিটক্টর।

বাংলাদেশে কত ধরণের ডিটেক্টর মেশিন পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে অনেক রকমের ডিটেক্টর মেশিন পাওয়া যায় তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এমন কিছু মেটাল ডিটেক্টর হলোঃ

  • হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর
  • আর্চওয়ে গেইট বা ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টর
  • গোল্ড ডিটেক্টর
  • আন্ডার গ্রাউন্ড মেটাল ডিটেক্টর

হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরঃ হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর বা পোর্টেবল মেটাল ডিটেক্টর চুম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করে পুরো শরীর স্ক্যান করা যায়। এটি বিভিন্ন শপিংমল, অফিস, বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।

আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টরঃ আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টরে পালস ইন্ডাকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাই এর ক্ষমতা বেশি। এর নকশাগুলো অনেকটা দরজার মতো তাই একে আর্চওয়ে গেট বলা হয়। সাধারণত এই সমস্ত ডিভাইসগুলি মানুষের ভিড়ে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।

গোল্ড ডিটেক্টরঃ যেহেতু সোনা একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল পদার্থ, তাই খুব কম পরিমাণের বিদ্যুতের তৈরি চৌম্বকীয় তরঙ্গ এটি সনাক্ত করতে পারে। এই ধরনের ডিটেক্টর বিমানবন্দরে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে কিছু ট্রেজার হান্টার সোনা খুজার জন্যও এটি ব্যবহার করে থাকে।

ভূগর্ভস্থ ডিটেক্টরঃ ভূগর্ভস্থ ধাতু সনাক্ত করতে ভূগর্ভস্থ ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়। এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ডিভাইসগুলির মধ্যে একটি।

মেটাল ডিটেক্টর কেন ব্যবহার করা হয়?

মেটাল ডিটেক্টর মূলত ধাতব জাতীয় কোনো কিছু সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। যেমন কোনো সর্বসাধারণের চলাচলের স্থান অর্থাৎ যে স্থানে অধিক মানুষ সমবেত হয় সেখানে পরিবেশগত নিরাপত্তার জন্য মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, মাটির নিচে বিভিন্ন জিনিস শনাক্তের জন্য আন্ডার গ্রাউন্ড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয় যেমন মাটির নিচে থাকা ধাতব, স্বর্ণ, হিরা বা অন্যান্য খনিজ সম্পদ শনাক্ত করে।

মেটাল ডিটেক্টরে কি কি থাকে?

মেটাল ডিটেক্টরে সেন্সর, অ্যালার্ম, এলইডি সিগন্যাল, ব্যাটারি, হ্যান্ডেল সহ বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক থাকে। যেমনঃ

সেন্সরঃ মেটাল ডিটেক্টরে উন্নত মানের সেন্সর থাকে যার সাহায্যে কোনো ধাতব, সোনা, বা বিভিন্ন জিনিসের উপস্থিতি আছে কি না সেটি বুঝা যায়। মানুষের সংখ্যা বেশি এমন কোনো স্থান যেমন মার্কেট, মল, পার্ক বা কোনো ভ্রমণের স্থানে কোনো মানুষ যদি তাদের শরীরে চাকু, পিস্তল, সুঁই বা এ জাতীয় কিছু বহন করে তাহলে খুব সহজেই মেটাল ডিটেক্টর এগুলো শনাক্ত ধরে ফেলতে পারে। মূলত সেন্সর এই শনাক্ত করার কাজকে সহায়তা প্রদান করে থাকে। কিছু মেটাল ডিটেক্টর একসাথে মানুষের অনেক অংশ স্ক্যান করতে পারে যেগুলো ডিটেক্টর জোন নাম পরিচিত। তাই ডিটেক্টর জোন এবং কোন ধরনের মেটাল সনাক্ত করতে পারে তার উপর নির্ভর করে মেটাল ডিটেক্টর নির্বাচন করা উচিত কারন বাংলাদেশে দামের তারতম্য এর উপর অনেকটা নির্ভর করে।

অ্যালার্মঃ মেটাল ডিটেক্টরের সেন্সর যখন কোনো ধাতব পদার্থকে খুঁজে পায় তখন অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্কতা প্রদান করে। যখন কোনো কিছু শনাক্ত হয় তখন অ্যালার্ম শব্দের মাধ্যমে সংকেত প্রদান করে ফলে বোঝা যায় কোনো ব্যক্তির কাছে ধাতব জাতীয় কিছু অথবা মাটির নিচে সংশ্লিষ্ট কিছু আছে। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর জন্য অ্যালার্ম থাকলে সুবিধাজনক।

এলইডি সিগন্যালঃ কিছু কিছু মেটাল ডিটেক্টর এলইডি লাইটের মাধ্যমে সিগন্যাল প্রদান করে থাকে। তবে সাধারণত ৩ টি ছোট ছোট এলইডি লাইট থাকে যা লাল, সবুজ এবং হলুদ রঙের। কোনো কিছু স্ক্যান করার সময় এটিতে সবুজ বাতি জ্বলে থাকবে আর কিছু বিপদজনক বা দরকারি কিছু শনাক্ত হলেই এতে উজ্জ্বল লাল আলো জ্বলে উঠবে। আর হলুদ বাতিটি ডিটেক্টর মেশিনকে চালু করার সময় আর বন্ধ করার সময় জ্বলে।

ব্যাটারিঃ কিছু কিছু মেটাল ডিটেক্টর রিচার্জেবেল ব্যাটারি দ্বারা পরিচালিত হয়। যাতে চার্জ করে ব্যবহার করা যায়। এগুলোর ব্যাটারি সহজেই খোলা যায় এবং প্রয়োজনে ব্যাটারি পরিবর্তন করে নেয়া যায়। এগুলোর ব্যাটারি ব্যাকআপ খুব ভাল মানের হয়ে থাকে।

হ্যান্ডেলঃ অনেক মেটাল ডিটেক্টরেই হ্যন্ডেল সুবিধা পাওয়া যায়। এ সুবিধাটি থাকে সহজে বহন করা যায় এমন মটাল ডিটেক্টরে। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বহন করে শনাক্ত করতে হ্যান্ডেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলোর মধ্যে অনেক ডিটেক্টর মেশিনের হ্যান্ডেল সম্পূর্ণ ওয়েদার প্রুফ। তাই সবরকমের আবহাওয়াতে এগুলো ব্যবহার করা যাবে।

অন্যান্যঃ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক হিসেবে এই ডিটেক্টর গুলোর সাথে অনেক কিছু থাকে যেমনঃ হেডফোন, চার্জার, লেদার বেল্ট লুপ, একটি বেল্ট হোল্ডার, তার ইত্যাদি সামগ্রী।

বাংলাদেশে মেটাল ডিটেক্টরের দাম কত?

মেটাল ডিটেক্টরের দাম বাংলাদেশে খুব সস্তা মাত্র ১,৩৮০ টাকা থেকে শুরু। সস্তা এই মেটাল ডিটেক্টরটিকে হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর বলা হয়। পাশাপাশি ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টরের দাম বাংলাদেশে শুরু হয় মাত্র ৪০,৫০০ টাকা থেকে। এটিতে ৬টি ডিটেকশন জোন আছে অর্থাৎ ৬টি পর্যায়ে এটি মেটাল শনাক্ত করে থাকে। তবে এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশে অনেক রকমের মেটাল ডিটেক্টর পাওয়া যায় যেমন গোল্ড ডিটেক্টর, আন্ডার গ্রাউন্ড মেটাল ডিটেক্টর যাদের দাম নির্ভর করে কাজের ধরণ, ব্র্যান্ড, ডিটেকশন মোড, সাইজ এবং অন্যান্য বিশেষত্বের উপর।

বাংলাদেশের সেরা মেটাল ডিটেক্টর এর মূল্য তালিকা 2024 & January, 2025

2024 & January, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা মেটাল ডিটেক্টর এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের মেটাল ডিটেক্টর ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা মেটাল ডিটেক্টর এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

মেটাল ডিটেক্টর মডেল বাংলাদেশে দাম
Garrett Super 1 Switch Operation Handheld Metal Scanner ৳ ২,০০০
Super Scanner MD-3003B1 Hand Held Metal Detector ৳ ১,৩৫০
Metal Detector Ferrous Card ৳ ৩,০০০
ZKTeco ZK-D1065S 6-Zone Archway Metal Detector Gate ৳ ৫৪,৫০০
Garrett PD 6500i 33-Zone USA Origin Metal Detector ৳ ৮৭০,০০০
Garrett Super Scanner 1165180 Hand Held Metal Detector ৳ ১,৮০০
ZKTeco ZK-D100S Waterproof Handheld Metal Detector ৳ ১,৮০০
Garrett Super Wand Handheld Auto Tuning Metal Detector ৳ ৬,৫০০
ZKTeco ZK-D3180S 18-Zone Archway Metal Detector Gate ৳ ৭৫,০০০
ZKTeco ZK-D2180 Walk Through 18-Zones Metal Detector ৳ ৫৯,৫০০