আম কেনাকাটা
আমের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরনের এসিড যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তাই এসব দিক বিবেচনা করে আমকে ফলের রানী বলা হয়। আম বাংলাদেশে মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৫ মাসকে আমের মৌসুম বলা হয়ে থাকে। তবে জুন থেকে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি আম পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ফল বিজ্ঞানীরা আমের জাতের উপরে ভিত্তি করে আম পাকার সময়কে তিন ভাগে ভাগ করেছেন যেমনঃ
মে থেকে জুনঃ আগাম জাতের আম সেগুলো পাকা শুরু হয় মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। আগাম জাতের আম গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হিমসাগর, ক্ষীরশাপাত, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বৃন্দাবনি, গুলাবখাশ, রানীপছন্দ ও বারি-১।
জুন থেকে জুলাইঃ জুনের মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যে সকল আম পাকতে শুরু করে যে সকল আমের জাত হল হারিভাঙ্গা, সূর্য্যপূরি, ল্যাংড়া,লক্ষণভোগ, খুদিক্ষীরশা, বারি-২ ও বোম্বাই। এই সময় কালকে আমের মধ্য মৌসুম বলা হয়।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরঃ জুলাই মাসের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যে সকল জাতের আম পাকে তাদেরকে বলা হয় নাবি জাতের আম। আর এই নাবি জাতের আম গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আম্রপালি, মোহনভোগ, ফজলি, বারি-৩, বারি-৪, আশ্বিনা, গৌড়মতি ইত্যাদি।