হ্যান্ড মাইক কেনাকাটা
আমরা যখন কথা বলি সে কথা খুব বেশি দূর যায় না, আবার যখন বিশাল জনসমাগম, মিটিং, স্কুল, কলেজের সেমিনার হয় তখন অনেক মানুষ জন থাকে তাদের মধ্যে কথার শব্দ পোঁছে দেওয়া যায় না, তাই কথার যে শব্দ দূরে পোছে দেওয়ার জন্য হ্যান্ড মাইক দরকার হয়। এই হ্যান্ড মাইক দিয়ে আপনি অনেক দূর পর্যন্ত কথার শব্দ পোছে দিতে পারবেন। বাংলাদেশের বাজারে অনেক ধরনের হ্যান্ড মাইক পাওয়ায় যায়।
হ্যান্ড মাইক কিভাবে কাজ করে
হ্যান্ড মাইককের সাথে একটি মাইক্রোফোন থাকে যেটা আপনি সরাসরি আপনার মুখ কাছাকাছে রাখবে কারণ মাইক্রোফোন মুখের যত কাছাকাছি থাকবে শব্দ তত পরিষ্কার এবং জোরে দূরে পোছাবে। তাই আপনি মাইক্রোফোন ৪৫-ডিগ্রি কোণে মুখের থেকে কয়েক ইঞ্চি ধরলে শব্দ ভালো পাবেন। আর এইভাবেই হ্যান্ড মাইকের মধ্যেমে অনেক দূর পর্যন্ত শব্দ পোঁছে দেওয়া যায়।
হ্যান্ড মাইকের প্রকারভেদ
বাজারে অনেক পোর্টেবল হ্যান্ড মাইক পাওয়া যায় কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আছে। আপনি বিভিন্ন ধরনের দেখে আপনার পছন্দ মত একটি কিনতে পারেন. উদাহরণস্বরূপ, এটি একটি পেন্সিল ব্যাটারি দ্বারা চালিত হতে পারে বা একটি রিচার্জেবল ব্যাটারি দিয়ে চার্জ করা যেতে পারে। এছাড়াও তারযুক্ত মাইক্রোফোন সহ কিছু হ্যান্ড মাইক পাওয়া যায় যার দাম বাংলাদেশে খুবই যুক্তিসঙ্গত।
কেনার সময় বিবেচনা করার বিষয়
আপনি কি ধরনের কাজের জন্য কিনতে চাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে কারণ বাংলাদেশে ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে হ্যান্ড মাইক কিনতে পারবেন। আবার বিশাল জনসমাগম এলাকায় উচ্চস্বরে ঘোষণা করার জন্য শব্দের রেঞ্চ কত দূর পর্যন্ত যাচ্ছে তা দেখে কিনতে পারবেন। এছাড়াও ৫০ ওয়াট হ্যান্ড মাইক গুলি বড় এলাকা বা ভিড়ের মধ্যে জোরে স্পষ্ট শব্দ করতে ব্যাবহার করা যাবে।
হ্যান্ড মাইকের জন্য বাজেট
বাংলাদেশের বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের হ্যান্ড মাইক পাওয়া যায় তাই আপনি যদি সঠিক এবং মান সম্মত হ্যান্ড মাইক কিনেন তাহলে দীর্ঘ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ এগুলো টেকসই উপকরণ দিয়ে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পরিচিত কিছু হ্যান্ড মাইক হচ্ছে টওআ, ভিশন, ইউনি-ফেক্স, এবং ডিএসপিপিএ। এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক ব্রান্ডের হ্যান্ড মাইক আছে।
হ্যান্ড মাইকের টেকনিক্যাল ফিচার
- ফ্রিকুয়েন্সিঃ বাজারে অনেক ধরেনর হ্যান্ড মাইক রয়েছে যার বিভিন্ন পরিমাপের ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ থাকে, তাই আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী হ্যান্ড মাইক কিনবেন। বাজারের থাকা হ্যান্ড মাইক ২ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব শব্দ পোঁছাতে পারে।
- ব্লুটুথঃ অনেক হ্যান্ড মাইক ব্লুটুথ ফাংশন থাকে, তাই আপনার স্মার্ট ডিভাইসের সাথে সংযোগ করে অডিও আদান প্রদান করতে নিতে পারবেন। এটি সাধারণত ১০ মিটার দূর থেকে সংযুক্ত করা যাবে।
- মেমোরিঃ বর্তমান অনেক ব্রান্ডের হ্যান্ড মাইকে মেমরি সমর্থন করে, তাই আপনার প্রয়োজন কথার রেকডিং করে মেমোরিতে সংরক্ষণ করে পরবর্তিতে মাইকে চালাতে পারবেন, এতে একই কথা বার বার বলা লাগবে না, একটা বাটুনের মধ্যেমেই আপনি সারাদিন একই কথা চালাতে পারবেন।
- ব্যাটারিঃ এই ধরেনর হ্যান্ড মাইক গুলা সাধারণত পেন্সিল ব্যাটারি দিয়েই পরিচালিত হয় কিন্তু বর্তমান সময়ে রিচার্জেবল টাইপ হ্যান্ড মাইক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। পেন্সিল ব্যাটারি দ্বারা চালিত হ্যান্ড মাইক ব্যাটারির শেষ হয়েছে গেলে বার বার ব্যাটারি পরিবর্তন করা ঝামেরা আবার ব্যয়বহুল। রিচার্জেবল টাইপ হ্যান্ড মাইক গুলা ব্যবহার করা সহজ এবং যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে চার্জ করে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও একবার চার্জ করলে আপনি দীর্ঘ সময় ব্যবহার করতে পারবেন।
- মাইক্রোফোনঃ অনেক হ্যান্ড মাইক মাইক্রোফোন বৈশিষ্ট্য থাকে যা আপনার কথা রেকডিং করা যায়। তাই আপনার প্রয়োজন হলে এই ধরনের হ্যান্ড মাইক কিনতে পারবেন।
- অন্তর্নির্মিত সাইরেনঃ কিছু কিছু হ্যান্ড মাইকে অন্তর্নির্মিত সাইরেন বৈশিষ্ট্য থাকে যার ফলে আপনি কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ বা একটি অ্যালার্মের ক্ষেত্রে লোকেদের সতর্ক করতে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই যারা সাইরেন সহ হ্যান্ড মাইক কিনবেন তারা বেশি সুবিধা পাবেন।
যাইহোক, আরও কার্যকারিতা মানে আরও দাম তবে আপনার যদি এই কার্যকারিতাগুলির প্রয়োজন হয় তবে আপনার বাজেট বাড়িয়ে দিন।
রক্ষনাবেক্ষন
এই হ্যান্ড মাইক শুধু ব্যবহার করাই না, আপনি যদি সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করে একবার কেনার পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এই হ্যান্ড মাইক গুলা সাধারণত আকারে ছোট হয়, বহনযোগ্য, মার্জিত ডিজাইন করে তৈরি করা হয় যাতে আপনি খুব সহজেই সাথে করে যে কোন প্রগ্রামের নিয়ে যেতে পারেন। ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে পরিবর্তন করা, চার্জ শেষ হলে চার্জ করা, এই রকম নিয়মিত ভাবে হ্যান্ড মাইক পরিচর্জা করেল দীর্ঘদিন ব্যাবহার করতে পারবেন।
শেষ কথা
এই হ্যান্ড মাইককে আবার অনেকের কাছে স্টিক মাইক বা মেগাফোন নামেও পরিচিত, তাই আপনি বাজারে গিয়ে স্টিক মাইক বা মেগাফোন বলেও কিনতে পারবেন। এই হ্যান্ড মাইক ওজনে হালকা হয় এবং বহনযোগ্য হওয়াই আপনি সাথে করে যে কোন স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন।