মেমরি কার্ড কেনাকাটা
মেমরি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কেননা মেমরি কার্ডের সাহায্যে পছন্দের ছবি, ভিডিও, তথ্য ইত্যাদি জিনিস সংরক্ষণ করা যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন স্টোরেজের মেমরি কার্ড পাওয়া যায়। ডিভাইস অনুযায়ী মেমরি কার্ডের আকৃতি হয়ে থাকে। বিডিতে মেমরি কার্ডের দাম অনেক সস্তা।
বিডিতে মেমরি কার্ডের দাম কত?
বিডিতে মেমরি কার্ডের দাম মাত্র ৩৯৯ টাকা থেকে শুরু। এটি একটি ৩২জিবি হাই স্পীড সিরিজের মেমরি কার্ড যা বর্তমানের সকল কাজের জন্য উপযোগী। এটিতে আরও আছে ২৪ এমবি পড়ার গতি এবং ১৩ এমবি লেখার গতি যার পারফরম্যান্স গ্রাহককে করে মুগ্ধ। তবে মেমরি কার্ডের দাম নির্ভর করে এর ধারণক্ষমতা, ডাটা ট্রান্সফার গতি, ডিভাইস সাপোর্ট এবং ব্রান্ডের উপর।
৬৪ জিবি মেমরি কার্ডের কর্মক্ষমতা কেমন?
৬৪ জিবি মেমরি কার্ডের কর্মক্ষমতা খুবই দারুণ। এগুলো উচ্চ গতি সম্পন্ন মেমরি কার্ড। এটি জলরোধী, তাপমাত্রারোধী, এক্স-রেপ্রুফ এবং ম্যাগনেটপ্রুফ। অসাধারণ কর্মক্ষমতার ৬৪ জিবি মেমরি কার্ড বিডিতে খুব সস্তা দামে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ১২৮ জিবি মেমরি কার্ড মোবাইলের জন্য কেমন?
১২৮ জিবি মেমরি কার্ড মোবাইলের জন্য বর্তমান সময়ে সেরা। এটি মোবাইলের গতিকে রাখবে সচল। এটিতে আছে ১২৮ এমবিপিএস রিড স্পীড এবং ১০ এমবিপিএস রাইট স্পীড। বিডিতে ১২৮ জিবি মেমরি কার্ড এর দাম কম।
মেমরি কার্ড কেনার আগে কি কি বিষয় জানতে হবে?
বাংলাদেশে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মেমরি কার্ড পাওয়া যায়। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, টেলিভিশন, মিডিয়া প্লেয়ার ইত্যাদি ডিভাইসের জন্য দরকার আলাদ আলাদা মেমরি কার্ড তবে অনেক মেমরি কার্ড একাধিক ডিভাইস সমর্থন করে। তাই মেমরি কার্ড কেনার আগে যা যা বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
১। মেমরি কার্ড কেনার আগে কোন ডিভাইসের জন্য কিনতে চাইছেন সেটি জেনে নিতে হবে।
২। আপনার ডিভাইস সর্বোচ্চ কত স্টোরেজের মেমরি কার্ড সাপোর্ট করবে সেটি জেনে নিতে হবে।
৩। মেমরি কার্ড কেনার আগে জানতে হবে এর সাইজ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
৪। মেমরি কার্ডের গতি সম্পর্কে জেনে মেমরি কার্ড কেনা ভাল কারণ বেশি গতির হলে কম সময়ে অনেক বেশি তথ্য ট্রান্সফার করা যাবে। তবে বাজেট অল্প হলে বা আপনার ডিভাইস সমর্থন না করলে প্রয়োজন নেই।
৫। ব্র্যান্ডের মেমরি কার্ডে ভাল পারফরম্যান্স যায়।
কোন সাইজের এসডি কার্ড কিনবেন?
বাংলাদেশে ৩টি আকৃতির এসডি কার্ড পাওয়া যায়। যেমনঃ ফুল সাইজ, মিনি সাইজ ও মাইক্র সাইজ। তবে বর্তমানে সব ধরনের সাথেই এডাপ্টার কেসিং থাকে ফলে যেকোন সাইজ এর কার্ড যেকোন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।
ফুল সাইজঃ এটিকে স্ট্যান্ডার্ড এসডি কার্ড মেমরি বলে। এই মেমরি কার্ড কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ডিজিটাল ক্যামেরাতে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে এগুলোর দাম কম এবং ফাস্ট ডাটা ট্রান্সফার করে।
মিনি সাইজঃ মিনি সাইজ মেমরি কার্ড সাধারণত ডিএসএলআর ক্যামেরাতে ব্যবহার করা হয়। এগুলোও এক ধরনের এসডি কার্ড শুধু আকারে একটু ছোট।
মাইক্র সাইজঃ এটিকে মাইক্র এসডি মেমোরি কার্ড বলে এবং সাইজে খুব ছোট হয়। এই মেমরি কার্ড গুলো স্মার্টফোন, স্মার্ট ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন গ্যাজেট আইটেমে সাপোর্ট করে। মাইক্র এসডি কার্ড এর দাম এখন অন্য সব মেমোরি কার্ডের মতই।